
নয় কোটি ২০ লাখ রুপি, বর্তমান বিনিময়মূল্য অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা দাম উঠেছে মুস্তাফিজুর রহমানের। এর মাধ্যমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বাংলাদেশি ক্রিকেটার হয়ে উঠেছেন মুস্তাফিজ।
ভারতের শীর্ষ এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এর আগেও মুস্তাফিজই ছিলেন সবচেয়ে দামি বাংলাদেশি ক্রিকেটার, যেবার মুস্তাফিজুর রহমানকে ছয় কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ওই মৌসুমে তিনি তিনটি ম্যাচ খেলেন এবং ৭ দশমিক ৯১ ইকোনমি রেটে চারটি উইকেট নেন।
এবারের নিলামেও 'দ্য ফিজ'কে ঘিরে ছিল প্রবল আগ্রহ। এর আগে তিনি পাঁচটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএল খেলেছেন।
৩০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসারের ভিত্তিমূল্য ছিল দুই কোটি রুপি। নিলামের শুরুতেই চেন্নাই সুপার কিংস দর হাঁকায়। এরপর দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রতিযোগিতায় যোগ দিলে দাম দ্রুতই বেড়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত নিলামে জয়ী হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। নতুন মৌসুমের আগে পেস আক্রমণ শক্তিশালী করার লক্ষ্যই এতে স্পষ্ট করে তারা।
২০১৬ সালে অভিষেক আইপিএলেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওই মৌসুমে তিনি ৬ দশমিক ৯০ ইকোনমি রেটে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন, তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ।
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়াড়
অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামী বিদেশি খেলোয়াড় হয়ে গেলেন। ২০২৬ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে।
রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর এই দর, ২০২৪ সালে মিচেল স্টার্কের জন্য কেকেআর যে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ খরচ করেছিল, সেটিকে অতিক্রম করেছে। গ্রিন এখন আইপিএলে তৃতীয় সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়।
২৬ বছর বয়সী গ্রিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলেছেন; ২৯ ম্যাচে ৭০৭ রান এবং ১৬ উইকেট নিয়েছেন, স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর বেশি।
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ে পিঠের চোটের সমস্যায় ভুগেছেন, ২০২৫ আইপিএল মিস করেছেন। জুনে ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে চলমান অ্যাশেজ সিরিজে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলছেন।
কেমন দল গড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স
মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা দিয়ে শুরু, এরপর সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস ও এবারে মুস্তাফিজুর রহমান- চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে কলকাতার হয়ে খেলবেন মুস্তাফিজ।
নিলামে সবচেয়ে বড় বাজেট নিয়ে নামলেও দলে আন্দ্রে রাসেল না থাকায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক কৌশল নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
শুরুতেই তারা অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের জন্য বড় দর হাঁকে এবং চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে ২৫ কোটি রূপিতে তাকে দলে ভেড়ায়। এটাই বিদেশি কোনো খেলোয়াড়ের জন্য আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
একই সঙ্গে বিদেশি একজন পেসারের খোঁজেও ছিল কেকেআর। সেই লক্ষ্যেই শুরুতেই ১৮ কোটি রুপিতে মথিশা পাথিরানাকে দলে নেয় তারা। এরপর ব্যাকআপ হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য খরচ করে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি।
দল থেকে আগের তিনজন উইকেটকিপারকে ছেড়ে দেওয়ার পর কেকেআর প্রথমে ফিন অ্যালেনকে দলে নেয়। পরে সম্প্রতি বিগ ব্যাশ লিগে সেঞ্চুরি করা টিম সাইফার্টকে যুক্ত করা হয়। দল চাইলে বর্তমান নারিন–রাহানে জুটির বদলে এই দুজনের যে কেউ ওপেনিং করতে পারেন। উইকেটকিপার হিসেবে ব্যাকআপ নেওয়া হয় দিল্লির তেজস্বী সিংকে।
মিডল অর্ডারের জন্যও ব্যাটসম্যান খুঁজছিল কেকেআর। তবে তাদের নেওয়া ব্যাটসম্যান - রাহুল ত্রিপাঠি ও রাচিন রবীন্দ্র, নতুন বলের বিপক্ষে খেলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, ফলে ওপেনিংয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জমে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় পেসার হিসেবে দলে আছেন আকাশ দীপ ও কার্তিক ত্যাগী। আর স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে নেওয়া হয়েছে ডাকশ কামরা ও সার্থক রঞ্জনকে। লেগ স্পিনার প্রশান্ত সোলাঙ্কিকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে ২৫ সদস্যের পূর্ণ দল গঠন করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বাকি দলগুলোর কী অবস্থা?
রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এসেছিল পরিষ্কার পরিকল্পনা নিয়ে। দল প্রায় গঠিতই ছিল, চাহিদাও খুব সীমিত। মাত্র ১০ জন খেলোয়াড়ের জন্য নিলাম ডেকে, ৮ জনকেই দলে নিয়েছে তারা।
সবচেয়ে বড় চাওয়া ছিল জশ হ্যাজলউডের বিকল্প নেয়া। নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফিকে বেস প্রাইসে তুলে নিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করেছে আরসইবি, ডাফি আইসিসির বোলার র্যাংকিং-এ এক নম্বর টি-টোয়েন্টি বোলার।
ইয়াশ দয়ালের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বাঁহাতি পেসারের খোঁজও চলছিল, আর সেই লক্ষ্যেই মঙ্গেশ যাদবকে পেতে তারা দর হাঁকায় ৫ কোটি ২০ লাখ রুপি।
ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ফের দলে টানতে মাঠে নামে আরসিবি। ৭ কোটি রুপিতে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান আরসিবির ভারতীয় ব্যাটিং শক্তিকে আরও মজবুত করলেন।
চেন্নাই সুপার কিংস
নিলামে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে কেকেআরের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছিল চেন্নাই। তবে এক পর্যায়ে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে গিয়ে তারা তাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়।
শেষ পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত দুই তরুণ খেলোয়াড়ের পেছনেই বাজেটের অর্ধেকের বেশি খরচ করে ফেলে চেন্নাই। মিডল অর্ডারের উইকেটকিপার কার্তিক শর্মা ও অলরাউন্ডার প্রশান্ত বীর, দুজনকেই দলে টানা হয় বিস্ময়করভাবে একই দামে, ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপি করে।
নাথান এলিসের বিকল্প খুঁজতে গিয়ে সাবেক খেলোয়াড় মুস্তাফিজুর রহমানকে ফেরাতে অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিল সিএসকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে দলে নেয় কলকাতা।
আরেক সাবেক খেলোয়াড় জেসন হোল্ডারের ক্ষেত্রেও চেষ্টা করেছিল তারা, তবে সেখানে গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে যায়। রবি বিষ্ণুইকেও পাওয়া যায়নি, ফলে একই ধরনের বোলার রাহুল চাহারেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
এ ছাড়া ফর্মে থাকা সরফরাজ খানকে দলে নিয়েছে সিএসকে। পেস আক্রমণ জোরদার করতে যুক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে ও জ্যাকারি ফাউল্কস।
আকিল হোসেন, আমান খান এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ শর্ট ছিলেন ব্যস্ত নিলামে সিএসকের অন্য কেনাকাটা, গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো টেবিলের তলানিতে শেষ করার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই ছিল তাদের এই চেষ্টা।
পাঞ্জাব কিংস
নিলামে পাঞ্জাব কিংসের দিনটা ছিল বেশ নিরুত্তাপ। আইপিএল ২০২৫-এ ফাইনালের আগে গিয়ে হোঁচট খাওয়া দলটি থেকে ২১ জন খেলোয়াড় আগেই রেখে দেওয়ায় তাদের চাওয়া ছিল সীমিত। আরসিবির মতো তারাও নিলামে নামে ছোট তালিকা নিয়ে, মাত্র ছয় জনের জন্য দর দেয়, পায় চার জনকে।
চোখে পড়ার মতো নামটি ছিল পাঞ্জাবের চেনা মুখ রাহুল চাহার। ৫ কোটি রুপি পর্যন্ত গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেয় পাঞ্জাব। তার বদলে তারা বেস প্রাইসে তুলে নেয় দুই লেগ-স্পিনার, বিশাল নিনাদ ও প্রভীন দুবেকে। লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ইউজবেন্দ্র চাহালের ব্যাকআপ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত।
সবচেয়ে বড় খরচটি করেছে তারা পেস বোলিং বিভাগে। চোটপ্রবণ লকি ফার্গুসনের বিকল্প হিসেবে ৪ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে বেন ডোয়ারশুইসকে দলে নিয়েছে দলটি।
রাজস্থান রয়ালস
নিলামের আগেই দলে সাতজন বিদেশি খেলোয়াড় থাকায় রাজস্থান রয়্যালসের মূল লক্ষ্য ছিল দেশীয় ব্যাকআপ শক্ত করা। সেই চেষ্টায় তারা মোটামুটি সফলই হয়েছে। তবে অর্থের সীমাবদ্ধতায় প্রশান্ত বীর ও আকিব নবীকে পাওয়া যায়নি, নামান তিওয়ারি ও অশোক শর্মাকেও কিনতে ব্যর্থ হয় তারা।
ধ্রুব জুরেলের ব্যাকআপ উইকেটকিপার খুঁজতে গিয়ে মুকুল চৌধুরির জন্য দর যুদ্ধে হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত রবি সিংহকেই দলে নেয় রয়্যালস। তবে স্পিন বিভাগে প্রথম পছন্দ পূরণ করতে পেরেছে তারা, ৭ কোটি ২০ লাখ রুপিতে রবি বিষ্ণুইকে দলে ভিড়িয়েছে রাজস্থান।
দিল্লী কাপিটালস
