আরো ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব

আরো ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসাথে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হিসাব তলব করা সাংবাদিকরা হ‌লেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, ডিবিসি নিউজের বার্তা প্রধান প্রণব সাহা, এসএ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বার্তা প্রধান মামুন আবদুল্লাহ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম শামসুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট অনিমেষ কর, সমকালের সাংবাদিক রামা প্রসাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন রাসেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এসএ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন ও একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী। বিএফআইইউর নির্দেশনায় হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের সহযোগী ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহে বেশকিছু পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করে বিএফআইইউ। তলব করা হিসাবগুলোতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা অর্থপাচার বা অনিয়মের কোন প্রমাণ মিললে এসব হিসাবের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করতে দিয়ে থাকে বিএফআইইউ।

মুন্নী সাহার ১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন, অনুসন্ধানে দুদক

টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর পর মুন্নী সাহার আমানতের মধ্যে ১২০ কোটি টাকাই উত্তোলন করা হয়েছে। স্থগিত করা হিসাবে এখন স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। ১৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লেনদেন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে। বিধিবহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে জব্দ করেছে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় মুন্নী সাহার স্বামী কবির হোসেনের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের নামে ২০১৭ সালের ২ মে একটি হিসাব খোলা হয়। যেখানে নমিনি হিসেবে নাম রয়েছে মুন্নী সাহার। অন্যদিকে, ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় জনৈক মাহফুজুল হকের মালিকানায় প্রাইম ট্রেডার্সের নামে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই একটি হিসাব খোলা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকটি থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণ পরিশোধ না করে বারবার সুদ মওকুফ ও নবায়ন করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালেই সুদ মওকুফ করা হয় ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। যদিও প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়ীক কোন সম্পর্ক নেই। অথচ বিভিন্ন তারিখে হিসাব দুটির মধ্যে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘ওই দিন আলাদা তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে প্রাইম ট্রেডার্সের হিসাবে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়, যা সন্দেহজনক। এই অর্থ পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বিএফআইইউ।’ গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ৬ অক্টোবর বিএফআইইউ মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব করে।ব্যাংক হিসাবের বাইরে গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় শান্তিনিকেতনে ১৬৫, রোজাগ্রীণে তার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান মিলেছে। ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়। মুন্নী সাহা বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশের ব্যাপারে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-সাংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে সাত সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন মুন্নী সাহা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত হলো সিনিয়র ৫ সাংবাদিকের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণহত্যার উসকানিদাতা পাঁচজন সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত করেছে জাতীয় প্রেসক্লাব। গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে ব্যবস্থাপনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। সদস্যপদ স্থগিত হওয়া পাঁচজন সিনিয়র সাংবাদিক হলেন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, গ্লোবাল টেলিভিশনের সাবেক সিইও ও বতর্মানে ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দি সাউথ এশিয়ান টাইমসের সম্পাদক ও প্রকাশক দীপক কুমার আচার্য ও অ্যানার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। পাঁচজন সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত বিষয়ে হাসান হাফিজ বলেন, প্রথমে স্থগিত করা হয়েছে। ধীরে-ধীরে বাতিল হয়ে যাবে।

১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব

দেশের ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসাথে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ‌্যও দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হিসাব তলব করা সাংবা‌দিকরা হ‌লেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ঢাকা টাইমসের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, বাংলাদেশ পোস্টের বিশেষ প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম হাসিব, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দ্বীপ আজাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপ-প্রদান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক জাফর ওয়াজিদ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক জনকণ্ঠের ডেপুটি এডিটর ওবাইদুল কবীর মোল্লা, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত ও গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশ‌তিয়াক রেজা। বিএফআইইউর নির্দেশনায় হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের সহযোগী ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহে বেশকিছু পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ ক‌রে বিএফআইইউ। তলব ও জব্দ করা হিসাবগু‌লো‌তে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা অর্থপাচার বা অনিয়মের কোন প্রমাণ মিললে এসব হিসাবের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করতে দিয়ে থাকে বিএফআইইউ।

চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজন

রংপুরের প্রথম একুশে পদকপ্রাপ্ত, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ‘চারণ সাংবাদিক’ মোনাজাতউদ্দিনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মহানগর এবং তার জন্মস্থান গঙ্গাচড়ায় স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল, বিকেলে সিটি প্রেসক্লাব ও প্রেসক্লাব রংপুরে দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি। পত্রিকার জন্য সরেজমিন প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের জন্য গাইবান্ধায় ছুটে গিয়েছিলেন। সেখানে ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা নদীতে কালাসোনার ড্রেজিং পয়েন্ট থেকে ফেরিযোগে নদী পারের সময় পা পিছলে নদীতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার একদিন পর ৩০ ডিসেম্বর রংপুর শহরের মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। তিনি ‘সত্যি পা পিছলে পড়েছিলেন’ নাকি ‘কোনো ষড়যন্ত্রে মারা যান’ এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তার মৃত্যুর পর তৎকালীন বিএনপি সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি সেই তদন্ত প্রতিবেদন। খুঁজে পাওয়া যায়নি কোনো কূল-কিনারা। মোনাজাতউদ্দিন তিন দশকের কর্মজীবনে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে মানুষের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। মফস্বল সাংবাদিকতার দিকপাল চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন একজন সফল গবেষকও ছিলেন। তার লেখনিতে উঠে এসেছিল গ্রাম-বাংলার অজানা অনেক কথা। সততা, ধৈর্য আর অসীম সাহসিকতাকে পুঁজি করে তিনি সাংবাদিকতায় নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যার কারণে তার লেখনিতে পাঠকরা ছিল সবসময় জাগরিত সমাজের একাংশ। ছাত্র থাকাকালীন বগুড়ার সাপ্তাহিক বুলেটিন পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন তিনি। ১৯৬২ সালে স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে ঢাকার কাগজ দৈনিক আওয়াজ এবং ১৯৬৬ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি নিজেই দৈনিক রংপুর নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। আর্থিক সমস্যার কারণে সেটি থমকে যায়। এরপর ১৯৭৬ সাল থেকে মোনাজাত উদ্দিন পূর্বদেশ ও দৈনিক সংবাদে প্রায় ২০ বছর কাজ করেন।তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে ‘দৈনিক সংবাদ’-এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি হিসেবে (প্রায় দেড় যুগ)। তিনি ১৯৯৫ সালে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় যোগ দেন। মৃত্যুর শেষদিন পর্যন্ত জনকণ্ঠই ছিল তার ঠিকানা। তিনি রংপুর শহরের কেরানীপাড়ার বাসা থেকে নানা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েও সাংবাদিকতা চালিয়ে যান। তিনি শুধু সাংবাদিকতায় ব্যস্ত ছিলেন না। ব্যস্ততা ছিল নাটক, গল্প, কবিতা আর ছড়া লেখাতেও। বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘করিম মণ্ডলের বৈঠকখানা’র পাণ্ডুলিপি লেখার পাশাপাশি ভালো গীতিকার হিসেবেও তার ছিল বেশ সুনাম। তার রচিত একমাত্র নাটক ‌‘রাজা কাহিনি’। এছাড়া মৃত্যুর আগে ও পরে মোনাজাতউদ্দিনের লেখা বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে রয়েছে- সংবাদের নেপথ্য, পথ থেকে পথে, নিজস্ব রিপোর্ট, কাগজে মানুষেরা, নরনারী, শাহ আলম ও মজিবের কাহিনি, পায়রাবন্দের শেকড় সংবাদ, ছোট ছোট গল্প, কানসোনার মুখ, লক্ষ্মীটারী, চিলমারীর এক যুগ, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও মোনাজাতের শেষ লেখা ও শেষ দেখা ইত্যাদি। সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৪ সালে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী স্মৃতি পদক, দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত ‘মানুষ ও সমাজ’ প্রতিবেদনের জন্য বাংলা ১৩৯৩ সালে ফিলিপস পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে অশোকা ফেলোশিপ পান তিনি। ১৯৯৭ সালে গণমানুষের সাংবাদিক হিসেবে তিনি মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক পান। মফস্বল সাংবাদিকতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকা দেশবরেণ্য এই সাংবাদিকের জন্ম হয়েছিল রংপুরে। ১৯৪৫ সালের ১৮ জুন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা মৌলভী আলীম উদ্দীন আহমেদ আর মা মতিজান নেছা। মোনাজাতউদ্দিন কৈলাশ রঞ্জন স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ভর্তি হন কারমাইকেল কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় বাবাকে হারিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। পরে প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে বিএ পাস করেন। সেখান থেকেই সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে সত্যের আলো তুলে ধরেছেন। মোনাজাতউদ্দিন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের একটি পরিচিত নাম। তিনি ছিলেন তৃণমূল মানুষের সংবাদকর্মী, ছিলেন জনগণের সাংবাদিক। খবরের অন্তরালে যেসব খবর লুকিয়ে থাকে সেসব তথ্যানুসন্ধান এবং রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে।কর্মসূচি সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আজ (২৯ ডিসেম্বর) কবর জিয়ারত, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও এতিম শিশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মরহুমের মাগফেরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী নাসিমা মোনাজাত ও দুই মেয়ে ডা. চৈতি ও ডা. সিঁথি। মোনাজাতউদ্দিনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সিটি প্রেসক্লাব রংপুরের উদ্যোগে বাদ আছর ক্লাব কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রংপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের স্মরণে স্থানীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজনসহ গঙ্গাচড়ায় সাংবাদিক আব্দুল মজিদ-মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি সংসদ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

