
দীর্ঘ প্রবাসজীবনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে সিলেটে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল উত্তেজনা ও উৎসবমুখর পরিবেশ। ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট থেকে ঢাকার পথে যাত্রা শুরু করেছেন বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী।
বুধবার ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকাগামী ট্রেনে ওঠার আগে সিলেট রেলস্টেশন পরিণত হয় স্লোগান ও উদ্দীপনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্ল্যাটফর্মজুড়ে নেতাকর্মীরা কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে উচ্চারণ করেন, “তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে”, যা মুহূর্তেই পুরো স্টেশন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিলেট বিভাগ থেকেই এক লাখের বেশি নেতাকর্মী ঢাকায় জড়ো হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরই মধ্যে বাস, ট্রেন ও বিমানে করে যাত্রা শুরু করেছেন অনেকে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা যাত্রাপথে স্লোগান ও গান গেয়ে দলীয় সংহতি ও সমর্থনের প্রকাশ ঘটাচ্ছেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী এ বিষয়ে বলেন, “এই সমাবেশ শুধু আমাদের দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাচ্ছেন। এটি আমাদের দলের শক্তি, ঐক্য ও একতার প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, এই সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নেতাকর্মীরা ট্রেন ভ্রমণকালে স্লোগান ও উদ্দীপনার মাধ্যমে দলের একতা প্রদর্শন করছেন, যা আমাদের রাজনীতির জন্য এক নতুন উদ্দীপনার সংকেত।”
একই সুরে কথা বলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “নেতাকর্মীদের এই উচ্ছ্বাস এবং অংশগ্রহণ আমাদের দলের ঐক্য ও শক্তি প্রমাণ করছে। প্রতিটি জেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন এবং এটি একটি ঐতিহাসিক দৃশ্য। আমরা আশা করি, এই প্রত্যাবর্তন শুধু দলের জন্য নয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা হবে। নেতাকর্মীরা স্লোগান, গান ও উদ্দীপনার মাধ্যমে দলের প্রতি তাদের সমর্থন ও ভক্তি প্রকাশ করছেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে বিএনপির শক্তি পুনঃপ্রকাশ করবে।”
সব মিলিয়ে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সিলেট থেকে ঢাকামুখী এই যাত্রা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি ও প্রত্যাশার বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।