
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হচ্ছে, এ নির্বাচনে প্রত্যেক দলের প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট কিলিং করা হবে ”
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের গোয়ালপাড়া বাজারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি পথসভায় তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের এক ধরনের চক্রান্ত রয়েছে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট কিলিং করা হবে। এমন তথ্য আমি পেয়েছি। আরও তথ্য আছে যে, প্রার্থীদের গুপ্তহত্যা করারও পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। এভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে।”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না। নির্বাচন হবে এবং তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।”
পথসভায় তিনি জানান, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে তার কথাবার্তা অনুযায়ী, দলের চেয়ারপারসন তারেক রহমান তফশিলের পরপরই বাংলাদেশে আসবেন এবং দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবেন।
জেলার সাংবাদিকদের বুলেটপ্রুফ গাড়ি ক্রয় সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, “এখন তারেক রহমানের কি নিরাপত্তা লাগবে না? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, যদি আজ তারেক রহমান একই পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে ভারতীয় ও অন্যান্য বিদেশি ষড়যন্ত্র সফল হয়ে যাবে। তাই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। দলের পক্ষ থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হয়েছে। আমি মনে করি, এখানে কোনো অন্যায় নেই; বরং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “ঠিক একইভাবে যারা প্রার্থী আছি, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। প্রশাসন যদি মনে করে আমার নিরাপত্তা প্রয়োজন নেই, তাহলে আমার কিছু করার নেই। কিন্তু আমি সবসময় প্রশাসনকে অবহিত করি- পুলিশ, এসপি, ডিজিএফআইকে। তাই যদি আমার ওপর আক্রমণ হয় বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।”
পথসভায় বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।