ইআরএফের নতুন সভাপতি মালা, সম্পাদক আবুল কাশেম

অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ‌্য ফাইনা‌ন্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আকতার মালা। আর নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আরেক ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের বিশেষ প্রতিনিধি আবুল কাশেম। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে দ্বিবার্ষিক সভা ও ২০২৫-২৬ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাসান হা‌ফিজ ফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ইআরএফের ২১৪ ভোটারের মধ্যে ১৯৭ জন ভোট দিয়েছেন। দৌলত আকতার মালা ১১৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা পেয়েছেন ৮২ ভোট। ১০১ ভোট পেয়ে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নয়া দিগন্তের বি‌শেষ আশরাফুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী আজিজুল ইসলাম ৭৫ ভোট, ইআরএফের জ্যেষ্ঠ সদস্য সিরাজুল ইসলাম কা‌দির পেয়েছেন ২১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কাশেম পেয়েছেন ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দ্য ডেইলি অবজারভারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৪৮ ভোট। এ ছাড়া চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি রিজভী নেওয়াজ পেয়েছেন ৪৩ ভোট এবং বাংলা ভিশনের বিজনেস এডিটর জিয়াউল হক সবুজ পেয়েছেন ৬ ভোট। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মানিক মুনতা‌শির ও অর্থ সম্পাদক পদে দৈনিক বর্তমানের আমিনুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তথ‌্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সম্পাদক শেখ শাফায়াত ‌হো‌সেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ ছাড়া চার সদস্য পদে নিউ এজের বিশেষ প্রতিনিধি এএসএম মঈনুল হক, ইআরএফের জ্যেষ্ঠ সদস্য কায়েস মোহাম্মদ সোহেল, আজকালের খবরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. জা‌কির হো‌সেন এবং জা‌গো নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি ইব্রাহিম হো‌সেন অভি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন এএসএম মঈনুল হক। তিনি পেয়েছেন ১২৭ ভোট। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডে সদস্য ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুইয়া ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদাল আহম্মেদ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ২০২৩-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা হয়।

চীন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যোগাযোগ জোরদারে নানা আয়োজন

চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে গণমাধ্যমের যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব আরও জোরদার করতে ঢাকায় ‘বালাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে তিনটি সেশনে পৃথক তিনটি অনুষ্ঠান করেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) বাংলাদেশ ব্যুরো। দিনের শুরুতে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ক্লাবের লোগো উন্মোচন করেন। এ ছাড়া, জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে সিএমজি। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে চীনের গল্প আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চীন সম্পর্কে জানা দরকার। আর এই জায়গায় মূল ভূমিকা রাখতে পারে সিএমজি।’ গেল কয়েক দশকে চীনের অভাবনীয় উন্নতি, চীনের আধুনিক প্রযুক্তি, বাংলাদেশে চীনা কোম্পানির বিনিয়োগ সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য বাংলাদেশি মিডিয়ার তুলে ধরা উচিত বলেও জানান শফিকুল আলম। ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক অব্যাহকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। জাতি, বিশ্বাস ও ভাষার স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতা বজায় রেখেছি।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এএসএম জাহীদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চিফ রিপোর্টার মুরসালিন নোমানি, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং, সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে। এই উদ্যোগের সফলতা প্রত্যাশা করে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দ্বিতীয় অনুষ্ঠানে বিকালে একই ভেন্যুতে ‘চায়না থ্রু লিটারেচার’ শীর্ষক রাইটার্স ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশিদের কথা মাথায় রেখে চীনের কুনমিংয়ে হেলথ সার্ভিস ও পর্যটন সার্ভিস গড়ে তুললে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশে যায়। চীনের সঙ্গে চিকিৎসাক্ষেত্রে আরও সম্পর্ক উন্নত করতে পারি আমরা।’ লেখক-প্রকাশকদের নিয়ে অনুষ্ঠানে লি শাওফেং বলেন, ‘চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন ও ঐতিহ্য চর্চার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও গভীর হবে।’ ফোরামে বাংলাদেশের লেখক, প্রকাশক ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে চীন বিষয়ক বইয়ের তিনজন লেখককে বিশেষ সম্মাননা ও ক্রেস্ট দেয়া হয়। এ সময় লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব হাসান, আবদুল হাই শিকদার, জাকির আবুজাফর চীন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ স্থাপনে দুই দেশের লেখকদের মধ্যে বিনিময়, পর্যটন, কর্মশালা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য অডিয়েন্স’ শীর্ষক আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিএমজি বাংলা। ‘মিট দ্য অডিয়েন্স’ নামে এই অনুষ্ঠানে সিএমজির দর্শক, শ্রোতা, পাঠক ও ফ্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়েসহ গণমাধ্যমটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকরা সিএমজির বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের মতামত ও পরামর্শ জানান। এ সময় গণমাধ্যমটির দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকরা জানান, সিএমজি বাংলার অনুষ্ঠান দেখে তারা চীন সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন এবং অনুপ্রাণিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিএমজি বাংলার কর্মকর্তারাও দর্শকদের অভিমত শুনে ভবিষ্যতে আরও ভাল অনুষ্ঠান তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে চায়না মিডিয়া গ্রুপের মিডিয়া সহযোগি আরটিভি, দীপ্তটিভি, বাংলাভিশন, রেডিও টুডের উচ্চপস্থ কর্মকর্তা ও দর্শকরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কুইজ ও র‌্যাফেলে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচসহ বিভিন্ন পুরষ্কার তুলেন দেন অতিথিরা। এর আগে সিএমজি ঢাকা স্টেশনের বার্তা সম্পাদক শান্তা মারিয়া ও ফিচার সম্পাদক ফয়সল আবদুল্লাহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও রেডিওতে প্রচারিত সিএমজির টিভি ও রেডিও অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব আরও জোরদার করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাচসাস

চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী সামনে রেখে চীন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব স্থাপনের উদ্দেশ্যে চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ও চীনের গণমাধ্যমের মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাথেও সমঝোতা সই হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বাচসাসের সিনিয়র সদস্য হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন চীন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনরা। এ সময় বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল উপস্থিত ছিলেন। বাচসাসের জন্য এ এক বড় অর্জন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাচসাসের যাত্রা শুরু হল।

