
ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর সম্মতি না আসলে আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে সেখানেই রাখার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে তার নিজের উপর নির্ভর করছে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, "আমরা কি করতে পারি, বলুন? কি করণীয়? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠানোর।" তিনি আরও যোগ করেন, "রাজি না হলে আসলে কিছু করার নেই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা করে থাকতে পারি। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।"
গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতের পথে পাড়ি দেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। চলমান আন্দোলন দমন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত মাসে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করলেও নয়াদিল্লি এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
সবশেষে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের পর বাংলাদেশ তাকে ফেরত আনতে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় কূটনৈতিক পত্র প্রেরণ করেছে ভারতকে।