২১ কোটি রুপি নিয়ে মাঠে নেমেছিল দিল্লী কাপিটালস, বোলিংয়ের দুর্বলতা কাটাতে নিলামে ম্যাথিশা পাথিরানা ও মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য জোরালো চেষ্টা চালিয়েছিল দিল্লি কাপিটালস, কিন্তু একজনকেও পায়নি। শেষ পর্যন্ত বেস প্রাইসেই লুঙ্গি এনগিডি ও কাইল জেমিসনকে দলে নেয় তারা।
তবে সন্ধ্যার অন্যতম সেরা চমক ছিল ডেভিড মিলারকে মাত্র ২ কোটি রুপিতে পাওয়া। টি–টোয়েন্টিতে পরীক্ষিত এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ত্রিস্তান স্টাবস ও আশুতোষ শর্মার সঙ্গে দিল্লির ব্যাটিংকে আরও শক্ত করলেন।
নিলামে ডিসির সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ছিল জম্মু–কাশ্মীরের আনক্যাপড পেস অলরাউন্ডার আউকিব নবি দার। পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত উইকেট নেওয়ার দক্ষতা তাকে প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা দিল্লির জন্য আকর্ষণীয় অস্ত্র করে তুলেছে। নবির দাম উঠেছে সাড়ে ৮ কোটি রুপি।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
এবারের নিলামে হায়দ্রাবাদ আইপিএল ইতিহাসের যৌথভাবে সবচেয়ে দামী আনক্যাপড দুই খেলোয়াড়, বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার প্রশান্ত বীর ও উইকেটকিপার–ব্যাটার কার্তিক শর্মাকে নিতে অনেক দূর দর ডেকেও ব্যর্থ হয়েছে। কার্তিককে পেতে ব্যর্থ হয়ে ১৪ কোটির সেই দর থেকে সামান্য অংশ খরচ করে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে সালিল অরোরাকে দলে নেয় তারা। সাম্প্রতিক ব্যাটিং দর্শনের সঙ্গে মানানসই সালিল, ৯টি টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৫৯ রান করেছেন প্রায় ১৯৭ স্ট্রাইক রেটে।
১৩ কোটি রুপিতে লিয়াম লিভিংস্টোন যোগ হওয়ায় টপ অর্ডার আরও শক্ত হলো, সঙ্গে কার্যকর স্পিন বিকল্প হিসেবেও কাজ করতে পারবেন লিয়াম।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
মাত্র ২ কোটি ৭৫ লাখ রুপির সামান্য বাজেট নিয়ে নিলামে এসে মূলত দর্শকের ভূমিকাতেই ছিল মুম্বাই। শুরুর দিকেই অন্য দলগুলো যখন বেশ সতর্ক ছিল, তখন বেস প্রাইসে ১ কোটি রুপিতে কুইন্টন ডি কককে দলে টেনে চমক দেয় তারা।
সম্প্রতি ৪৬ বলে ৯০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান টপ অর্ডারে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক ব্যাটার রায়ান রিকেলটনের বিকল্প হিসেবেই মুম্বাই দলে যোগ দিলেন।
গুজরাট টাইটান্স
গুজরাট টাইটান্স নিলামে ঢুকেছিল পাঁচটি শূন্যস্থান পূরণ করতে, যার চারটি বিদেশি খেলোয়াড়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত তারা তিনজন বিদেশি ও দুইজন উদীয়মান ভারতীয় পেসার দলে নিয়েছে।
বিদেশি দল শক্ত করতে জেসন হোল্ডারের পেছনে লড়াই চালিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে ২৬ রাউন্ডের নিলাম শেষে ৭ কোটি রুপিতে তাকে দলে আনে টাইটান্স।
গুজরাট দলে নিয়েছে ইংলিশ ব্যাটার টম ব্যানটনকে, বেস প্রাইস ২ কোটি রুপিতে, যা জস বাটলারের জন্য সরাসরি ব্যাকআপ।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
২২ কোটি ৯৫ লাখ রুপির বাজেট নিয়ে ছয়টি শূন্যস্থান, যার মধ্যে ৪টি বিদেশি পূরণের জন্য নিলামে প্রবেশ করেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
স্পিন বিভাগ শক্ত করতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং পেস বিভাগ আরও জোরদার করতে অ্যানরিচ নরকিয়াকে বেইজ প্রাইসে দলে নেয়া হয়েছে।
এরপর জশ ইনগ্লিসকে দলে আনার জন্য ৮.৬ কোটি খরচ করে, যদিও তার ২০২৬ সংস্করণের সীমিত পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়াড়
অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামী বিদেশি খেলোয়াড় হয়ে গেলেন। ২০২৬ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নেয়।
রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর এই দর, ২০২৪ সালে মিচেল স্টার্কের জন্য কেকেআর যে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ খরচ করেছিল, সেটিকে অতিক্রম করেছে। গ্রিন এখন আইপিএলে তৃতীয় সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়।
২৬ বছর বয়সী গ্রিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলেছেন; ২৯ ম্যাচে ৭০৭ রান এবং ১৬ উইকেট নিয়েছেন, স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর বেশি।
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ে পিঠের চোটের সমস্যায় ভুগেছেন, ২০২৫ আইপিএল মিস করেছেন। জুনে ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে চলমান অ্যাশেজ সিরিজে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলছেন।
সূত্র: বিবিসি