
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে, সে লক্ষ্যে জয়পুরহাট সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি জয়পুরহাট জেলা শহরেও বিজিবির টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল লতিফুল বারী।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় একাধিক প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ পুরো সীমান্তজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েনের মাধ্যমে সীমান্ত পাহারা আরও জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক টহল দল দিয়ে সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, সব ধরনের যানবাহন, মোটরসাইকেল এবং এককভাবে চলাচলকারীদের কড়াকড়িভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তের পাশাপাশি জয়পুরহাট জেলা শহরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়- সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পুলিশ স্টেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে সশস্ত্র বিজিবি সদস্যদের নিয়ে বিশেষ টহল চালানো হচ্ছে। দুটি পিকআপে করে এই টহল দল নিয়মিতভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি করছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ প্রসঙ্গে লে. কর্নেল লতিফুল বারী বলেন, “ঢাকার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে পারে- এমন আশঙ্কায় আমরা সতর্কতা বাড়িয়েছে। অপরাধীরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সেজন্য আমাদের অধীনস্থ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া, চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে এবং জেলা শহরেও বিজিবির টহল চলছে।”