
রাজধানীর গুলশানে অবৈধ অ-আবাসিক ব্যবহার বন্ধে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রোববার (১৬ নভেম্বর) পরিচালিত এই মোবাইল কোর্টে চারটি ভবনের বিভিন্ন অনিয়ম শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।
অভিযানে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম, অননুমোদিত দোকান, নিরাপত্তাহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারসহ একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে। এসব কারণেই কয়েকটি স্থাপনা সিলগালা এবং মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
গুলশান তাজউদ্দীন পার্ক: শর্ত ভঙ্গ করে ইয়ুথ ক্লাব ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে ভবনটি সিলগালা করা হয়।
গুলশান পিংকসিটি শপিং মল: বেজমেন্টে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা তিন দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়।
গুলশান ৯৮ নম্বর রোড: নির্মাণাধীন রেস্টুরেন্টে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার ডেসকোর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া “Green and Papers” নামের একটি অবৈধ রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়।
গুলশান ৯৭ নম্বর রোড: আবাসিক ভবনের ভেতরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আটটি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রেস্টুরেন্ট চালানোর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে সিলিন্ডারগুলো অপসারণ করা হয়।
বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা: রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা দুইটি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, “ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে রাজউকের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। অবৈধ অ-আবাসিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।”
তিনি আরও জানান, চারটি ভবনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবন মালিকদের অ-আবাসিক ব্যবহার বন্ধে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে রাজউক জোন–৪/২-এর সহকারী অথরাইজড অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, প্রধান ইমারত পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।