ইতালিতে প্রবাসীদের মাঝে কোরআন শরীফ বিতরণ

ইতালির ভিছেন্সা প্রবিন্সের থিয়েনে শহরে বসবাসরত বাংলাদেশী যুব সম্প্রদায় বয়স্কদের জন্য সহীহ শুদ্ধ কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রথম ব্যাচের বয়স্ক শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করেন। বাংলাদেশী কমিউনিটি থিয়েনে কর্তিক্রয়কৃত বায়তুল মামুর জামে মসজিদে ছোট বাচ্চাদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যৈও এই কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন, মসজিদের সম্মানিত ইমাম মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ইসরাফিল হোসাইনী। আলহামদুলিল্লাহ সহীহ শুদ্ধ ভাবে কোরআন শিখতে পেরে অনেকেই উচ্ছ্বাসিত ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং সম্মানিত ইমাম এরকম নতুন ব্যাচে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মসজিদের সভাপতি- সুলতান সরকার, সাধারণ সম্পাদক- কাজী সাত্তার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইবরাহিম ইবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, কোষাধক্ষ সুজন রহমান, সহ-সভাপতি পাটোয়ারী সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিন মোল্লা, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন । আলোচনায় বক্তারা ইতালির মাটিতে নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ও ইসলামী মূল্যবোধে যেন আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠতে পারে, এবং যাতে বিজাতীয় কালচারে আসক্ত অভ্যস্ত না হয়ে পড়ে নিজস্ব কালচার ও ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সমাজের প্রত্যেককে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসজিদের সহ-সভাপতি- মশিউর রহমান সুমন, শাহাদাত হোসেন, আফতাব আহমেদ শাকিল, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, আমির, রাহেল প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

স্পেনে বাংলাদেশের অমিত ব্যবসায়িক সম্ভাবনা

সম্প্রতি স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ দেশটির চামড়াজাত পণ্য ও জুতার রাজধানী হিসেবে পরিচিত এলচে ও আলিকান্তে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের অংশ হিসেবে কতিপয় বৈঠকে যোগদান এবং কারখানা পরিদর্শন করেন। এছাড়া, জনকূটনীতি ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের কনস্যুলার ও কল্যাণ কার্যক্রম সহজিকরণ বিষয়ক বৈঠক করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ ও স্পেন-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, ঢাকার সভাপতি আশিক এলাহি চৌধুরী উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল স্পেনের বিখ্যাত জুতার ব্র্যান্ড পিকোলিনোসের কারখানা পিকোকাইজেন পরিদর্শন করেন। পিকোলিনোস গ্রুপ গত প্রায় ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নতমানের চামড়া ব্যবহার করে জুতা, ব্যাগসহ বিবিধ চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে আসছে। এ সময় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোসে মিগেল গার্সিয়া বাংলাদেশি চামড়া দিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। কোম্পানির প্রেসিডেন্ট খুয়ান ম্যানুয়েল পেরান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূত গত প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল এলচের অদূরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি কৃষি খামার পরিদর্শন করেন। খামারের উদ্যোক্তারা জানান, খামারে উৎপাদিত সবজি স্পেনের ভেতরেসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশকিছু দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ ধরনের ভিন্নধর্মী ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উদ্যোক্তাদের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও বহুমুখী ব্যবসায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল আলিকান্ত চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে এক মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন। সভায় চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট খেসুস নাভারো আলবেরোলাসহ আলিকান্তের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল যোগ দেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও অবারিত বাণিজ্য সম্ভাবনার বিষয়ে চেম্বারকে অবহিত করে আলিকান্তের ব্যবসায়ী নেতাদের দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ বৈঠকে স্পেনের সুপরিচিত মশলা ব্র্যান্ড কারমেনসিটা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড লোপেজ, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সেন্ট্রাম, আরএমজি কোম্পানি জোসে মনলোর এসএল থেকে খাভিয়ের আর্টেগা, রাসায়নিক কোম্পানি ইনসোকো থেকে আলেহান্দ্রো রিবেলস, লেদার কোম্পানি সানচেজ আগুলোর থেকে খোসে আন্তোনিও সানচেজ ও পিকোলিনোসের রোজানা পেরানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। আলিকান্ত ও এর আশেপাশে এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধান দেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুরোধ জানান। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য এবং ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পদ গ্রহণের জন্য তিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। এ সময় সীমিত আকারে কনসুলার সেবা প্রদান ও ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদের আবেদনও গ্রহণ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

মিশিগানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু

আমেরিকার মিশিগানে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলী সাজু (৫৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার ছেলে শাহজাহান তামিম ও মেয়ে সানজিদা মুমু গুরুতর আহত হয়েছেন। তামিমের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও মেয়ে সানজিদা হাসপাতাল লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। রোববার দুপুরে ওয়ারেন সিটির রায়ান সড়কের টেন মাইল ট্রাফিক পয়েন্টের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া আহত অবস্থায় তার দুই সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা জানান, ট্রাফিক পয়েন্টের পাশে বামদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টার করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসময় অপর গাড়ির চালক ও তার এক সঙ্গী আহত হন। তারাও প্রবাসী বাংলাদেশি। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ ওয়ারেন সিটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। নিহত জাহাঙ্গীর আলী সাজুর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। ব্যবসায়ী সাজু চার বছর আগে সপরিবারে আমিরিকায় যান। তিনি বাস করতেন মিশিগানের ওয়ারেন সিটিতে। মঙ্গলবার বাদ যোহর ডেট্রয়েট সিটির মসজিদ নুরে জাহাঙ্গীরের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিশিগানের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

