শিগগিরই অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্রতি বছর অনলাইন নিউজপোর্টালের নবায়ন বাদ দেয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম এতোটা উন্মুক্ত যে, নিবন্ধনের বাইরেও অনেক অনলাইন গণমাধ্যম কাজ করছে। গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির প্রশ্নই আসে না। তবে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার বিষয় আছে।সেটা আমরা চেষ্টা করছি। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যম মালিকদের সংগঠন অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব)-এর সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওনাবের সহসভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় বক্তব্য রাখেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রয়োজন আছে। কিন্তু অপতথ্য সাংবাদিকতাকে নষ্ট করে। তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত অনলাইনের বাইরে অনিবন্ধিত এবং অবৈধ অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধের দাবি উঠেছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পদক্ষেপ নেবো। এ সময় মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সরকারের কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তবে অপপ্রচারের লক্ষ্যে অসত্য তথ্য দিয়ে খবর প্রচার করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তিনি জানান, শিগগিরই এ ব্যাপারে আপনারা সুখবর পাবেন। প্রয়োজনে ওনাব নেতৃবৃন্দকে এ সংক্রান্ত কমিটিতে নেওয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সংবাদপত্রের সার্কুলেশন জানার আধুনিক প্রযুক্তি তেমন না থাকলেও এক নিমিষেই অনলাইন নিউজপোর্টালের পাঠক সংখ্যা জানা সম্ভব। তাই অনলাইন গণমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন দেয়ার কাজটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে করা যাবে। এসময় ওনাব নেতারা আসন্ন বাজেটের আগেই সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। জবাবে অতি দ্রুত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ঢাকাওয়াচ/স

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

ভোলার মনপুরায় দুই মৎস্য কর্মকর্তার চাঁদাবাজি ও গণধোলাইয়ের সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক আমার সংবাদ’র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই মামলা দায়ের করেন। এতে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পাটওয়ারীকে আসামী করা হয়। গত ০২ এপ্রিল মনপুরা উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে অবরোধকালিন সময়ে মৎস্য অভিযানের নামে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে যায় উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ও ক্ষেত্র সহকারি মোঃ মনির হোসেন । জেলেরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এই দুই মৎস্য কর্মকর্তা জেলেদেরকে মারধর করে । এসময় স্থানীয় এক বিধবা নারী বাঁধা দিলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে । পরে বিধবা নারী ও জেলেদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে গণ পিটুনী দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপালাতে চিকিৎসা দেয়। এতে ঘটনার দিন ০২ এপ্রিল মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে বিধবা নারী বাদী হয়ে ওই দুই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় অভিযোগ দেন। পরবর্তিতে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেও ওই বিধবা নারী বাদী হয়ে মামলা করেন। উক্ত ঘটনায় অভিযোগ ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ সহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে “মনপুরায় চাঁদা আদায়কালে দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে গণধোলাই” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের জেরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জেলেদের পাশাপাশি দৈনিক আমার সংবাদ’র মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পাটওয়ারীকে আসামী করে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি মোঃ মনির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে দৈনিক ভোরের কাগজ ও আরটিভি’র মনপুরা প্রতিনিধি সোহাগ মাহামুদ সৈকত বলেন, জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গণপিটুনীর স্বীকার হন দুই মৎস্য কর্মকর্তা। থানায় অভিযোগ ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে দৈনিক আমার সংবাদ ও আমাদের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মাসুদ পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি তার নিঃশর্ত অব্যাহতি কামনা করছি। মনপুরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মনপুরা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক, দৈনিক যায়যায়দিন ও মাইটভি প্রতিনিধি সীমান্ত হেলাল বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানী খুবই দুঃখজনক। উক্ত মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতির জন্য আহবান জানাচ্ছি। সংবাদ প্রকাশের জেরে এই ভীত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলায় মনপুরা প্রেস ক্লাব, মনপুরা মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সহ সকল সংবাদকর্মিরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি দৈনিক আমার সংবাদের মনপুরা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পাটওয়ারীকে মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। ঢাকাওয়াচ/স

কালিহাতীর সাংবাদিক হারুন আর নেই

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক হারুনুর রশীদ (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৬ বছরের ১ ছেলে, তিন বছরের ১ মেয়ে, স্ত্রী, বাবা-মা, বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক হারুনুর রশীদ সাংবাদিক ফোরাম ছাড়াও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রাতে তারাবি নামাজের পর তার গ্রামের বাড়ি কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌরসভার কুড়িঘুরিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সাংবাদিক হারুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, লোকাল অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিদিনেরটাঙ্গাইল২৪.কমের সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত ও সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর মিল্টন। কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর মিল্টন বলেন, ২৫ মার্চ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হারুনকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। বাড়িতে আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত রোববার তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান হারুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকায় কর্মরত ভোলার সাংবাদিকদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম (ডিবিএসএফ)। শনিবার ( ৩১ মার্চ) রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ানবাজার কাব্যকস সুপার মার্কেটের ৭ম তলায় সাপ্তাহিক ‘তদন্ত চিত্র’ পত্রিকার অফিসে সংগঠনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। এতে সংগঠনের প্রায় অর্ধশত সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ডিবিএসএফ সভাপতি আহসান কামরুল উপস্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে ‘ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের সাফল্য কামনা করে সূচনা বক্তব্যে বলেন, সংগঠন হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকার একটি প্ল্যাটফর্ম। সাংবাদিক সমাজ সর্বদা সব ভালো কাজে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাবে। সেই ধারাবাহিকতায় ডিবিএসএফ সদস্যরা সংগঠনকে আরও এগিয়ে নেবেন। ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ধন্যবাদ বক্তব্যে উপস্থিত সবার সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশের নিপীড়িত সাংবাদিক সমাজের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সংগঠন একটি পরিবার। অন্যান্য সংগঠনগুলোর মতো করেই এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম। এজন্য সবাইকে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি

কক্সবাজার: কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের টেলিভিশন সাংবাদিকদের ইউনিটি কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাধারণ সভা শেষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এ কমিটি ঘোষণা করেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের। সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষিত কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটিতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. নজিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সুনীল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সময় টিভির কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান সুজাউদ্দিন রুবেল। কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আহসান সুমনের সঞ্চালনায় সভায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জুনাইদ, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক নুপা আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

তিতুমীর ছাত্রলীগের হামলায় সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ গুরুতর আহত

সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর রড, লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে। লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে সাব্বিরকে মারাত্বক ভাবে জখম করা হয়৷ তার মাথায়ও আঘাত করা হয়৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে এক দল মুখোশধারী তাকে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাকে বেধরক পেটানো হয়। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক জখম হয়েছে।হামলাকারীরা তাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে দূর্বৃত্তরা। আহত সাব্বির বলেন যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। আমি যেন তাদের চিনতে না পারি এজন্যই তারা মুখোশ পরা অবস্থায় হামলা চালায়। জানা গেছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করে। ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে। ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে । তিনি আর‌ও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সাব্বির আহমেদ বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না। হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হলে তারা বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে । এ বিষয়ে ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ সভাপতি রিপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলেন, তিনি এ বিষেয়ে কিছুই জানেন না। কে বা কারা হামলা করেছে সে সম্পর্কে তিনি জানেন না। ঢাকাওয়াচ/স

ডিইউজে সভাপতি সোহেল-তপু, সম্পাদক আকতার

ঢাকা: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচনে সভাপতি পদে সমান ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম তপু। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন দুই বছরের কমিটি পরিচালনার জন্য টসের উদ্যোগ নেয়। টস অনুযায়ী প্রথম বছর দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও পরের বছর দায়িত্ব পালন করবেন সাজ্জাদ আলম খান তপু। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফরিদ হোসেন সোমবার (১১ মার্চ) রাতে এ ফল ঘোষণা করেন। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোলাম মুজতবা ধ্রুব সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট। অন্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদকে আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান। নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি, এ এম শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা ও অনজন রহমান। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ডিইউজের একাংশের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা: উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণ চলছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদ হোসেন। সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন— আবদুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— আকতার হোসেন, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ও খায়রুল আলম। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন— আশরাফুল ইসলাম, আসলাম সানী, নজরুল ইসলাম মিঠু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন— ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাঁধন কুমার সরকার, মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর। যুগ্ম সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— আছাদুজ্জামান, এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মো. শাহজাহান মিঞা। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য লড়ছেন— মীর আফরোজ জামান, রেজাউল কারীম, সাকিলা পারভীন ও সোহেলী চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও রাজু হামিদ। আইনবিষয়ক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আসাদুর রহমান, মাসুম আহাম্মদ ও রবিউল হক। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আমানউল্লাহ আমান, এম শাহজাহান সাজু ও মুহাম্মদ মামুন শেখ। দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আইরিন নিয়াজি মান্না, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। কল্যাণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন ও শাহজাহান স্বপন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— ইস্রাফিল হাওলাদার, এস এম বাবুল হোসেন, দুলাল খান ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ)। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন দীপা ঘোষ রীতা, সুমি খান ও সুরাইয়া অনু। নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে আট পদের জন্য লড়ছেন— অনজন রহমান, আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার সাদাত সবুজ, আনোয়ার হোসেন আকাশ, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, এ এম শাহজাহান মিয়া, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, জি এম মাসুদ ঢালী, নাঈম মাশরেকী, নাসরিন বেগম গীতি, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, রারজানা সুলতানা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজেদা হক, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী এবং সালাম মাহমুদ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ঢাকা বিজনেস সম্পাদক উদয় হাকিমের জন্মদিন পালিত

