
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর এটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টা বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঘটনাটির পরদিন তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন, যেখানে অজ্ঞাতনামা ১২-১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগের দিন বিকেলে নগরের বিনোদপুর এলাকায় এনসিপির তিন কর্মী- দলটির রাজশাহী জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু, সদস্য আবদুর বারি এবং সাংবাদিক সোহানুর রহমান- সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন।
গুরুতর আহত আবদুর বারিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নাহিদুল ও সোহান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
থানায় দেওয়া অভিযোগে নাহিদুল জানান, সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জুলাই চত্বরে এনসিপির জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা তিনজন একটি মোটরসাইকেলে করে কাটাখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। তখন চারটি মোটরসাইকেলে আটজন ব্যক্তি তাদের পিছু নেন।
নাহিদুলের ভাষ্য, সোমবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিনোদপুর বাজার পার হওয়ার পর সামনের রং সাইডে দাঁড়িয়ে থাকা সিলভার রঙের একটি প্রাইভেট কার হঠাৎ দ্রুতগতিতে তাদের দিকে ছুটে আসে। তিনি হাত নেড়ে থামানোর সংকেত দিলেও গাড়িটি আরও বেপরোয়াভাবে এগিয়ে আসে এবং মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজনই রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। এরপর গাড়িটি দ্রুত পালিয়ে যায়। ধাক্কার সঙ্গে সঙ্গেই পেছনে থাকা চারটি মোটরসাইকেলও ইউ-টার্ন নিয়ে একই গাড়ির দিকে চলে যায়।
সংবাদমাধ্যমকে নাহিদুল বলেন, ‘এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। যেদিক দিয়ে গাড়িটি আসছিল, সেটি স্বাভাবিক চলাচলের পথ নয়। এটি পরিকল্পিত হামলা।’
তিনি আরও দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কাজ করায় বিভিন্ন পক্ষ তার প্রতি ক্ষুব্ধ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।