গ্রিক দ্বীপ থেকে ২ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

এজিয়ান সাগরের পূর্বাঞ্চল থেকে দুই শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে গ্রিস। দেশটির উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, গেল বছরের মতো চলতি বছরেও এজিয়ান সাগরীয় গ্রিক দ্বীপগুলোতে অভিবাসীদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। তারা জানিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্রিতির দক্ষিণ দিকের গাভদোস দ্বীপ থেকে আরও ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে এজিয়ান সাগরে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় ১১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রিতিতে নিয়ে আসা পর্যন্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিকেরা রয়েছেন, তা জানা যায়নি। কস দ্বীপের পাশ দিয়ে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি স্পিডবোটকে লাইট বন্ধ করে ছুটে যেতে দেখেছেন টহলরত উপকূলরক্ষীরা। তারা আরও জানিয়েছেন, বোটটিকে থামানোর চেষ্টা করা হলেও তারা তা অমান্য করে ছুটে যায়। এতে বোটে থাকা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বলে শঙ্কা করেন তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, তাড়া করে ওই স্পিডবোটটিকে থামানোর পাশাপাশি বোটটি চালানোর দায়িত্বে থাকা দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার ক্রিতি থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে দুর্দশাগ্রস্ত ৮৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। অভিবাসীবাহী নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তারা সাহায্যের আবেদন জানায়। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৩৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। উদ্ধারের পর তাদের গ্রিক উপকূলরক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা হয় ক্রিতির রাজধানী হেরাকিলনের কালন লিমননে। উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার তবরুক থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি ছেড়ে আসে। ইউরোপে পৌঁছাতে নৌকাটিতে থাকা যাত্রীদের প্রত্যেকে তিন হাজার সাতশ থেকে চার হাজার ছয়শ ইউরো করে দিয়েছেন মানবপাচারকারীদের। অনিয়মিত প্রবেশ ও অনিয়মিত প্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে ওই নৌকায় থাকা দুই জনকে আটক করা হয়েছে। জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা সম্প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি তবরুক হয়ে ক্রিতিতে আসার রুটটি ব্যবহার করছে মানবপাচারকারীরা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬১২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিসের ক্রিতিতে ও গাভদোস দ্বীপে পৌঁছেছেন। তাদের সবাই লিবিয়ার তবরুক থেকে যাত্রা করেছেন। বিচ্ছিন্ন দ্বীপেও আসছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এজিয়ান সাগরীয় গ্রিক দ্বীপ বারবালিয়াস থেকেও ৪২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছেন দেশটির উপকূলরক্ষীরা। রোববার একটি ভিডিও প্রকাশ করে তারা। সেখানে দেখা গেছে লেসবসের কাছের ছোট্ট এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বারবালিয়াস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়। সেদিন নিয়মিত টহলে এসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সন্ধান পায় তারা। পরে তাদের লেসবসের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুসহ ২৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয় একটি ছোট্ট নৌকা থেকে। গাভদোস দ্বীপের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে উপকূলরক্ষীরা। হিসাবের তারতম্য অভিবাসী অধিকার রক্ষায় কাজ করা আঞ্চলিক এনজিও এজিয়ান বোট রিপোর্ট (এবিআর) জানিয়েছে, সম্প্রতি গ্রিস ও বিভিন্ন গ্রিক দ্বীপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ বেড়েছে। এদিকে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা বলছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে তারা বেশ তৎপর রয়েছেন। কিন্তু এনজিওটি বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উপকূলরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে থাকেন। তাই বিপদসংকুল অবস্থায় তারা এনজিওটির কাছে সাহায্য চান। সংস্থাটি এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছে, গত চার দিনে এজিয়ান বোট রিপোর্ট ১৫টি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছে অন্তত পাঁচশ অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে পৌঁছেছেন। এবিআর আরও জানিয়েছে, নৌকা নিয়ে এজিয়ান সাগর পাড়ি দিতে চাওয়া দুই-তৃতীয়াংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তুরস্কের উপকূলরক্ষীরা আটকে দেয় অথবা তারা গ্রিক উপকূলরক্ষীদের পুশব্যাক বা জোর করে ফিরিয়ে দেওয়ার শিকার হন। শুধু জানুয়ারিতে গ্রিক উপকূলরক্ষীদের ৩৫টি পুশব্যাকের ঘটনা রেকর্ড করেছে এআরবি। তারা দাবি করেছে, এর মধ্য দিয়ে এক হাজার ১৪৪ জন মানুষকে সুরক্ষা চাওয়ার অধিকার বঞ্চিত করেছে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কের জলসীমায় পুশব্যাক করা হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। তবে পুশব্যাকের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে গ্রিস। ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী আশ্রয় চাইতে আসা মানুষকে পুশব্যাক করা নিষিদ্ধ। সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে মহান একুশে উদযাপন