বিশিষ্ট ভ্রমণ লেখক, ভিসতা ইলেক্ট্রনিক্সের পরিচালক ও ঢাকা বিজনেস সম্পাদক উদয় হাকিমের জন্মদিন পালান করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) গুলশান-১-এ ভিসতার করপোরেট কার্যালয়ে ভিসতা পরিবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ও ঢাকা বিজনেস পরিবারের সদস্যরা কেক কেটে ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তার জন্মদিন পালন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসতার চেয়ারম্যান সামছুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ, হেড অব সেলস্ তানভীর জিহাদ, ডেপুটি ডিরেক্টর সোহেল আহমেদ, ঢাকা বিজনেস-এর বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হকসহ ভিসতা পরিবারের কর্মকর্তারা। আপাদমস্তক ভ্রমণ পিপাসু উদয় হাকিমের জন্ম টাঙ্গাইলে ১৯৭৫ সালের ৩ মার্চ। মাধ্যমিক সেখানেই। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন লেখক উদয় হাকমি। প্রথম পেশা সাংবাদিকতা। শুরু হয় ১৯৯৯ সালে প্রথম আলোতে কাজ করার মধ্য দিয়ে। এরপর কাজ করেন চ্যানেল আই, দেশের প্রথম ২৪ ঘণ্টা খবরের চ্যানেল সিএসবি নিউজ এবং কালের কণ্ঠে। করপোরেট জগতে প্রবেশ করেন ২০১০ সালে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ওয়াল্টনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে। বর্তমানে ভিসতার পরিচালক ও ঢাকা বিজনেসের সম্পাদক। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভ্রমণ শাখায় শক্তিশালী লেখক মনে করা হয় উদয় হাকিমকে। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দার্জিলিঙে বৃষ্টি কালিম্পঙে রোদ’, ‘রহস্যময় আদম পাহাড়’, ‘সুন্দরী জেলেকন্যা ও রহস্যময় গুহা’, ‘হেলিচেয়ার’ এবং ‘ভূতের মহাসমাবেশ’ ইত্যাদি। ভ্রমণসাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘আমরা কুঁড়ি পুরস্কার’, ‘সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার’ ও ‘সংশপ্তক পদক’। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বেইলি রোডে আগুনে সাংবাদিক অভিশ্রুতির মৃত্যু

রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাবেক সংবাদকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী মারা গেছেন। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে সহকর্মীরা তাকে শনাক্ত করেন। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে এসএসসি ও ২০১৭ সালে এইচএসসি পাশ করেছেন। জানা গেছে, অভিশ্রতি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। স্নাতক অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ পোর্টালের হয়ে নির্বাচন কমিশন বিটে সংবাদ সংগ্রহে যুক্ত ছিলেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দ্য রিপোর্টের সাবেক ভিডিও এডিটর তুষার হালদারেরও মৃত্যু হয়েছে। তিনি বর্তমানে ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তুষার ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের প্রাণ গেছে। এছাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জনও শঙ্কামুক্ত নন। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইনের আউটলেট ছিল বলে জানা গেছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের দ্বি—বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম আলো নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান সোহেল এবং দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সময়ের আলো’র জেলা প্রতিনিধি ও বাংলার কাগজ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পানিহাটা মিশন সংলগ্ন তারানী ফুটবল মাঠে প্রেসক্লাবের ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যক্রম শুরু হয় সভাপতি আব্দুল মান্নান সোহেলের সভাপতিত্বে। সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরের সঞ্চালনায় প্রথম অধিবেশনের কার্যক্রম শেষ হয় বিকেলে। এরপর ক্রীড়ানুষ্ঠান শেষে প্রেসক্লাবের তিন উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশনার এমএ হাকাম হীরা, সামেদুল ইসলাম তালুকদার এবং গোপাল চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে শুরুহয় দ্বিতীয় অধিবেশন। সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি পদে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেন আব্দুল মান্নান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মনিরুল ইসলাম মনির। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে দ্বিতীয় বারের মতো বৈশাখী টেলিভিশনের বিপ্লব দে কেটু, দৈনিক মানব জমিনের মাহফুজুর রহমান সোহাগ, সহ—সাধারণ সম্পাদক দৈনিক নয়াদিগন্তে ও একুশে সংবাদের আব্দুল মোমেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক দেশের কন্ঠের জাফর আহম্মেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুঞ্জুরুল আহসান নির্বচিত হয়েছেন। এছাড় অর্থ সম্পাদক পদে দৈনিক আমাদের সময়ের এম সুরুজ্জামান, দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে মানব কন্ঠের মোজাহিদুল ইসলাম উজ্জল এবং কল্যাণ তহবিল সম্পাদক পদে রাকিবুল ইসলাম রাকিব নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান আর নেই

প্রকাশিতব্য দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি লায়েকুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এসআরজে সুমন বলেন, শনিবার বিকেলে কর্মস্থল রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লায়েকুজ্জামান এর আগে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি তিনি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক মানবজমিন ও সকালের খবরে কাজ করেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

আদমদীঘিতে সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ার আদমদীঘিতে মনজুরুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার মুরইল বাজার এলাকার জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মনজুরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের কাগজের আদমদীঘি উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি আদমদীঘি উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের মরহুম মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মনজুরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে তার আত্মীয়কে পাশের দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে রাখতে যান। সেখানে থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে এই ঘটনার শিকার হন। স্থানীয় লোকজন সড়কের ওপর মনজুরুলের মরদেহ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গতকাল বুধবার রাতে সাংবাদিক মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। সুরতহালে দেখা গেছে মনজুরুলের কোমরের অংশ দ্বিখণ্ডিত ছিল। বড় কোনো গাড়ির চাকার চাপে শরীরের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গাড়িটির পেছনের চাকার ছাপ অনেক চওড়া ছিল। যেটা মরদেহ থেকে বেশ কিছু দূরে ছেঁচড়ে গেছে। এর মানে পেছনে দুটি করে চাকা। ওসি আরও বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের স্বজনেরা তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা হত্যা মামলা করতে চান। আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখণ্ডিত হয় না। এ ছাড়া তার শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তার এই মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে, সেটি কেউ বিশ্বাস করছে না। পুলিশের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান তিনি। ঢাকাওয়াচ/টিআর

মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মন্টু, সম্পাদক মানিক

মেহেরপুর: মেহেরপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ফজলুল হক মন্টু (এসএ টিভি) সভাপতি ও মাজেদুল হক মানিক (আরটিভি) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল আহমেদ ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সহ-সভাপতি মহাসিন আলী (আলোকিত বাংলাদেশ) ও ফারুক মল্লিক (ইনকিলাব), যুগ্ম সম্পাদক জি এফ মামুন লাকি (লোকসমাজ) ও বেন ইয়ামিন মুক্ত (সময় টিভি), অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম (ভোরের ডাক), সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান (চ্যানেল২৪), দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ (প্রথম আলো), নির্বাহী সদস্য নুহু বাঙালি, মামুন বঙ্গবাসী, উম্মে ফাতিমা রোজিনা (এটিএন বাংলা) ও আসিফ ইকবাল (৭১টিভি) নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। অন্যান্য পদগুলোতে একাধিক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশন নুরুল আহমেদ জানান, নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা নির্বাচন চলে। নির্বাচনে ৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এছাড়া বাকি দুজন কমিশনার আলিমদ্দিন ও সাজ্জাদুজ্জামান কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব রাশেদ কাঞ্চনের জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন সংবাদের জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ত্ব রাশেদ কাঞ্চনের জন্মদিন আজ। চ্যানেল আই ও এটিএন বাংলার পরে বর্তমানে তিনি দেশের প্রথম সম্পুর্ন এইচডি টেলিভিশন চ্যানেল এসএ টিভির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক রুটে বাংলাদেশের প্রথম নন-শিডিউল্ড প্রাইভেট চার্টার্ড ফ্লাইটস অপারেশনস কোম্পানি গ্যাম্বিট এভিয়েশনের বোর্ড অব ডিরক্টেরস অ্যান্ড ইনভেস্টরস-এর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। রাশেদ কাঞ্চন ১৯৯৫ সালে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মধ্যদিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তারপর মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজের প্রভাষক এবং স্যার জন উইলসন স্কুলেও শিক্ষকতা করেন সুনামের সঙ্গে। শিক্ষকতা পেশাতে ইতি টেনে ১৯৯৯ সালে দেশের কৃষি সাংবাদিকতার পথিকৃত ও খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব শাইখ সিরাজের শিষ্যত্ব গ্রহন করেন এবং গণমাধ্যমকে পেশা হিসেবে বেছে নেন-যোগদান করেন চ্যানেল আইতে। শাইখ সিরাজের সরাসরি তত্বাবধানে নিজেকে গড়ে তোলেন একজন অলরাউন্ডার টেলিভিশন কর্মী হিসেবে। মাঠের সাংবাদিকতা, অনুষ্ঠান ও সংবাদ উপস্থাপনা, অনুষ্ঠান নির্মান, সেলস এন্ড মার্কেটিং, টীম অপারেশনস, টেলিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং গণসংযোগ উদ্যোগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বহুজাতিক গণসংযোগ সংস্থা গ্লোবালকম-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি চিফ হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্বরত আছেন ২০০৯ সাল থেকেই। ইউরোপের সর্ববৃহত গণসংযোগ সংস্থা আইমার্চেরও তিনি কান্ট্রি হেডের দায়িত্বে আছেন ২০১২ সাল থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক গ্লোবাল গ্রুপ ফর পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট (জিজিপিএস-ইউএস)-এর সম্মানজনক অনারারী চেয়ার-এর দায়িত্বেও আছেন বাংলাদেশি সফল এই গণমাধ্যমকর্মী। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ যাত্রায় দেশে বিদেশে নেতৃত্বের এবং সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন সব ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশে মার্কিন, রাশিয়ান ও চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সুস্পষ্ট অবদান রেখে চলেছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গ্যাম্বিট এভিয়েশন-এ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। গ্যাম্বিট এভিয়েশন-এ তার নেতৃত্বের প্রতি পুর্ন আস্থা রাখার জন্য তিনি দেশি-বিদেশি সকল বিনিয়োগকারী ও বোর্ড ডিরেক্টরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার দীর্ঘ টেলিভিশন ক্যারিয়ারে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল নিজের জীবন বাজি রেখে ২০০৩ সালে ইরাকের বিভিন্ন যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে সরাসরি সংবাদ রিপোর্টিং এবং ২০০১ সালে গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত পশ্চিম আফ্রিকান দেশ সিয়েরা লিওনের যুদ্ধ সংবাদ কভার করা। সে সময়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে লাইভ রিপোর্টিং তাকে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। সকল শ্রেণির দর্শকদের কাছে তিনি হয়ে উঠেন বিনয়ী ও নিরপেক্ষ এক সংবাদকর্মীর প্রতীক হিসেবে। গতানুগতিক রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব তার সাংবাদিকতাকে স্পর্শ করতে পারেনি। এছাড়াও তিনি দেশের প্রথম সংবাদকর্মী যিনি মাঠের সাংবাদিকতার পাশাপাশি একই সঙ্গে স্টুডিওতে সংবাদ উপস্থাপনায়ও বৈচিত্রের স্বাক্ষর রেখেছেন। একজন স্টাইলিস্ট সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। রাশেদ কাঞ্চন তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সবসময় বেশ কিছু বিষয়ে সবার চাইতে নিজেকে ব্যতিক্রম রেখেছেন। সাংবাদিকতা করেও কখনো কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাকে প্রশ্রয় দেননি তিনি। নিজ পেশায় দক্ষতা দেখালেও কখনোই গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের কোনো ধরনের সংগঠণের সঙ্গেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেননি। এমনকি কোনো সংগঠনের সাধারণ একজন সদস্য হতেও তার রয়েছে ব্যাপক আপত্তি। সাংবাদিকতা পেশায় থেকেও গণমাধ্যমের স্টিকার সংযুক্ত গাড়ি ব্যবহারেও আদর্শিক বিরোধিতা রয়েছে তার। কোনো ধরনের অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ বা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যেতেও তার রয়েছে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর রাশেদ কাঞ্চন তার আজকের অবস্থানের জন্য বিশেষভাব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তার শিক্ষাগুরু ও তাঁর জীবনের আদর্শ শাইখ সিরাজ, চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদপুর রেজা সাগর, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, এসএ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজ-এর চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী এবং মার্কিন লাইফ কোচ ও বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা জে টি ফক্সের প্রতি। তিনি বলেন, ‘এই গুণী মানুষগুলোর আন্তরিকতা ও সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া আমার আজকের অবস্থানে আসা কোনো দিনই সম্ভব হতো না। এছাড়াও তার সকল সাবেক ও বর্তমান সহকর্মী এবং তার নিজ পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। ২০০৭ সালে রত্নগর্ভা মা পদকে ভূষিত বেগম মকছুদা কবীর ও সরকারি খাদ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের নয় সন্তানের মধ্যে রাশেদ কাঞ্চন পঞ্চম। ব্যক্তি জীবনে রাশেদ কাঞ্চন সদা হাস্যোজ্জল, বিনয়ী ও সদালাপি একজন অতি সাধারণ মানুষ। তিনি দুই কন্যা সন্তান তেরেসা কাঞ্চন ও ইবাদি কাঞ্চনের গর্বিত জনক। তার সহধর্মিনী হ্যাপি কাঞ্চন একজন সফল ও সুপরিচিত উদ্যোক্তা। তিনি স্বপ্ন দেখেন শ্রেণি বৈষম্যহীন এক উন্নত রাষ্ট্র ব্যবস্থার- যেখানে জনগণ সবসময়ই সম্মানীত হবে রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক হিসেবে। সংবিধানে নাগরিকের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থানকেও মৌলিক অধিকার হিসেবে দেখতে চান এই সংবাদকর্মী। নারীর প্রতি সম্মানশীল ও আগামীর প্রজন্মের প্রতি বিশেষ যত্নবান হবার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি তার বিশেষ অনুরোধ সবসময়ই প্রাধান্য পায় তার লেখা ও বলায়। ঢাকাওয়াচ/স