এক যুগ পর ‘আমার দেশের’ নতুন যাত্রা

বন্ধ হওয়ার প্রায় এক যুগ পর বাজারে আসছে ‘আমার দেশ’ পত্রিকা। আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে পত্রিকাটি বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান।শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।তিনি বলেন, শূণ্য থেকে দুইমাসের মধ্যে জাতীয় পত্রিকা বের করা প্রায় অসম্ভব ছিল। তবুও প্রথমদিন থেকেই পাঠকের চাহিদামত আমার দেশ পত্রিকা। পুন:প্রকাশের এই নতুন যাত্রায় পত্রিকাটি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে বলেও জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, পত্রিকাটি যত দ্রুত সম্ভব সঠিক খবর তুলে ধরার চেষ্টা করবে। এর মধ্য দিয়ে জনগণ আবার পত্রিকা পড়ার অভ্যাসে ফিরবে।প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দশ দিনের জন্য আমার দেশ পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের এপ্রিলে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার এবং আমার দেশ পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ করে দেয়া হয়।উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়। ওয়ান-ইলেভেনের পরে পত্রিকাটির মালিক খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালু কারাগারে গেলে এর মালিকানায় পরিবর্তন হয়। তখন জাতীয় বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পত্রিকাটির দায়িত্ব নেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিল পত্রিকাটি। এতে সরকারবিরোধীদের কাছে পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা পেলেও ক্ষমতাসীনদের চক্ষুশূলে পরিনত হয়।

বাতিল করা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনা করবে সরকার

কোন পেশাদার সাংবাদিক তার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তথ্য অধিদফতর সেসব আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো তথ্য অধিদফরের তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে। তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদফতর থেকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান একটি চলমান প্রক্রিয়া। সম্প্রতি নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের পর অধিদফতর থেকে কিছু সংখ্যক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। মূলত কার্ড বাতিলের কারণ হিসেবে দীর্ঘ দিন কার্ড নবায়ন না করা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোটার অতিরিক্ত কার্ড গ্রহণ, অপসাংবাদিকতা, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল, ফৌজদারি মামলার আসামি, বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার ও কারা অন্তরীণ, অপেশাদার ব্যক্তি কর্তৃক রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্ড গ্রহণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপাচার ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের অপব্যবহার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতিবাচক ভূমিকা ও উসকানি প্রদান, ফ্যাসিবাদের ঘনিষ্ঠ দোসর, গুজব রটনা ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়েছে।’ এতে আরো বলা হয়, ‘তথ্য অধিদফতর সাংবাদিকদের বাতিল করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোন পেশাদার সাংবাদিক তার কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তথ্য অধিদফতর সেসব আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার 'ঢাকাওয়াচ টুয়েন্টিফোর'র হেলাল লিটন

ভোলার তজুমদ্দিনে হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকাওয়াচ টুয়েন্টিফোরের তজুমদ্দিন প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন লিটন। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলার পাটওয়ারীর দোকান এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। এসময় পত্রিকার আইডিকার্ড, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সুত্রে জানা যায, উপজেলার পাটওয়ারীর দোকান এলাকায় তজুমদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক শামছুদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ শিবির, নান্নু মিয়াসহ স্থানীয় নেতাকর্মিরা ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করেন। এ সময় মেজর হাফিজ পন্থী বাচ্চু এসে জিয়াউর রহমানের ভাষণ প্রচারে বাঁধা দেয়, এনিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংবাদ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ঢাকাওয়াচ টুয়েন্টিফোরের তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি ও তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন লিটন সেখানে উপস্থিত হলে তার উপর অতর্কিত হামলা করেন বাচ্চু, ইকবাল, রবিউল ডুবাই, ইকবাল হোসেন, রিপন, কিবরিয়া, শাহীন, জুয়েল, রামিম, নিরবসহ একটি সংর্ঘবদ্ধ গ্রুপ। হামলায় সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন লিটন সহ কয়েকজন আহত হয়। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান ঘটনাটি আমরা শুনেছি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন প্রথিতযশা সাংবাদিক শফিক রেহমান

বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সঞ্চালক শফিক রেহমান। তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিনোদন সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন সিজেএফবি। আসছে ২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা শেরাটন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইটিভি-সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ডস-এর ২৩তম আসর। সেখানেই এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে শফিক রেহমানের হাতে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি এনাম সরকার। দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি এবং কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ-সিজেএফবি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এর আগে বিগত ২২ আসরে সিজেএফবি আজীবন সন্মাননা পেয়েছেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আলম খান, আজম খান, আতিকুল হক চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর, আবদুল্লাহ আল মামুন, কবরী সারওয়ার, শবনম, সুচন্দা, সুবর্ণা মুস্তাফা, গোলাম সারওয়ার, জুয়েল আইচ, হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন এবং তারিক আনাম খান। এছাড়া সংগীত, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন মিডিয়ার বছরের সেরা তারকাদের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে ইটিভি-সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩। দেশের জনপ্রিয় তারকাদের পারফরমেন্সসহ থাকবে জমকালো আয়োজন। উল্লেখ্য, শফিক রেহমান উপস্থাপিত ‘লাল গোলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠান এক সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। অনুষ্ঠানটি প্রথমে বিটিভি পরে বাংলাভিশনে প্রচার হতো। গেল আট বছর ধরে দেশের বাইরে থাকার কারণে এই অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় দেখা যায়নি তাকে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘লাল গোলাপ’ অনুষ্ঠানটি আবারও ফিরে আসে টিভি পর্দায়।

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের তীব্র নিন্দা

আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোসহ বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি স্থানে ভারতীয় বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ ও গণমাধ্যমজুড়ে অপপ্রচারের করছে। এ সময় তারা বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এসব ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম। গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ছড়াকার আবু সালেহ ও মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ন্যক্কারজনক হামলা ও অপপ্রচারের নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের মন্দিরে হামলা হয়নি। শত উসকানি সত্ত্বেও আমাদের দেশের মানুষ সব সময় সহ-অবস্থানে শতভাগ বিশ্বাসী। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে একে অন্যের ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল। এ দেশে সব মানুষের সমান অধিকার প্রশ্নাতীতভাবে বিদ্যমান। বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকে বাধাহীনভাবে পরস্পরের ধর্ম পালন করে আসছে। জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতারা আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ভবিষ্যতে এমন উদ্ভট ও অবান্তর বিষয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পানি ঘোলা না করার আহ্বান জানান নেতাদ্বয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের মুসলমানদের ওপর যখন হামলা হয়, গরুর গোশত বহন করায় নির্বিচারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা তো প্রতিবাদ করেন না। আর অসত্য বিষয় নিয়ে তিনি মামারবাড়ির আবদার করছেন। বরং কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি।

ডিআরইউর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বর্তমান কমিটি গত এক বছরের কার্যক্রম এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন করা হয়। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় জানানো হয়, গত এক বছরে ১০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আর্থিক আয় বিবরণীতে জানানো হয়, গত ২৭ নভেম্বরের অডিট বিবরণী অনুযায়ী বিদায়ী বছরে ডিআরইউ আয় করেছে মোট ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯০ টাকা। ব্যয় হয়েছে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২০ টাকা। এ বছর ঘাটতির পরিমাণ মাত্র ৪ লাখ ২ হাজার ১৩০ টাকা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৯ টাকা। সেই হিসাবে এ বছর আয় বেড়েছে ৮০ লাখ ৮৩ হাজার ২১১ টাকা। আগের বছর খরচ ছিল ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৫ টাকা। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা ঘাটতি ছিল। তবে এ বছর ঘাটতির পরিমাণ অনেক কমানো হয়েছে। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাটতি থাকলেও হাতে নগদ আছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। সভায় ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছোট একটি রুমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের সহযোগিতায় একই ভবনের চারতলায় বিশাল আকৃতির একটি ফ্লোরে অফিস স্থানান্তর করা হয়। ১০ আগস্টের পর থেকে নতুন কার্যালয় ব্যবহার শুরু হয়। যে অফিসটি বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। নতুন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অফিস রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের জন্য পৃথক রুমের পাশাপাশি সম্পাদকদের বসার পৃথক রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবনের পেছনে ডিআরইউর তিন নম্বর ভবন উদ্বোধন করা হয়। সেখানে স্টিল স্ট্রাকচারের পাঁচ তলা ভবন পরিকল্পনা করা হয় এবং নকশা তৈরি করা হয়েছে। এ ভবনের নিচ তলায় কমার্শিয়াল, দ্বিতীয় তলায় নামাজের স্থান এবং তৃতীয় তলায় অবস্থা রেখে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাকি দুটি ফ্লোরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, দায়িত্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে সংগঠনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সময়, মেধা, শ্রমে প্রিয় সংগঠনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা হলেও নতুন মাত্রা যোগ করতে পেরেছি। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে অচিরেই ডিআরইউ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হবে। আমাদের কমিটি যেটুকু সাফল্য অর্জন করেছে তার সবটুকু কৃতিত্ব আপনাদের। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম সামীম, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়া ডিআরইউর সিনিয়র সদস্যসহ অন্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬ জনকে বহিষ্কার, ৪ জনের সদস্যপদ স্থগিত

জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬ জনকে বহিষ্কার এবং ৪ জনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য এবং পতিত সরকারের পাতানো নির্বাচন সংশ্লিষ্টতার কারণে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া সাক্ষরিত পৃথক দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা বানঞ্চালের চক্রান্ত, সভায় উশৃঙ্খল আচরণ এবং বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাবে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অপদস্তের সঙ্গে জড়িত থাকা সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান সভায় উপস্থিত সদস্যরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির আজকের সভায় গঠনতন্ত্রের ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই সদস্যদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন, শামসুল হক দুররানী, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ওবায়দুল হক খান, রাশেদ চৌধুরী ও ফারাজি আজমল হোসেন। অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যরা পতিত সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসিবাদকে বৈধতাদানকারী সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি শওকত মাহমুদ, তাহমিনা আকতার, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং সালমা ইসলামের সদস্য পদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আরএসএফের আহ্বান

জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল— বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আরএসএফ বলছে, ড. ইউনূসের এই বক্তব্য উৎসাহব্যঞ্জক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যা ইঙ্গিত দেয়— যে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের’ ধারায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শতাধিক সাংবাদিক ভুক্তভোগী হয়েছেন, শিগগিরই সে অবস্থার অবসান ঘটতে পারে। আরএসএফ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গটি টেনেছে। সেখানে তারা বলছে— সাক্ষাৎকারে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ কার্ড বাতিল করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাজ করতে বাধা দেবে না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে শুধু।

আবারও ‘লাল গোলাপ’ নিয়ে ফিরছেন শফিক রেহমান

আবার ফিরছে একসময়ের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘লাল গোলাপ।’ দীর্ঘ ৮ বছর পর ফিরছে অনুষ্ঠানটি। লাল গোলাপের উপস্থাপক শফিক রেহমান একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানটির দুটি পর্ব রেকর্ড করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে। শফিক রেহমান সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এবং পরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার সম্পাদিত পাক্ষিক পত্রিকা ‘মৌচাকে ঢিল’ও এক সময় বেশ আলোচিত ছিল। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিটিভিতে লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হতো। এই অনুষ্ঠানটিতে তিনি আমন্ত্রিত অতিথিকে একটি লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি অতিথি, টকশো স্থগিতের ঘোষণা খালেদ মুহিউদ্দীনের

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য টকশো স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এই ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ফেসবুক পেজ থেকেও একই ঘোষণা প্রচার করা হয়।খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পোস্টে ঘোষণা শিরোনামে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’আমেরিকা থেকে পরিচালিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে অতিথির করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে আগামীকাল ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ওই টকশো আয়োজনের কথা ছিল।এর আগে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোর বিষয়টি টেনে আনেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ পৃথক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো করলে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করলেন কি না, সে আত্ম-জিজ্ঞাসার কথা আমরা বলব।’খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সাথে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের অধিক শহীদের সাথে বেঈমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সাথে বেঈমানি ৷’বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সাথে প্রতারণা করা হলো।’প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারও আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।

