
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ইয়ুথ ত্রিপুরা ফেডারেশনের (WTF) কর্মীরা। এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য এবং ময়মনসিংহে এক সংখ্যালঘুকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে তারা হাইকমিশনের কাছে জমায়েত হন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টায় কয়েকশো নেতাকর্মী হাইকমিশনের কিছু দূরে থেকে মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে থামায়। ২০০ মিটার দূরে ওই ব্যারিকেডে বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং সশস্ত্র বাহিনী ও সিআরপিএফও প্রস্তুত রাখা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর কর্মসূচি শেষ হয়, পরে শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় পথ অবরোধ করে পুনরায় প্রতিবাদ দেখানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে সমালোচনা করেন এবং ভারতের প্রতি ‘শত্রুতাপূর্ণ বক্তব্যের’ নিন্দা জানান।
ইয়ুথ ত্রিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সমাবেশে বলেন, “এই বিক্ষোভ কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নয়, এটি সাধারণ জনগণের অনুভূতির প্রকাশ। হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিসের সামনে একটি বার্তা দিতে চাই।”
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সীমান্তের ওপার থেকে আসা সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো গভীর উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নেতারা উত্তর-পূর্ব ভারতের দখলের বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেছে। এই ধরনের মন্তব্যকে আমরা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক মনে করি। তারা বাড়াবাড়ি করেছে। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ভারতের অবদান থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের সাথে শত্রুর মতো আচরণ করছে। উত্তর-পূর্বে কোনো সমুদ্র সৈকত নেই, নিকটতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যদি তারা বাধ্য করে, আমরা এটি ‘গ্রেটার ত্রিপরাল্যান্ড সমুদ্র সৈকত’ হিসেবে নামকরণ করব।”
দেববর্মা আরও বলেন, “ভারত সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়নে ব্যর্থ হলে জনগণ তাদের ভূমি রক্ষার অনুমতি চাইবে।”