
সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। এই মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “অর্থনীতি ধ্বংস হয়নি; বরং পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। গত আগস্টের চ্যালেঞ্জিং সময়ের তুলনায় এখন দেশের অর্থনীতি অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।”
উপদেষ্টা আরও জানান, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পর্যায়ে রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতে ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রিজার্ভ ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক সঙ্কেত স্পষ্ট, যদিও অভ্যন্তরীণ কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও বিদ্যমান।
তিনি উল্লেখ করেন, “বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করছে। প্রধান বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের অর্জন ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত এবং ইতিমধ্যেই এগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”
ড. সালেহউদ্দিন ভবিষ্যতের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় কমানো ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি অতীতের কিছু মেগা প্রকল্পের উদাহরণ দেন, যেগুলোতে শত শত কোটি টাকা খরচ হলেও বাস্তবে খুব বেশি সুবিধা হয়নি। “এ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোতে আরও জবাবদিহিতা ও সংযম থাকা জরুরি,” বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “আগামী মাসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান কাঠামো পরিমার্জন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তরই আমাদের মূল দায়িত্ব। এতে তারা এগুলো আরও আধুনিক ও কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে পারবে।”
তিনি জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রকে কেবল অর্থনীতিতে সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার মতো খাতেও মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। “জনগণ শুধু খাদ্য বা মৌলিক চাহিদাই নয়; তারা আরও উন্নত জীবনমান প্রত্যাশা করে,” উল্লেখ করেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “প্রকৃত সত্য উদঘাটনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করা উচিত এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরা জরুরি।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বোর্ড বিএপিও-নগদের চেয়ারম্যান কায়সার এ. চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।