
শীতের দাপটে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এ উপজেলায় তাপমাত্রা নেমে আসে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত তিন দিন ধরেই সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিকলীতেই রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আরও অন্তত এক থেকে দুই দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
সরেজমিনে নিকলীর বিভিন্ন হাওর ও গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা না থাকলেও তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কনকনে শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়ছে।
হাওরাঞ্চলের সবজি চাষিরা জানান, এই তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হলে ফুলদায়ী ফসলের মুকুল ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বাড়তে পারে এবং কিছু ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে।
নিকলী উপজেলার সিনিয়র অবজারভার আক্তার ফারুক বলেন, নিকলীতে দিনে শৈত্যপ্রবাহ স্পষ্টভাবে না থাকলেও রাতের বেলায় তা অনুভূত হচ্ছে। আশপাশের এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রায় এমন পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। নদী ও স্থলভাগের মধ্যবর্তী অবস্থানের কারণেও আবহাওয়ার এই দ্রুত রূপান্তর হচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৮, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশের তুলনায় নিকলীতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।