কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:১৫ পিএম, ০৪ জুন ২০২৫

কোরবানির আনন্দ শুধু পশু জবাইয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা সম্পূর্ণ হয় যদি আমরা পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও পালন করি—এমনই এক সময়োপযোগী বার্তা দিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘কোরবানি আপনার, কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের দায়িত্বও আপনার।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যে ইসলাম কোরবানির বিধান দিয়েছে, সেই ইসলাম পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতারও শিক্ষা দিয়েছে। আপনার পশুর মলমূত্র, রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি যদি কারো অস্বস্তি কিংবা অসুস্থতার কারণ হয়, সেটা আপনার কোরবানিকে অর্থহীন করে দিতে পারে।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট করে দেন, কোরবানির আনন্দ অন্যের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে উঠলে তা ‘হক নষ্ট’ বলে গণ্য হবে, যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। ‘আপনার কোরবানির বর্জ্য যদি অন্যের কষ্টের কারণ হয়, তবে আপনি হক নষ্টের গুনাহগার হবেন,’—বলেন তিনি।
পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ
ইসলামে পরিচ্ছন্নতাকে ঈমানের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।’ কোরবানির পশু জবাইয়ের পর যেভাবে তাৎক্ষণিকভাবে মাংস ভাগ করা হয়, ঠিক সেভাবে বর্জ্যও দ্রুত ও সঠিকভাবে অপসারণ করা উচিত—এটাই একজন দায়িত্বশীল মুসলিমের পরিচয়।
সচেতন নাগরিক, সুস্থ সমাজ
কোরবানির মৌসুমে শহর ও গ্রামাঞ্চলে তৈরি হয় প্রচুর বর্জ্য। অনেক সময় সেগুলো সঠিকভাবে অপসারণ না হওয়ায় সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ, নোংরাভাব ও রোগবালাই। স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালালেও নাগরিকদের সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহর বার্তাটি তাই শুধু একটি ধর্মীয় বক্তব্য নয়, বরং এটি একটি সামাজিক চেতনার ডাক—যেখানে কোরবানি হয় হৃদয় দিয়ে, আর পরিবেশ থাকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র।