ইতালি : ইতালিতে নানা আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, মিলান কনস্যুলেট এর পাশাপাশি দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠন, বাংলা স্কুলের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে । ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ভেনিস বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এদিন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্কুল কতৃপক্ষ। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। স্কুলের সাধারন সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তারের বিদায় ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা জামানকে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে বরণ করে নেওয়া হয় এদিন। অনুষ্ঠানে স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ারের সভাপতিত্বে – উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আরফান মাস্টার, সহ – সভাপতি নাসির উদ্দিন পান্না, সাধারন সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লা সোহেল, সদস্য ফকরুল চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সুজন, মহিলা সম্পাদিকা সুরাইয়া আক্তার, প্ শিক্ষিকা মেহেরুন নেছা মলি, কাজল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদস্য সুমন সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক নূরে আলম, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি জাকির হোসেন সুমন প্রমুখ। যথাযোগ্য মর্যাদায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করেছে ইতালি আওয়ামী লীগ ভেনিস শাখা। এইদিন ভেনিসে আ.লীগের উদ্যোগে ভেনিস যুবলীগের সহযোগিতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সময় মিলিয়ে প্রথম প্রহরে ভেনিস আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে অস্থায়ী শহীদ মিনারে বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এই সময় উপস্থিত ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সোলেমান হোসেন, তাজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, কুদ্দুছ চৌধুরী ,কাজী রোনাক সহ সকল নেতৃবৃন্দরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য্যের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রথমেই শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তর্পক অর্পণ করেন ভেনিস আওয়ামীলীগ। তারপরে ধারাবাহিক ভাবে শ্রদ্ধা জানান ভেনিস যুবলীগ,বৃহত্তর ঢাকা সমিতি ,বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ,নরসিংদী সমিতি ,ভৈরব সমিতি ,ভৈরব পরিষদ ,আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতি ,কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ,ভেনিস বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ,ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ,সাংবাদিক পরিবার সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান এবং অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান আয়োজকরা। এইদিকে, একুশে ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে এসিএস ভেনিস ক্লাব। একুশের প্রথম প্রহরে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে ইতালির ভেনিসে এসিএস ভেনিস ক্লাবের আয়োজনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এসিএস ক্লাবের সভাপতি মোশারফ মোল্লা,আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম ,এসিএস ভেনিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ ,ক্লাবের স্পনসর মামুন আহমেদ ,আকন হিরু ,সজীব আহমেদ ,কামাল হোসেন ,মেহেদী আহমেদ। এছাড়াও ইতালিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বৃহত্তর ফরিদপুর প্রবাসী কল্যাণ সমিতি রিমিনি। এ বছর প্রথমবারের মত স্থানীয় একটি পার্কে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। বৃহত্তর ফরিদপুর প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দুলাল শিকদারের সভাপতিত্বে সহ সভাপতি রবিন হাসানের পরিচালনায় ভাষা দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপাস্থিত ছিলেন রিমিনি শহরের কমুনের সিন্দাকো জামিল সাদে গুলবাদ।সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান ,রায়হান আহমেদ। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি শহিদুল মোড়ল ,রাজু মুন্সী ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হাওলাদার ,সাংগঠনিক রাজীব খান ,অর্থ সম্পাদক কালু হাওলাদার ,সহ অর্থ সম্পাদক দেলোয়ার শিকদার ,দপ্তর সম্পাদক সাত্তার তালুকদার ,সহ দপ্তর সম্পাদক তাইজুল আকন ,আন্তর্জাতিক সম্পাদক মৃদুল শিকদার ,ক্রীড়া সম্পাদক শাহীন শিকদার প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালির তরিনোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ইতালিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। অন্যান্য শহরের মতো তরিনো শহরে এবছর প্রথম বারের মতো অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে বায়ান্নোর সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ইতালি আওয়ামী লীগ তরিনো শাখার উদ্যোগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় একটি পার্কে নির্মিত এই অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিতে সমবেত হন তরিনোর বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইতালি আওয়ামী লীগ তরিনো শাখার সভাপতি খোকন ছৈয়াল সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আশরাফ হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন আব্দুস ছালাম, রিপন চৌকিদার, মনির ফকির, সেলিম মিয়া, হাজী মোঃ ইসমাইল শিকদার, মোঃ আকবর ছৈয়াল, শাহিন খান, বাসার মিয়া, আলামিন খলিফাসহ আরও অনেকে। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন তরিনোতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার ও বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে তরিনো আওয়ামী লীগ। তারা আরও বলেন দেশীয় সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে প্রবাসে ছড়িয়ে দিতে ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও উল্লেখযোগ্য দিবস সমূহ পালন করা হবে তরিনো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। প্রথমেই ইতালি আওয়ামী লীগ তরিনো শাখার পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বৃহত্তর ঢাকা সমিতি, কমিল্লা জেলা সমিতি,বৃহত্তর সিলেট এ্যাসোসিয়েশন, শরিয়তপুর কল্যাণ সমিতি, মাদারীপুর, ভৈরব, চাঁদপুর,গোপালগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুইদিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে, গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার , কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির (Taylor’s University) স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম পি ‘র ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত ভিন্নমাত্রিক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ এবং, মিসেস মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া (Ms Maki Katsuno-Hayashikawa),কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তা এর ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত (Dr. Anindita Dasgupta), বিভাগীয় প্রধান-স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলরস ইউনিভার্সিটি। এই পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর একটি প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহার এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে, শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. ইয়াং হুই (Dr.Yang Hui), এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটি (এপিজেএফইএস) এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম(Dr Kalai Vaani Rajandram), এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোর এর (Sir M Visvesvaraya Institute of Technology, Bangalore) এর শিক্ষক গৌথম কুমার (Mr. Goutham Kumar)। এ সময়, আলোচকগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সকল ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তাগণ বহুভাষিকতার প্রসারে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি, হাই কমিশনার মোঃ শামীম আহসান, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশী অতিথিদের সাথে নিয়ে, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ র ভাষা আন্দোলন এর পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যগণ এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে।একই মঞ্চে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। উক্ত অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এর সহধর্মিণী, কর্মকর্তাগণ এবং তাদের পরিবারবর্গ, বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকগণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সদস্যগণ তাদের পরিবারসহ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি এবং মালয়েশিয়ান খাবার পরিবেশন করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে হাইকমিশন প্রাংগনে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদীতে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান এর নেতৃত্বে হাইকমিশন পরিবারের সদস্যবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। অত:পর, মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্যবৃন্দ,স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিকসংস্থার সদস্যবৃন্দ পর্যায়ক ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালো ব্যাজ ধারণ, দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিত করা, অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাণীপাঠ, আলোচনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণ শহীদ দিবসের ব্যানার, বাংলা বর্ণমালা ও ভাষা দিবসের পোস্টার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দূতালয় প্রাঙ্গণে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিশুদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেন। এসময় সবাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি গাইতে থাকেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। হাইকমিশনার তার সমাপনী বক্তৃতায় বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক। এ এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দেন ও বারবার কারা বরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন জোরদার হয় ও ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। অনুষ্ঠানের শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে শিশুরা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