হত্যা, নির্যাতন ও আমাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি

আমাদের দেশে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানি নতুন কোনো ঘটনা নয়। অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে চললেও বিগত কয়েক দশকে দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে; যা দেশের গণমাধ্যম জগতের জন্য এক অশনিসংকেত। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাগুলো সংবিধানস্বীকৃত স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করে, যা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়। বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, যে কোনো সময়কার ক্ষমতাশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার জেরে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত হামলা-মামলা-নির্যাতন ও হত্যা স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে, যার সর্বশেষ নিদর্শন জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী হত্যাকাণ্ড। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক-২০২৩ এর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত দুবছরে বাংলাদেশ (গণমাধ্যম সূচকে) ১১ ধাপ ও ১৪ বছরে ৪২ ধাপ নিচে নেমেছে। যে বিষয়গুলোর ওপর এই সূচক নির্ধারিত হয়, তার অন্যতম একটি বিষয় হলো সাংবাদিকের নিরাপত্তা। আর ঠিক সেখানেই বাংলাদেশের স্কোর হতাশাজনকভাবে কম। দেশে বারবার সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ঘটলেও এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত বিচার না হওয়া, ‘অদৃশ্য শক্তির’ প্রভাবে ছাড় পেয়ে যাওয়ার ফলে দেশে এ ধরনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বলাবাহুল্য। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অযাচিত আক্রমণ, সহিংস ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য চরম বাস্তবতা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিচারহীনতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনাগুলো বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নিঃসন্দেহে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গত বছর (২০২২) মানবাধিকার সংস্থা ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র তথ্যমতে, গত ১০ বছরে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার হওয়ার নজির খুব কমই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিক হত্যার বিচার ঝুলে যাচ্ছে দীর্ঘসূত্রতায়। শুধু গত এক দশকেই নয়, তার আগের হত্যাকাণ্ডগুলোরও বিচারের নজির মিলছে কম। বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ‘আর্টিকেল-১৯’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের হার ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে এ হার হয় ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের হয়রানির পরিমাণ বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। হয়রানির মধ্যে মানহানির দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে ২১৩ জন সাংবাদিক ও আটজন ব্লগার বিভিন্নভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, গুরুতর জখম হয়েছেন ৪০ জন। আর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬২ জন সাংবাদিক। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত পেশাগত কারণে ২৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০১০ সালে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের হাতে চারজন খুন ও দুজন অপহরণসহ ৩০১ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওই সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২০১৪ সালে দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, ২৩৯ জন সংবাদকর্মী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা ‘ম্যাস-লাইন মিডিয়া সেন্টার’র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ২১২টি ঘটনায় ৫১২ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে সাংবাদিক সাগর-রুনী দম্পতিসহ খুন হয়েছেন পাঁচ সাংবাদিক। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রিডম হাউজ’র ২০১৩ সালের এক সমীক্ষায় বলা হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিচারে বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫। এর আগে ওই প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ২০১২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১২। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা প্যারিসভিত্তিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ প্রকাশিত ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬। সূচকে বাংলাদেশের অবনতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এর আগে ২০১৩ সালে ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৪। একের পর এক সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় এ দেশ ইতোমধ্যে এশিয়া মহাদেশে প্রথম স্থানও অধিকার করেছে। আশ্চর্যের বিষয়, দেশে বারবার সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন এবং হয়রানির ঘটনা ঘটলেও এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বললেই চলে। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হামলাকারীরা ‘অদৃশ্য শক্তি’র প্রভাবে ছাড় পেয়ে যাওয়ার ঘটনাও সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন ও হয়রানিকে ত্বরান্বিত করছে। আর এ কারণেই হয়তো সাংবাদিক সাগর-রুনী, শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ অনেক সাংবাদিকদের পরিবার দীর্ঘদিনেও তাদের স্বজন হারানোর বিচার পান না। দেশের বাইরে পলাতক অসংখ্য নবীন ও প্রবীণ সাংবাদিক।  প্রতিযশা সাংবাদিক কনক সরোয়ার, শাহেদ আলম, ইলিয়াস হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছে। আল জাজিরায় কর্মরত জুলকার নাইন সায়েম আছে হাংগেরি তে। নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল সুইডেনে বসে দেশের গনতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন দেশ ছেড়ে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডি, ডাব্লিউ তে  কাজ করছে। দেশে থেকে সে স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারে নি। দৈনিক দক্ষিনাঞ্চল পত্রিকার সাংবাদিক রেজওয়ান ইসলাম প্লাবনের কথা বিবেচনা করা যাক। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলো। অথচ এই ফুলের কলিটি কে আমরা ফোটার আগেই ঝরে যেতে দিলাম। হয়রানি মূলক মামলায় জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে তিনি আজ দেশান্তরী। রাজনীতি ও চলচ্চিত্রের উপর তার কয়েকটি লেখা পড়া হয়েছিল আমার। কলমে ধার আছে তার। পড়াশুনা শেষে সহজেই একটা চাকরি নিয়ে বিলাসী জীবন কাটিয়ে দিতে পারতো। অথচ এই দেশে সাংবাদিকতার মতো কণ্টকাকীর্ণ পথ কে বেছে নিয়ে আজ নিজ দেশে জীবনের ঝুঁকি থাকার কারনে পলাতক হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই দায় কি রাষ্ট্র এড়াতে পারে? যে রাষ্ট্রে গুনীদের কে রক্ষা করতে পারে না, সে রাষ্ট্রে গুনীরা জন্মায় না। আমরা ক্রমেই মেধা শূন্য একটা জাতিতে পরিনত হওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছি। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী গণমাধ্যমের রয়েছে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা, রোধ করার চেষ্টা করা কিংবা গণমাধ্যমকে সংসদের বিপরীতমুখী ভাবা অথবা গণমাধ্যমকর্মীদের শায়েস্তা করার চেষ্টা করা নিশ্চয় কোনো শুভ বিষয় হতে পারে না। কারণ, দেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদ ও সংবাদপত্রের ভূমিকা বিপরীতমুখী নয়। বরং তা একে অপরের পরিপূরক। রাজনীতিবিদদেরই স্মরণ রাখা প্রয়োজন, গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের সম্পর্ক অবিভাজ্য এবং অবিচ্ছেদ্য। একজন রাজনীতিবিদের গণমাধ্যমের প্রতি সম্মানবোধ থাকা উচিত এবং গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীলতা পালন করা আবশ্যক। কারণ, এ দুটি বিষয় সব সময়ের জন্যই গণতন্ত্রের জন্য অমূল্য সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয়। গণমাধ্যম ও রাজনীতি যেহেতু একে অপরের পরিপূরক, সম্পূরক এবং সাহায্যকারী, তাই এদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে তা সুষ্ঠু গণতন্ত্রের পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসাবে গণ্য হবে। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, দেশে অগণতান্ত্রিক চর্চা, স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যম সব সময়ই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে হ্যাঁ, যদি কখনো কোনো সংবাদপত্রে বা কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অসত্য ও ভিত্তিহীন হয়, তবে যার বিরুদ্ধে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তিনি বা সেই সংস্থা বা সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাঠালে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা বা গণমাধ্যম ওই প্রতিবাদ ছাপাতে বাধ্য। এছাড়া তারা প্রতিকারের জন্য প্রেস কাউন্সিল বা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। যা হোক, দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাকে আজ আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসাবে আখ্যায়িত করা যায় না। দেশের সরকার এবং জনগণ নিশ্চয় সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশ ও জনগণের সার্বিক মঙ্গলের স্বার্থেই সাংবাদিক ও সংবাদপত্র দমননীতির মনোভাব প্রকাশ থেকে সবারই দূরে থাকা উচিত। ভবিষ্যতে আর যেন কোনো সাংবাদিককে হত্যা-নির্যাতনের শিকার না হতে হয়, তাদের ওপর আর যেন কোনো ধরনের অন্যায় জুলুম, নির্যাতন, হয়রানি না চলে সে বিষয়গুলো সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দেশে সংঘটিত সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িতদের সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা তথা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। অন্যথায়, দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন, উন্নয়ন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশসহ সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হবে, যা কারও কাম্য নয়। ড. কুদরত -ই-খুদা লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক ঢাকাওয়াচ/স

সাউথ বাংলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক আবু সাঈদ খান, সদস্য সচিব মিঠু

