অনিন্দ্য দ্বীপের সাথে রুদ্রাক্ষ রায়হানের আলাপচারিতা
পৃথিবীর কোন দেশ বা ভাষার সাহিত্যই আর ভালো’র দিকে যাবে না। -রুদ্রাক্ষ রায়হান
- সাহিত্য ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:০৩ এম, ১৪ মে ২০২৫

রুদ্রাক্ষ রায়হান। কবি, গীতিকার, রাজনীতিবীদ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করা ও ছাত্রদের পাশে থেকে আইনি সহায়তা ও অনুপ্রেরণা দেয়াসহ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোদী আন্দোলনের সক্রিয় কবি। গত ১০ মে কবির জন্মদিন উপলক্ষে অনলাইন সাক্ষাতে কবির সাথে যুক্ত হন ঢাকাওয়াচ২৪ ডটকম সাহিত্য সম্পাদক অনিন্দ্য দ্বীপ। সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পর্ব আমাদের পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো-
অনিন্দ্য দ্বীপ: লেখালেখির চেয়ে কি ইদানিং রাজনীতিকেই প্রধান্য দিচ্ছেন?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: প্রাধান্য কি? করছিই তো অ্যাডভোকেসি আর রাজনীতি, (যদিও রাজনীতি টা দল ছাড়া একা একা করছি) লেখালেখি দীর্ঘদিন প্রায় বন্ধ।
অনিন্দ্য দ্বীপ: সাহিত্যিকদের নির্বাচন ফলাফল খুবই করুণ। আপনি কি এই হতাশাকে আরো দীর্ঘ করবেন?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: কই? পাবলো নেরুদা তো কম্যুনিস্ট পার্টি থেকে সিনেটর ছিলেন আমাদের দেশের আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ছিলেন মন্ত্রী, কবি মোহাম্মদ সাদিকের নির্বাচনের ফলাফল বিজয়ের। আবার নজরুল, গুণ দা অনেকটা ঝোঁকের বশে নির্বাচন করেছেন।
আমার ক্ষেত্রে একজন কবি নির্বাচন করছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি এটাও ঠিক যে রুদ্রাক্ষ রায়হান একজন রাজনীতিবিদ, যে কবিতা লিখতে পারেন। নির্বাচনের ফলাফল যদিও ব্যক্তির যোগ্যতার বাইরেও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে কিন্তু এই কথা বলতে পারি যে আমি বিজয়ের প্রত্যাশায়ই নির্বাচন করবো। সংসদ সদস্য হয়েও যেতে পারি এবার।
অনিন্দ্য দ্বীপ: কবি হিসেবে কোথায় নিজেকে থিতুু করবেন, বহুগামী ঘোড়া নাকি জলঘুঘুতে?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: কোথাও না, কবির থিতু হওয়া আছে নাকি?
অনিন্দ্য দ্বীপ: জুলাই গণঅভ্যুত্থান আপনার সাহিত্য জীবনে কি কোনো প্রভাব ফেলেছে?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: না, একদম না। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমার কোনকিছুকেই প্রভাবিত করতে পারে নাই।
অনিন্দ্য দ্বীপ: পেশা কি সাহিত্য চর্চার অন্তরায় হতে পারে?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: সব পেশা নয় কারণ আমি আমার সেরা কবিতাগুলো বিক্রয়কর্মী থাকা অবস্থায় লিখেছি। তবে আইন পেশা টা প্রচুর সমস্যা করে লেখালেখির ক্ষেত্রে। দুই শিল্প একই সময়ে একই পথে চলতে চায় না।
অনিন্দ্য দ্বীপ: নিজের লেখা নিয়ে নিজের উপলব্ধি কেমন?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: ভালোই, পড়ে মজা পাই, মূলত "ভালোই শুরু করেছিলাম কিন্তু হলো না" টাইপ একটা অনুভূতি। আমার মনে হয় নিয়মিত হতে পারলে বড় কবিই হতাম। হা হা হা...
অনিন্দ্য দ্বীপ: অগ্রজ ও অনুজের পরস্পরা সাহিত্য জীবনের কোনো প্রভাবক হিসেবে মনে করেন কি?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: এমন প্রশ্নগুলোর আসলে উত্তর দেয়া কঠিন, এমন কখনো ভাবি নাই। আমি আসলে কবিতা লেখার বাইরে সাহিত্য নিয়া অমন চিন্তা ভাবনা করার মানুষই না।
অনিন্দ্য দ্বীপ: পদক বা পুরস্কার বিষয়ক আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: পদক ভালো, পদকের টাকাটা আরও ভালো গরীব লেখকদের জন্য। আমার ক্ষেত্রে এটা দরকার নাই, আমি বড়লোক মানুষ, হা হা হা.....। তবে রাষ্ট্রীয় পদকগুলো যোগ্য লেখকদের দেয়া হলে পদকগুলো আরও সম্মানিত হতো।
অনিন্দ্য দ্বীপ: জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাহিত্য সংস্কারে আপনার প্রস্তাবনা আছে কি?
রুদ্রাক্ষ রায়হান: সাহিত্যের সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়ে হয় না, সংস্কার যা হওয়ার হচ্ছে। এখন তা কোনদিকে যাবে তা নিয়ে কথা বলা যায়। পৃথিবীর কোন দেশ বা ভাষার সাহিত্যই আর ভালো’র দিকে যাবে না।