উজবেকিস্তানে মহান একুশের গল্প শোনালেন রাষ্ট্রদূত

উজবেকিস্তানে মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের গল্প শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অবদানের কথাও জানান তিনি। দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করেন। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারত, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিক, অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে তিন শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ চুতপুলেটভ ও উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ইউনেস্কো প্রতিনিধি মিস সারা নাশাদ। এ সময় উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য শিল্পীরা ও উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ, ভারত, চীন, তুরস্ক, রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী, জনপ্রিয় সঙ্গীত ও নৃত্য মঞ্চস্থ করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে নানা আয়োজনে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ইতালি : ইতালিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-অমর একুশ পালিত হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গর্ব আর শোকের এদিন পালন করেছে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রোমে আইজাক রবিন পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান, রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর পরেই বাঙালিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রোম দূতাবাস ছাড়াও ইতালির বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন গুলোর উদ্যোগে দিবসটি নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। ইতালির মিলান জেলারেল কনসালের আয়োজনে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশ উদযাপন করা হয়েছে। কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মিলান কনস্যুলেট এর কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাভেদ সহ মিলান কনস্যুলেট এর সকল কর্মকর্তারা। এসময় ইতালিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের মাঝে বাংলা মাতৃভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। এদিকে, মিলানে লোম্বার্দিয়া আ.লীগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২.০১ মিনিটে ইতালির মিলানে খোলা পার্কে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। প্রথমেই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর লোম্বার্দিয়া আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ইতালির পাদোভায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের সাথে সময়ের মিল রেখে একুশের প্রথম প্রহরে পাদোভা স্হায়ী শহীদ মিনারে স্হানীয় মেয়র মার্কো স্কিসেয়েরো সহ প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক ও সাংবাদিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সবুজ বাংলা এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এছাড়াও ইতালিতে বাংলা কমিউনিটি, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বাংলা স্কুল গুলোর আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে। এসময় শিশুদের চিত্রাঅঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

রিয়াদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

সৌদি আরবের রিয়াদে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও সৌদি অফিশিয়ালদের নিয়ে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এতে বিশেষ অতিথি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল জারকানি ও কূটনৈতিক কোরের ডীন জিবুতির রাষ্ট্রদূত দায়া আদদীন সাঈদ বামাখারামা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টফি ফারনড, সৌদি আরবের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হানি মানসি এবং ওআইসির রাজনৈতিক বিষয়ক সহকারী মহাসচিব ইউসেফ আল দুবেহ বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষা করার বিষয়ে বাঙালি জাতির অবদানের কথা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরে তিনি বলেন, দিবসটি পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষা রক্ষার দাবীতে সংগ্রাম ও ভাষার অধিকার আদায়ের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। ভাষা আন্দোলনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্রুতই পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশ সরকার মাতৃভাষা রক্ষার্থে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছেন। মাতৃভাষা রক্ষায় দেশ কাল ভেদে পৃথিবীর সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি-কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করে। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র ও ১২টি ভাষায় একুশে ফেব্রুয়ারির গান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন” শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রিয়াদস্থ ব্যবসায়ী এম আর মাহবুব, প্রফেসর মো. নুরুন্নবী, শাহজাহান চঞ্চল। এছাড়া ও মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা বক্তব্য রাখেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালি বিএনপির সা. সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা

ইতালি : ইতালির ভিছেন্সায় ইতালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন ও ভোট চোর স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে, যাত্রা বিরতিতে বিএনপি নেতা ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইমরান খানের আমন্ত্রণে, ভিছেন্সায় আসেন ইতালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিন। এসময় ভিছেন্সা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শিকদার মোহাম্মদ কায়েস, ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার বিপুল সংখ্যক বিএনপি’র নেতাকর্মী নিয়ে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন, এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গণমাধ্যম কর্মী, নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভিছেন্সা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খন্দকার, সম্মানিত সদস্য ও ইতালি যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান, ভিছেন্সা বিএনপি’র উপদেষ্টা সদস্য খবির খন্দকার, উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম মান্না উপদেষ্টা সদস্য সিরাজুল ইসলাম (সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ, কামাল মাঝি, আব্দুল্লাহ আল মামুন) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফতাব আহমেদ শাকিল, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, ইসমাইল হোসেন স্বপন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রিন্স, বুলবুল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মামুন খান, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, পারভেজ সরকার, রবিন সরকার, মনির আহমেদ, আবু সায়েম, শরীফ হোসেন, মীর ইসমাইল, আনিসুর রহমান, দর্জি ওবায়েদ, জাকির খন্দকার, আরিফ মামুন, সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি শিকদার মোহাম্মদ কায়েস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার, সম্মানিত সদস্য ইমরান খান, সহ-সভাপতি কামাল মাঝি উপদেষ্টা সদস্য খবির খন্দকার উপদেষ্টা সদস্য রফিকুল ইসলাম মান্না, যুব নেতা প্রিন্স ও অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাকিল জুয়েল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ভিছেন্সার বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা ঘুরিয়ে দেখান। এদিন ভিছেন্সা বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খন্দকার ও কবির হোসেন নেতার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সবশেষে সকল নেতৃবৃন্দদের কে নিয়ে নৈশভোজ শেষে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে, নেতৃবৃন্দ ও সকল নেতাকর্মীদের থেকে বিদায় নিয়ে তার ব্যক্তিগত সফর শেষ করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

কানাডায় মাতৃভাষা চর্চা বিষয়ক আলোচনা সভা

কানাডার ক্যালগরির নর্থ ইস্টের ৩২ এভিনিউয়ে ‘প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’-এর আয়োজনে প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগরির অধ্যাপক কাজী খালিদ হাসান। প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সুফল বৈরাগী, সাইফুল ইসলাম রিপন এবং আব্দুল্লা রফিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জেরিন তাজ ও রম্য লেখক বায়াজিদ গালিব। আলোচনায় বক্তারা প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চাকে আরো সুদৃঢ় করতে এবং মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরি করতে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও প্রবাসে বাংলাভাষার প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং মাতৃভাষা আর বাংলা সংস্কৃতির অবমাননা কীভাবে জাতীয় প্রগতির অন্তরায় হতে পারে, সে বিষয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সর্বস্তরে বিশুদ্ধ বাংলা চর্চার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরিতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। বিদেশে আরও বেশি বাংলা গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম যেন এসব গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে পারে সে ব্যাপারে এখন থেকেই সবার সচেষ্ট হওয়া উচিত। একুশের চেতনা, ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সযত্নে লালন করে কীভাবে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়েও জ্ঞানগর্ভ অভিমত দেন বক্তারা। তারা বলেন, ভাষার দাবির মধ্যেই নিহিত ছিল গণতন্ত্র, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার জাতিসত্তা সম্পর্কে চেতনার উন্মেষ এবং জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের বীজ। প্রবাসে শুধু শহীদ মিনার নির্মাণ করলেই হবে না, একুশের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে। আলোচনা শেষে ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর পঞ্চম বর্ষপূর্তির প্রকাশনা বই উন্মোচন করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সৌদিতে নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার

সৌদি আরবের আছির প্রদেশে মোহাম্মদ আলী (৫০) নামে এক বাংলাদেশির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই প্রদেশের মাহাইলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোহাম্মদ আলীর বন্ধু আব্দুর রহিম বলেন, মোহাম্মদ আলী মাহাইল এলাকায় ব্যবসা করতেন। গত বছরের ২২ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হন। এরপর পরিচিতরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানকার স্থানীয় থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। তিনি আরও জানান, মাহাইলে একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলা থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লোহা চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ভবনের মালিক কয়েকজন চোরকে আটক করে সেখানকার থানা পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করে। এসময় দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশ ভবনের দ্বিতীয় তলায় যায়। সেখানে একটি রুমের ভেতর আলীর গলিত মরদেহ পায় তারা। পরে তল্লাশি করে পুলিশ মোহাম্মদ আলীর আকামা কার্ড পেয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। আব্দুর রহিম বলেন, নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ আকামা কার্ডে থাকা পরিবারের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে আলীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে মোহাম্মদ আলী শেষবারের মতো দেশে যান। সেখানে লেনদেনজনিত সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারেননি। তার কফিলের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব ছিল বলেও জানতাম। নিহতের স্ত্রী পারভিন আক্তার জানান, তার স্বামী দেশে আসতে না পারলেও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার স্বামীকে কেউ হত্যা করে মরদেহ পরিত্যক্ত ভবনে রেখে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে তিনি তার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। মোহাম্মদ আলী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