ঢাকায় কর্মরত দক্ষিণ বাংলার ২১ জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে সাউথ বাংলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ রোববার  জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুপুর ১টায় এ কমিটি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠু। সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাংবাদিকদের মানোন্নয়নসহ অত্র অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পায়নে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তিভিত্তিক বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বেগবান করা। ৩০ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্যরা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক পি আর বিশ্বাস (দ্যা এশিয়ান এজ) ও মো. আলম হোসেন খান (আমাদের বার্তা),  যুগ্ম সদস্য সচিব শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (মুখপাত্র),  সদস্য দীপ আজাদ  (নাগরিক টিভি), রাকিব হাসনাত সুমন (বিবিসি), মোহসিন হাবিব (ইত্তেফাক), বোরহানুল হক সম্রাট (দেশ টিভি), সিদ্দিকুর রহমান (আলোর ঠিকানা), এম এ কুদ্দুস (সংবাদ), মোজাম্মেল হক চঞ্চল (যুগান্তর), আহমেদ পিপুল (এন টিভি), শরীফ উদ্দিন লিমন (আরটিভি), বানী ইয়াসমিন হাসি (বিবার্তা ২৪), মামুন ফরাজী (যুগান্তর), ওয়াকিল আহমেদ হিরণ (সমকাল), আশীষ কুমার দে (সংবাদ সারাবেলা), মুজিবুর রহমান জিতু (বাসস), পান্থ রহমান (চ্যানেল আই), সিদ্দিকুর রহমান খান (আমাদের বার্তা), মো. রেজাউল করিম (ইত্তেফাক), হেমায়েত হোসেন (দ্য কান্ট্রি টুডে), কাজী সোহাগ (মানব জমিন), দেব দুলাল মিত্র (ভোরের কাগজ), রাজু হামিদ (নাগরিক টিভি), সহিদুল হাসান খোকন  (কলকাতা টিভি), পলাশ মাহমুদ  (কালবেলা), এস কে রেজা পারভেজ (রাইজিংবিডি) এবং নাদিয়া শারমিন (একাত্তর টিভি)। ঢাকাওয়াচ/স

সাংবাদিক শামসের জামিন মঞ্জুর

রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন। শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকাওয়াচ/স

জামিন আবেদন নামঞ্জুর, সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, বুধবার ভোররাতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩১(২)/৩৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকাওয়াচ/স

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আটক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘সম্পাদক পরিষদ’। বুধবার (২৯ মার্চ) সম্পাদক পরিষদের পক্ষে সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সই করা বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এরইমধ্যেই সাংবাদিকতাসহ বাকস্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সাংবাদিক, আইনবিদ, মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকেও আইনটির পরিবর্তন, পরিমার্জন, বিয়োজন ও সংযোজনের বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ, সুপারিশ ও উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, আইনটি তৈরির সময় থেকেই সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিকরা এ আইনের বিষয়ে উদ্বেগ এবং আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। আইনমন্ত্রী এ আইনের বিভিন্ন রকম অপব্যবহার ও সেই প্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধনের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও এ আইনের মাধ্যমে সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ‘কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ ও মামলা করতে পারেন। কিন্তু সেটি না করে সরাসরি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা হচ্ছে। তাই সাংবাদিকতার স্বাধীন ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দ্রুত সংশোধনসহ সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসসহ সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করছে সম্পাদক পরিষদ। একইসঙ্গে এ আইনে কেউ গ্রেফতার বা আটক থাকলে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছে’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/স

ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড রানের জয় পেল বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যা ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। এতে তামিম ইকবালের দল জয় পেয়েছে ১৮৩ রানের। বাংলাদেশের জন্য এটাই রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২০ সালে সিলেটেই জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা। ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। স্টেফেন ডোহানি ও পল স্টার্লিং মিলে তাদের এনে দেন ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৪ রান করা স্টেফেনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য দেন সাকিব। ১ চার ও ছক্কায় ৩১ বলে ২২ রান করে স্টার্লিংও ফেরেন এবাদত হোসেনের বলে, উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আইরিশ ব্যাটিং লাইন আপ। ১৬ রানের ব্যবধানে তারা হারায় ৫ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনের বোলিং সামলেই উঠতে পারেনি তারা। মাঝে কার্টিস ক্যাম্পারকে নিয়ে কিছুক্ষণ চেষ্টা করেন জর্জ ডকরেল। তাদের দুজনের ২৯ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এই স্পিনার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ১৭ বলে ১৬ রান করা ক্যাম্পারকে। এরপরের লড়াইটা একাই লড়েন জর্জ ডকরেল। তিনি আউট হন শেষ ব্যাটার হিসেবে। এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ চারে ৪৭ বলে ৪৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের ভেতর উইকেটশূন্য ছিলেন কেবল মুস্তাফিজুর রহমান। ৬ ওভারে ৩১ রান দেন তিনি। এছাড়া তাসকিন ছয় ওভারের দুটিই মেডেন দিয়ে ১৫ রান দেন, নেন দুই উইকেট। নাসুম ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩, সাকিব ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ ও এবাদত হোসেন ৬ ওভার ৫ বল হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন। এর আগে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৫ রানেই তামিমকে হারায় টাইগাররা। ৯ বলে ৩ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। তবে তামিম দ্রুত ফেরার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। ধীরে ধীরে সেট হয়ে রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয়েছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। কিন্তু আশা জাগিয়েও বেশিদূর যেতে পারলেন না তিনি। দশম ওভারে আইরিশ পেসার কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। দলীয় ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বল মোকাবিলায় ২৬ রান করেন তিনি। তার আউটের কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৩৪ বলে ২৫ রান করেন। ৮১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সাকিব ও হৃদয়ের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সেই চাপ থেকে মুক্তি মেলে টাইগারদের। দুজনেই পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলেছেন। তবে সাকিব ৯৩ রানে থামলেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেন মুশফিক ও হৃদয়। মুশফিক ফিফটির আগেই থামেন। ২৬ বলে ৪৪ রান করে ৪৬তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অভিষেকে সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি হৃদয়েরও। একই ওভারে ৯২ রানে আউট হন তিনি। শেষদিকে ইয়াসির আলির ১০ বলে ১৭, তাসকিন আহমেদের ৭ বলে ১১ ও নাসুম আহমেদের ৭ বলে ১১ রানে ইনিংসে বাংলাদেশ পায় রেকর্ড গড়া সংগ্রহ। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম। ঢাকাওয়াচ/স

