
চীনের নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে তৃতীয় রণতরী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফুজিয়ান। এটি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম এবং আধুনিক যুদ্ধযন্ত্রে সজ্জিত। রণতরীটির নিয়ন্ত্রণ নৌবাহিনীর হাতে হস্তান্তর অনুষ্ঠান শানচিত্রী হয়ে উঠেছিল, যেখানে অংশ নেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অনুষ্ঠানটি গত বুধবার হাইনানের সমুদ্রবন্দরে অনুষ্ঠিত হয়।
চীনা গণমাধ্যম শিনহুয়ার বরাত দিয়ে শুক্রবার এএফপি সংবাদ সংস্থাটি এই খবর প্রকাশ করেছে।
শি জিনপিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের উদ্যোগ ত্বরান্বিত করেছেন। ফুজিয়ান রণতরীর নৌবহরে অন্তর্ভুক্তিকে এই আধুনিকায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। শি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য জোরদার এবং তাইওয়ান সংক্রান্ত চলমান উত্তেজনায় সুবিধা নিতে নৌবাহিনীকে আরও ক্ষমতাশালী করতে চান।
অনুষ্ঠানের পর শি জিনপিং ফুজিয়ানে উঠে রণতরীর যুদ্ধ-সক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণনা শুনেন। তাঁকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট সিস্টেমের নির্মাণ ও কার্যকারিতা সম্পর্কেও ব্রিফিং দেওয়া হয়। সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি প্রদর্শিত ছবিতে দেখা গেছে, শি জিনপিং ও ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অন্যান্য শীর্ষ নেতারা বন্দরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াশিংটন ও বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়িত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফুজিয়ান রণতরী চীনের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনে দিয়েছে।