এবার মুফতি কাসেমীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ভয়াবহ অভিযোগ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৪৪ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ধর্মীয় বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে ঘিরে পরকীয়ার বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন বিতর্কে জড়ালেন আরেক আলেম, মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী। নিজেকে তার তৃতীয় স্ত্রী পরিচয় দেওয়া তামান্না হাতুন নামের এক নারী ফেসবুকে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
তামান্না হাতুন দাবি করেছেন, মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’ নামের শরিয়াভিত্তিক বিবাহ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, তালাক দেওয়ার পরও কাসেমী তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি “তামান্না হাতুন” থেকে প্রকাশিত পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমি মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর তৃতীয় নম্বর স্ত্রী। গত এক বছর যাবত তার সঙ্গে আমার মৌখিক বিবাহের মাধ্যমে সংসার করি। দশ হাজার টাকা কাবিন দিয়ে। তা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। ‘Ideal Marriage Bureau-IMB’ এর মাধ্যম মেয়েদেরকে সংসার দেবে, সেটা ওরা ওয়াদা করে...।”
তামান্না তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, বিবাহ ব্যুরোর আড়ালে কিছু নারীকে অল্প সময়ের জন্য ধনী পুরুষদের সঙ্গে বিয়ের নামে ব্যবহার করা হয়। এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার সঙ্গে কাসেমীর দ্বন্দ্ব বাধে, যা শেষে মুখে তালাক পর্যন্ত গড়ায়। এরপরও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আশায় থাকলেও, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর কাসেমী তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পোস্টে তামান্না আরও লেখেন, “বাচ্চা নষ্ট হওয়ার তিনদিন পর সে কুষ্টিয়াতে গিয়ে একটি ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে। এবং সেই বিষয়টি এখনো পাবলিশ করেনি অনলাইনে। ১৪/১০/২০২৫ আমি তার বিরুদ্ধে একটি মামলা জমা দেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি প্রকাশ না করতে তার পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। নিজের বক্তব্যে তামান্না বলেন, একসময় তিনি ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’কে সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাবতেন, কিন্তু এখন বুঝছেন “নারীদের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণা” চলছে।
এর আগে ধর্মীয় বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের বিরুদ্ধেও অনুরূপ অভিযোগ তোলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার। তিনি দাবি করেন, পরকীয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আদনান তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন।
তামান্নার এই পোস্ট প্রকাশের পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।