গ্রিসে বসন্ত বরণ উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি নারীরা

শীতের শেষে বসন্তের আগমনে নানা রঙের ফুলে-ফলে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। এ বুঝি এলো বসন্ত। প্রকৃতির পাশাপাশি ফাগুনের রং লেগেছে সবার মনে। কবির ভাষায় পহেলা ফাল্গুন ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি বসন্ত উৎসব পালন করে আসছে। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার রীতি বেশ পুরোনো। বাঙালির সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের আয়োজনে এবার যেন লেগেছিল বাংলাদেশের ফাগুন হাওয়া। পয়লা ফাল্গুনে (১৩ ফেব্রুয়ারি) নারী উদ্যোক্তা নীলা রহমানের বাসায় ফাগুন উৎসবে মেতেছিল প্রবাসী নারীরা। হলদে বরণ সাজ আর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে দূর প্রবাসেও যেন ভেসে উঠেছে এক টুকরো বাংলাদেশ। এ যেন বিশ্বকবির ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা, এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো’ আহ্বান। গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা রঙ-বেরঙের শাড়িতে বাসন্তী সাজে বসন্ত বরণ উৎসবে শামিল হন। বসন্ত উৎসবে নারী নেত্রী নীলা রহমানের বাসায় নারীদের অংশগ্রহণে পিলো পাস খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় অংশ নেন নারী উদ্যোক্তা শেখ শাহীন আক্তার, শেলী রহমান, দীনা উম্মে হাবিবা, ইভা হক, মাহবুবা আক্তার, মিলি রহমান, রেশমি আক্তার, শান্তা ইসলাম, আরজুদা রহমান, মুক্তা আক্তার, সোনিয়া খানম, শিল্পী আক্তার, আফসানা লডি, মর্জিনা আক্তার, রুবিনা আক্তার, ঋুমু রহমান, মিসেস মিজান, রুমি মন্ডল ও নাছিমা সরকার। অনুষ্ঠানে মিস ফাল্গুন সুন্দরী নির্বাচিত হন শেলী রহমান। পিলো পাস খেলাতে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন ইভা হক, দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মর্জিনা আক্তার এবং তৃতীয় পুরস্কার পান উদ্যোক্তা শেখ শাহিন আক্তার। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উদযাপন

ইতালিতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবে অগণিত ভক্ত বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নানা আয়োজনে বিদেশের মাটিতে পচা উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত তারা। ঐক্যবদ্ধভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকল পূজা অর্চনা পালনের অঙ্গীকার করেন প্রবাসীরা। উলুধ্বনি, শঙ্খ এবং ঢাকের শব্দে উজ্জীবিত ছিল ইতালির সরস্বতী পূজার আয়োজন গুলোতে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিদ্যার দেবী সরস্বতীতে শিক্ষা মেধার দেবীও বলা হয়। বাংলা মাসের মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে উদযাপিত হয় এই পূজা। দিনটিকে “বসন্ত পঞ্চমী”ও বলা হয়। বাংলাদেশের মতোই হিন্দু ভক্ত শিক্ষার্থীরা দেবীর সরস্বতী পূজা করেন এবং এসব পূজা মন্ডপে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীও উপস্থিত হন। ইতালিতে বসবাসকারী দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ হাজারের মত সনাতন ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। এই প্রথমবারের মতো বন্দর নগরী আনকোনাতে “কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটি এই সরস্বতী পূজার আয়োজন করে,। প্রবাসে সরস্বতী পূজা করতে পেরে আনন্দিত বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা বাণী অর্চনা সহ নানা ধর্মীয় প্রথা পালন করে। অনুষ্ঠানে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ ,ধর্মীয় আলোচনা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি এবং আলোকসজ্জা করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

পোল্যান্ডে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা

পোল্যান্ডে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন নামে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরশাদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাসুদুর রহমান তুহিন ও মো. দেলোয়ার হোসেন অপুর পরিচালনায় বক্তারা ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। ওই সভা থেকে সবার সর্বসম্মতিক্রমে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয় এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন নির্বাহী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের নানাবিধ সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি কমিউনিটি বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন। ১১ জনের প্রস্তাবিত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন— আফজাল হোসেন, মো. মিলন, মো. মাসুদুর রহমান তুহিন, মো. মমিনুল হক, হাসান আব্দুল কাইয়ুম (বিপ্লব ), সাইফুল ইসলাম মিনাল, ইকবাল হোসেন, হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মুরাদ, কাওসার আহমেদ, নাজমুল হাসান, শাজাহান সরকার। শিগগিরই সকল ব্যবসায়ীকের নিয়ে এই কমিটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ইন পোল্যান্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

