
হিমেল হাওয়ার প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ধাপে ধাপে কমছে। এর মধ্যেই নতুন শৈত্যপ্রবাহ ‘কনকন’ বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে, যার প্রভাবে পারদ নেমে যেতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারীরা বলছেন, আসন্ন এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে আগামী কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানায়, শৈত্যপ্রবাহ ‘কনকন’ ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অথবা ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা পড়েছে রাজধানী ঢাকাও। দিনের বড় একটি সময় সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ভারতের উত্তরপ্রদেশ অঞ্চল থেকে বয়ে আসা শীতল বায়ুর প্রভাবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। এর ফলে আরও ৩ থেকে ৪ দিন ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।
শীতের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটি এক বিশেষ বার্তায় এই সতর্কতা দেয়।
এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও অন্যান্য ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও পাবনাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ৭ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। পাশাপাশি সিলেট, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামার আশঙ্কা রয়েছে।