ইআরএফের বর্ষসেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন ঢাকা পোস্টের শফিকুল ইসলাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বর্ষসেরা রি‌পোর্টারের পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের উপপ্রধান প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম। ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে থেকেও অবনতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য ‘ইআরএফ-নগদ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ এর পুরস্কার পেয়েছেন তি‌নি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বর্ষসেরা পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম।সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলে‌কট্র‌নিক মি‌ডিয়া, টিভি এই তিনটি ক্যাটাগরিতে অর্থনীতির ৯‌টি বিষ‌য়ের উপর ১৬৮টি প্রতিবেদন জমা প‌ড়েছিল। এখান থে‌কে সেরা ১৭টি প্রতিবেদন নির্বাচিত হয় এই পুরস্কারের জন্য।অর্থনীতির বিভিন্ন খাত নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের জন্য ‘ইআরএফ-নগদ বেস্ট রিপোর্টিং’ পুরস্কার পেয়েছেন মোট ১৭ জন সাংবাদিক। এর ম‌ধ্যে ব‌্যাংক-বীমা খা‌তের অনলাইন ও টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা রি‌পোর্টারের পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পো‌স্টের শফিকুল ইসলাম। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপ‌স্থিত ছি‌লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং নগদের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. কে এ এস মুরশিদ, নগদের প্রশাসক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ক‌রেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কা‌শেম।এর আগে ২০২২ সা‌লে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) ভোক্তা অধিকার সাংবাদিকতা পুরস্কার পান শফিকুল ইসলাম। ২০২৩ সা‌লে ‘হুন্ডি খাচ্ছে রেমিট্যান্স’ শিরোনামের সংবাদের জন্য ইআরএফের ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদন’ ক্যাটাগরিতে তি‌নি পুরস্কার পেয়েছি‌লেন।শ‌ফিকুল ইসলাম ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ১ মে তিনি উপপ্রধান প্রতিবেদক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাত, অর্থ ও বা‌ণিজ্য, তৈ‌রি পোশাক এবং ভোক্তা অধিকারসহ অর্থনীতির বি‌ভিন্ন খাত নিয়ে কাজ করেন।২০১২ সা‌লে সংবাদ সংস্থা আইএনবি দিয়ে কর্মজীবন শুরু তার। এরপর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা‌নিউজ ও প্রাইম নিউজে কাজ করেছেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল জা‌গো নিউ‌জ।তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), বিমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) স্থায়ী সদস্য।

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শেখ জামাল

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শেখ জামালের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেনগত ২৩ অক্টোবর দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে শেখ জামালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে সাত দিনের রিমান্ডের বিষয়েশু নানির জন্য ৩০ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন আদালত। ৩০ অক্টোবর আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পন্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।এতে অনেক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম এ ঘটনায় মারা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

আরও ৩০ সাংবাদিকের পিআইডি কার্ড বাতিল

এবার আরও ৩০ সাংবাদিক ও ব্যক্তির প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি)। রোববার (৩ নভেম্বর) পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের কার্ড বাতিল করা হয়।মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার আলোকে এসব সাংবাদিকের অনুকূলে তথ্য অধিদফতরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আওয়ামীপন্থী ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে পিআইডি।

কারাগারে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ মুনসুর বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক নারীর করা মামলায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।

নিবন্ধন পেল দেশের প্রথম ক্রীড়া নিউজ পোর্টাল ‘খেলা ডট কম’

দেশের প্রথম ক্রীড়া বিষয়ক নিউজ পোর্টাল হিসেবে সরকারের নিবন্ধন পেল ‘খেলা ডট কম’।আজ (বৃহস্পতিবার) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। খেলা ডট কম ছাড়াও নিবন্ধনভুক্ত হয়েছে নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইল।দেশের ক্রীড়াপ্রেমী পাঠকদের জন্য আরও একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছেখেলা ডট কম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হয়েছে পোর্টালটির।ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টনসহ অন্যান্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খেলার খুঁটিনাটি প্রতিদিনের খবর থেকে শুরু করে বিশেষ প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, এবং বিশ্লেষণমূলক কন্টেন্টের মাধ্যমে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করা এবং বিশ্বমানের ক্রীড়া সাংবাদিকতার আদর্শ অনুসরণ করা। নিবন্ধনপ্রাপ্তি খেলা ডট কমকে আরো গ্রহণযোগ্যতা এনে দেবে এবং পাঠকদের সামনে একটি নির্ভরযোগ্য ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম হিসেবে অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে প্রত্যাশা।

আওয়ামীপন্থি ২০ সাংবাদিকের পিআইডি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২২-এর অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে নিম্নবর্ণিত সাংবাদিকদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো। কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকরা হলেন- প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক ডিজি জাফর ওয়াজেদ, নয়াদিল্লির সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপা, ওমেননিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর, এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, আমাদের সময় ডটকমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।