শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:১৯ এম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের নাম রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের সামনে মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী দিন মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর মামলার ১৪তম দিনে ছয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মোট ৪৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছিল।
মামলার ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং ৪ সেপ্টেম্বর তার জেরা শেষ হয়। তদন্তে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনালের সামনে অজানা তথ্য উন্মোচন করেছেন।
১ সেপ্টেম্বর দশম দিনে ছয়জন সাক্ষীর জবানবন্দিতে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা তুলে ধরা হয়। সাক্ষীদের বিবরণে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
মামলায় পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে মোট ৮১ জন রয়েছে। এছাড়া, ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।