মধ্যরাতে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি বৈঠক, নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত


MARCH NAEEM 2ND/sa_1748061842.jpg

একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেকার দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে আবারও নির্বাচনী সমঝোতার আভাস মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাতে দল দুটির শীর্ষ নেতারা এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এই বৈঠকেই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়কাল নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। 

রাজধানীর রমনার একটি বাসায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির আমির শফিকুর রহমান এবং বিএনপির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও বৈঠকে অংশ নেন। 

সূত্র জানায়, বৈঠকে বিরাজমান সংকট এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে তিন দলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে বিএনপি ও জামায়াত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অভিন্ন অবস্থানে আসে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না হলেও, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে দল দুটি।

যদিও বৈঠকের বিষয়টি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জামায়াতের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এই সমঝোতার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, সরকার ডিসেম্বরে বা তার দুই মাস পরেও নির্বাচন দিলে জামায়াতের আপত্তি থাকবে না, তবে একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী ও সংস্কারের রোডম্যাপ প্রয়োজন।

গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল, যেখানে জামায়াত সংস্কারকে প্রাধান্য দিচ্ছিল। এই নতুন সমঝোতা পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দল দুটির মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা পূর্বে সংঘাত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে, এনসিপি নির্বাচন প্রশ্নে তাদের পূর্বের অবস্থানেই রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×