
পূর্বাচলে ক্রিকেট মাঠের উইকেট নির্মাণে ব্যবহারের জন্য আনা মাটি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্রিকেট অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় বিপুল পরিমাণ মাটি না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাচলে ২০ হাজার সিএফটি মাটি সরবরাহের কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ সিএফটি। ফলে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ সিএফটি মাটি নিখোঁজ রয়েছে। এতে বোর্ডের আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টাকা। তবে মাটি মাঠে পৌঁছে পরে চুরি হয়েছে, নাকি আদৌ পুরো মাটি সেখানে পৌঁছায়নি—এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বিসিবি।
এই অনিয়মের কারণ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিসিবি। কমিটিতে বোর্ডের দুই কর্মকর্তা এবং বাইরের দুইজন তদন্ত কর্মকর্তা থাকবেন। গতকাল বিসিবির সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিচালক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
এদিনের সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এবং পরিচালক মোকছেদুল বাবু। সেখানে আমজাদ হোসেন জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, সিলেটে বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের দুই ম্যাচের টিকিট ইতোমধ্যেই ‘সোল্ড আউট’ হয়ে গেছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএমের চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপনের একটি মন্তব্য ঘিরে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপন দাবি করেছিলেন, বিসিবিতে গত ছয় মাসে হওয়া দুর্নীতি নাজমুল হাসান পাপনের এক যুগের বেশি সময়ের শাসনকালকেও ছাড়িয়ে গেছে।
তবে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এই মন্তব্যকে আদনান দীপনের ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, পরিচালক মোকছেদুল বাবু জানিয়েছেন, দীপনের বক্তব্য ক্রিকেট বোর্ডকে বিব্রত করেছে এবং তিনি এটিকে ‘স্লিপ অব টাং’ হিসেবে দেখছেন। এ প্রসঙ্গে মোকছেদুল বাবু বলেন, “দুর্নীতি ইস্যুতে আদনান দীপনের স্লিপ অব টাং আমাদের বিব্রত করেছে।”