ভোলা প্রেসক্লাবের অনু সভাপতি মিঠু সম্পাদক নির্বাচিত

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। “শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবের “নিজাম-হাসিনা” মিলনায়তন হলরুমে সাধারন পরিষদ সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়। এতে নজরুল হক অনু’কে সভাপতি (ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন) ও সামস্ উল আলম মিঠু’কে সাধারন সম্পাদক (দৈনিক ইত্তেফাক) মনোনীত করে ২০২৩-২০২৪ সালের জন্য ২ বছর মেয়াদী মোট ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যন্যরা হলেন-সহ-সভাপতি-হারুন অর রশিদ (চ্যানেল আই) সহ-সাধারন সম্পাদক-শিমূল চৌধুরী (দৈনিক আজকের পত্রিকা) কোষাধ্যক্ষ – ( ইউনুছ শরীফ (দৈনিক আমার সময়, দ্বীপকন্ঠ) দপ্তর সম্পাদক – মো: মিজানুর রহমান ( দৈনিক দিনকাল) ক্রীড়া সম্পাদক- এইচএম জাকির (দৈনিক বনিক বার্তা) পাঠাগার সম্পাদক-এইচএম নাহিদ ( দৈনিক ভোরের কাগজ) সাস্কৃতিক সম্পাদক-এম রহমান রুবেল ( আনন্দ টিভি) নির্বাহী সদস্য মনোনী হলেন-যথাক্রমে-আল-আমিন শাহরিয়ার (দৈনিক অন্যদিগন্ত) ও মো: উমর ফারুক (দৈনিক কালবেলা)। ঢাকাওয়াচ/স

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কৃতজ্ঞতা না জানালে আমরা যে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাই

ডেস্কঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কৃতজ্ঞতা না জানালে আমরা যে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাইমাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কৃতজ্ঞতা না জানালে আমরা যে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাই। আশির দশক থেকেই আপনি সাংবাদিকদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের সাহসী অনুপ্রেরণা আর পথ চলার শক্তি। আপনি মমতাময়ী মায়ের মতোই আমাদের পাশে সবসময় যেনো আশীর্বাদের ছায়া। কী বলে যে ধন্যবাদ জানাবো বিশ্ব মানবতার নেত্রী, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে? ধন্যবাদ কিংবা কৃতজ্ঞতা কেবল সৌজন্যতার মধ্যে আপনাকে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না, আপনি হলেন আকাশের ধ্রুব তারা। আপনি আধারের যাত্রীদের কাছে আলোর মশাল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় সাংবাদিকদের সাহায্যে আপনার সহযোগিতা চেয়েছি, সন্দেহবাদীদের ধারণা ছিলো এ যাত্রায় হয়তো সাংবাদিকরা বি ত হবে, কিন্তু আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিলো প্রবল। কারণ আমি ছাত্র জীবনেই দীক্ষা নিয়েছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে। আমি জানি শেখ হাসিনা কেবল একজন প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবতার গানে সাড়া দিবে না তা হতে পারে না। প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যে চরম সংকটে আমাদের আাবেদনে সাড়া দিয়ে সাংবাদিকদের আর্থিক অনুদান দিলেন তার জন্য আমরা কেবল আপনার কাছে ঋণেই আবদ্ধ নই বরং আমরা যেনো খুজে পেলাম একজন মমতাময়ী নেত্রীর ভালবাসার ভুবনে মুম‚র্ষু অবস্থায় বেচে থাকার অফুরন্ত অক্সিজেন। প্রিয় প্রধানমন্ত্রী অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। শাবান মাহমুদ মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। ঢাকাওয়াচ/স

একুশে পদক পেলেন সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ

একুশে পদক পেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)। বর্তমানে তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত। আজ বুধবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২০ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে। জাফর ওয়াজেদ ছাড়াও আরও ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবার একুশে পদক পেয়েছেন। সাবেক ছাত্রনেতা জাফর ওয়াজেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও ছিলেন তিনি। দাউদকান্দিতে জন্ম নেয়া জাফর ওয়াজেদ সর্বশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক মুক্তকণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। একুশে পদক ২০২০ পেলেন যারা : ভাষা আন্দোলনে মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর); শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক; শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান; শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন; শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান; মুক্তিযুদ্ধে মরহুম হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), মরহুম আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর); গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ; শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া; অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম; সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি; চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার এবং গবেষণায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। ঢাকাওয়াচ/স