
কেরানীগঞ্জের বাবুবাজারে অবস্থিত জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট এই কাজে অংশগ্রহণ করেছে। অগ্নিকাণ্ডে আটকে থাকা ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, "২১টি ইউনিটের তৎপর প্রচেষ্টায় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।"
এর আগে মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, জাবালে নূর টাওয়ার কয়েকটি পৃথক ভবন নিয়ে গঠিত, তবে বেজমেন্ট শুধু একটি। ভবনটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক যৌথ। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় গার্মেন্টস পণ্যের দোকান এবং ছোট ঝুট গোডাউন রয়েছে, উপরের তলায় আবাসিক কোয়ার্টার। বেজমেন্টে প্রবেশপথ মাত্র দুটি। বেশিরভাগ দোকানের সাটার কেটে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে, তাই আগুন নেভাতে বেশি সময় লেগেছে।
তিনি আরও জানান, ধোঁয়ার কারণে ২১টি ইউনিট—তিনটি ব্রিদিং টেন্ডার, একটি হ্যাজম্যাট টেন্ডারসহ—আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এ সময় আরও তিনজনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে মোট উদ্ধার সংখ্যাটি ৪৫।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেন্টেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ভবনের আশপাশে অনেক মিক্সড আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, এবং দোতলা ও তৃতীয় তলায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। বেজমেন্টেও দোকানপাট থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে।"
তিনি আরও বলেন, "দোকানের সাটার ও কলাপসিবল গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে কাজ করতে হয়েছে। আমরা চার দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি যাতে আগুন অন্য ভবনে ছড়িয়ে না যায়।"
আগুনের সঠিক সূত্রপাত সম্পর্কে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, "প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের অগ্রাধিকার, পরে সূত্রপাত নির্ধারণ করা হবে।"
কেমিক্যালের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নে তিনি জানান, "কোনো কেমিক্যাল পাওয়া যায়নি। আগুনে যে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তা ব্যাক ড্রাফট—যেখানে আগুন বা ধোঁয়া আটকে থাকলে খোলার সময় যে শব্দ হয়।"
উল্লেখ্য, আগুন লাগার খবর সকাল ৫টা ৩৭ মিনিটে পাওয়া যায় এবং ৫টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।