
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আগামীকাল উপস্থিত থাকবেন জুলাই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত। প্যানেলের নেতৃত্ব দেবেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর আগে, ২৩ নভেম্বর রোববার এই মামলায় ২০ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন শিক্ষার্থী সাজু রায়। ট্রাইব্যুনাল-২-এ তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থী শান-এ রওনক বসুনিয়া, যিনি ১৮ নভেম্বর তথ্য প্রদান করেন। ১৬ নভেম্বর মিঠাপুকুর থানার ওসি মো. নূরে আলম সিদ্দিক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং ১৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে গত বছরের ১৬ জুলাইয়ের পুরো ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন। ১৩ নভেম্বর পুলিশের নায়েক আবু বকর সিদ্দিক প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া, ১২ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন এসআই (সশস্ত্র) মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, রংপুর কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন এসি মো. আরিফুজ্জামান ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের নির্দেশে গুলি চালানোর সময় আবু সাঈদ শহিদ হন। ১১ নভেম্বর রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের একজন অংশগ্রহণকারী ইমরান আহমেদ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। ১০ নভেম্বর সাক্ষ্য দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান, যিনি জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন এবং হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
মানবতাবিরোধী এই মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের নাম হলো এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ আসামি, যাদের মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিও রয়েছেন, এখনও পলাতক।