পোল্যান্ডে বাংলাদেশিদের বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব

বাংলাদেশি কমিউনিটি পোল্যান্ডের উদ্যোগে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বসন্ত বরণ ১৪৩০ ও পিঠা উৎসব। ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে ও হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিতে ও উৎসব উপভোগ করতে পোল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন সংস্কৃতিপ্রেমীরা। এ পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে বসন্তের তিনদিন আগেই শুরু হয়ে যায় ফাল্গুনের আমেজ। অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় পোল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশের মিলন মেলায়। কবির ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’। গাছে গাছে পলাশ, শিমুল, হিজল, তমাল, কৃষ্ণচূড়াসহ রংবেরঙের ফুল ফুটে জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে এ বর্ণিল সাজ। বসন্তের এ আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সব কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে বিভেদ ভুলে নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি। ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নিস্বর্গ প্রকৃতিতে। বাংলার প্রকৃতির সেই দোলা এসে লেগেছে দূর প্রবাসে পোল্যান্ডের বাঙালিদের হৃদয়ে। বাসন্তী রঙে সেজে, নেচে, গেয়ে পোল্যান্ডে বাঙালি বরণ করেছে ঋতুরাজ বসন্তকে। বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফারহানা জাহান। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান ও এ উদযাপনের প্রতিপাদ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ফারহান হাসিন আর কাশফিয়া সারণী দম্পতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ইয়াসমিন জালাল, ফৌজিয়া ইসলাম মোহনা, শিউলি সরকার, রিম, আরমান নাইম, ইয়াহিয়া ফাহিম, সামি আতিফ শাওন এবং পার্থ বড়ুয়া। বসন্তের আবৃতি করেন আনিকা জেরিন চৌধুরী। নৃত্য পরিবেশন করেন তানিয়া আফরিন, আদ্রিয়ানা মজুমদার, ইশরাত ই আনোয়ার বৃষ্টি, অনুরাধা রয়, শুভজিৎ ধর চৌধুরী, মনীষা রাবাত এবং মমতা পুন্ডির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ভাবীদের নিয়ে আসা পিঠা অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য হাজার গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। হরেক রকমের মুখরোচক পিঠা দিয়ে মেতে উঠে পিঠা উৎসব। ভাপা, পাটিসাপটা, দুধপুলি, মালাইপুলি, চিতই, ডিম পিঠা, চিকেন পিঠা,মালপোয়া, ফুল পিঠা, পাকানপিঠা ও বিবিখানা, চটপটি, রসমালাই, জিলাপি, রসগোল্লাসহ ঘরে বানানো হরেক রকমের পিঠা প্রদর্শন করা হয় উৎসবে। মুখরোচক এসব পিঠার ঘ্রাণে পোল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসন্তী সাজে নিজেদের সাজিয়ে ছুটে আসেন নারী পুরুষ ও শিশু কিশোররা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাস কর্মকর্তা কাজী মুনতাসীর মুর্শেদ। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তানিয়া আফরিন, ইয়াসমিন জালাল, গাজী লিমন, ফৌজিয়া ইসলাম, ফারহানা জাহান, গোলাম বায়েজিদ রবিন, মো. ফরহাদ উদ্দিন, রিম, তাপস বড়ুয়া, পার্থ বড়ুয়া, আরমান নাইম, কামরুল হুদা, শচীন পাল, সজীব দাস, নয়ন আহমেদ ও সজল আহমেদসহ আরও অনেকেই। তরুণ প্রজন্মের আয়োজকদের পরামর্শে ছিলেন মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চকদার সাকু, ইমরান হাসান, আফজাল হোসেন, কামরুল হাসান ও লুৎফুর রহমান। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে বাংলাদেশিদের পিঠা উৎসব

ইতালির রোমে দেশীয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টিতে বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্টিত হয়েছে। ইতালিতে বৃহত্তর ঢাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে আয়োজকরা বলেন , প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ, লালন এবং বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ) ইতালি রাজধানী রোমের স্থানীয় একটি পার্কে দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য এই পিঠা উৎসবের প্রথম পর্ব ছিল শিশুদের অংশগ্রহণ। এই সময় শিশু ও কিশোরেরা বাংলাদেশ কে রঙ তুলির মাধ্যমে তুলে ধরে। ছিল সকল শিশুদের জন্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার। শিশুদের পর্ব শেষ হতেই রোমের বিভিন্ন নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবাসী নারীরা হরেক রকমের পিঠা প্রদর্শন করে। পিঠা উৎসবের এই আয়োজনের আমন্ত্রণে ছিলেন ইমরুল কায়েস, আমির হোসেন মোল্লা এবং সোহরাব সরকার। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ঢাকার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু, হাসান ইকবাল সহ বিভিন্ন সামাজিক ও আঞ্চলিক ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক কে ধরে রাখতেই এই আয়োজন বললেন নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে ইতালিয়ানদের উপস্থিতি আয়োজনের ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। দুই দেশের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির এই মেল বন্ধন ই আগামী প্রজন্ম কে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি আত্মস্থ করার উৎসাহ জোগাবে বললেন অতিথিরা। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে শিল্পী মাসুদ রানা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

শীতকালীন তুষার ভ্রমণে ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রবাস জীবনের কর্ম-ব্যস্ততার ফাঁকে আনন্দ বিনোদনের প্রত্যাশায় তুষার ভ্রমণ করেছে ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) রূপকথা ট্যুরিজমের আয়োজনে বোলজানোর কানাজেইয়ি, ডলোমাইট গিরিপথ প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী এ ভ্রমণে অংশ নেন। রুহুল আমিন মান্নার তত্বাবধানে থিয়েনো ও ভিচেন্সার শিবলী সাদিক, মোহাম্মদ হায়দার, প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন, মো: আরিফুর রহমান, মো: আলামিন, জুয়েল আহমেদ সহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই তুষার আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণ করেন। তুষার ভ্রমণে যাত্রাপথে বাসের মধ্যে বিভিন্নরকম গানের তালে সবাই হৈ-হুল্লোড় করে বিনোদনে মেতে উঠেন। তুষার ভ্রমণে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির শুভ্রতায় সবাই ছিলেন মুগ্ধ। পাহাড়ের গায়ে বরফের অপার সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা যেন সতেজ করে তোলে যান্ত্রিক জীবনের ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের। তুষার ভ্রমণে বিভিন্ন রকমের বাংলা গান,কবিতা আবৃত্তি র‍্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ এবং নানারকম সুস্বাদু খাবার দেয়া হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

দীর্ঘ ১৯ বছর পর প্রথম সন্তানের বাবা হলেন ইতালিতে সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হালিম

ইতালি: ইতালিতে সফল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল হালিম ও মাকসুদা আক্তার শাহিনা দম্পতির প্রথম পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৮ ডিসেম্বর২০২৩) ভিচেন্সার একটি হসপিটালে শিশুপুত্রের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। সদ্যজাত শিশু পুত্র ও তার মায়ের সুস্থ্যতা কামনা করে এবং সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আব্দুল হালিম ভিচেন্সার একটি স্থানীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ও আগত মেহমানদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। এই দোয়া আয়োজনে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর ১৯ বছর এই দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি। দীর্ঘদিন পর আব্দুল হালিমের প্রথম সন্তানের জন্মের খবরে দেশে ও বিদেশে তাঁর আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীরা নবজাতক শিশুর জন্য দোয়া ও এই দম্পত্তিকে শুভকামনা জানিয়েছেন। হাজি আব্দুল হালিমের দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের কলাবাড়ি গ্রামে। তিনি ২০১০ সালে ইউরোপের দেশ ইতালিতে পারি জমান। ইতালির ভিচেন্সায় একজন সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী তিনি। বর্তমানে ইতালিতে তার তিনটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদেরও। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ডাকে সারা দিয়ে ইতালি বিএনপি’র বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাসির উদ্দিনের নির্দেশনায় ধারাবাহিক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলতে মোন্তেকীও, থিয়েনে ও অরজিনিয়ানো শেষে ৩০/১২/২০২৩ ভিছেন্সা শহরে ইতালির ভিছেন্সা প্রবিন্স বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকদার মোহাম্মদ কায়েস ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার এর উদ্যোগে ভিছেন্সা বিএনপি’র সম্মানিত সদস্য  ইমরান খান, উপদেষ্টা সদস্য খবির খন্দকার ও রফিকুল ইসলাম মান্না সরদার, সহ-সভাপতি  জাফর আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি কামাল মাঝি, প্রচার সম্পাদক জনাব ফরহাদ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা মামুন খান, মিনটু, প্রিন্স, জাহাঙ্গীর, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির, আরিফ হোসেন, মোহাম্মদ আরিফ, শাকিল সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহায়তায় শত শত প্রবাসীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় পথসভায় নেতৃবৃন্দ এ সরকারকে লুটেরা লোভি ও কাপুরুষ আখ্যা দিয়ে, বিরোধী দল ও ভিন্নমতের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে কারাগারে বন্দী রেখে কিংবা মাঠে গোলপোস্টের সাথে মন্দি রেখে এককভাবে মাঠে রাজত্ব করে গোল দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই সকল দর্শকদেরকে দর্শক হিসেবে এ খেলা উপভোগ না করে তাদেরকে প্রতিহতের জন্য মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহবান জানান, এবং যতদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হবে ততদিন আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বিজয়ের মালা নিয়ে তবেই আমরা ঘরে ফিরব এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় ইতালি বিএনপির  স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক  আব্দুল আউয়াল,ও হাসান খান, মইনুল ইসলাম মিন্টু, আইনুদ্দিন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সর্বস্তরের জনগণ সহমত পোষণ করেন এবং এই নিশি রাতের অবৈধ সরকার ও  কাপুরুষ সূচিত খেলোয়াড় অবৈধ নির্বাচন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে লালকার্ড প্রদর্শন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিউনিটির বড়দিন উদযাপন

ইতালিতে বলোনিয়ায় বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিউনিটির পালন করেছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বলোনীয়া বর্গোপানিগালে স্থানীয় গীর্জার হলরুমে ঝাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বড়দিন পালন করে প্রবাসী খ্রিস্টান বাংলাদেশিরা। এই উপলক্ষে ছোট ছোট শিশু ও কিশোরীদের নিয়ে কেক কাটা হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে যিশু খ্রিস্টের আরাধনায় কীর্তন ও ভোজন পরিবেশন করা হয়। বিশ্বময় বড়দিনের উৎসব ছড়িয়ে দিতে  ইতালীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। <span;>বড়দিনের আলোক সজ্জার মতো শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়, এমনটাই প্রত্যাশা ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশি যীশু প্রেমিক খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের। ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নির্বাচন বর্জনের আহবান জানিয়ে ইতালি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের লিফলেট বিতরণ

ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ইতালি বিএনপির নির্দেশে ভিচেন্সা বিএনপি শাখা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে। দেশ নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও ইতালি বিএনপি’র সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাসির উদ্দিন ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ইতালি ভিছেন্সা বিএনপি শাখা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচির ধারাবাহিক অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভিছেন্সা প্রবিন্সের আরজিনানো শহরে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে ইতালির ভিছেন্সা বিএনপি শাখা। ইতালির ভিছেন্সা প্রবিন্স বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকদার মোহাম্মদ কায়েস, ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার এর উদ্যোগে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মান্না, জনাব কামাল মাঝি, প্রিন্স ও ফরহাদ হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন-  ইমরান খান, জাফর আহমেদ, খবির খন্দকার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মীর ইসমাইল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মোঃ মিন্টু, মোহাম্মদ আরিফ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রবাসীদের দেশে অবস্থানরত পরিবার-পরিজন যাতে নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে না জান এবং যার যার অবস্থান থেকে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এই গণমানুষের ও নাগরিকের অধিকার হরণকারী ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন এ ব্যাপারে সবাইকে অনুরোধ জানান। ঢাকাওয়াচ/টিআর