সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে আহত কিশোরের মৃত্যু
- কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:২৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন এক কিশোর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাখানেক চলা সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আনন্দ নামে ১৫ বছর বয়সী কিশোরকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আনন্দ উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের ছাগাইয়া গ্রামের আবু তাহের মিয়ার ছেলে। পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। নিহতের পিতা পেশায় জুতা ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় দুই পক্ষ আড়াই ব্যাপারী বাড়ির ভুবনের পক্ষ ও আলিম সরকারের বাড়ির রুজেনের পক্ষ মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রুজেনের পক্ষের কয়েকজনকে ভুবনের লোকেরা মারধর করলে তার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় তারা ট্রাফিক পুলিশের বুথ ও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে থানা পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি সামলানো হয়। আহতদের মধ্যে আল আমিন (৩৪), আনন্দ (১৫) ও আবুল মিয়া (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন, অন্যরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় আনন্দকে ঢাকায় পাঠানো হলে রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভগ্নিপতি আব্দুল গণি বলেন, বন্ধুরা মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে আনন্দ সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়। নিহত আনন্দ ছয় ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন। তার বোন সোনিয়া বেগম বলেন, যারা ঝগড়া করেছে তাদের বিচার চাই। আমার ভাই কারও পক্ষে যায়নি, কেন তাকে মেরে রক্তাক্ত করা হলো?
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, রুজেন ও ভুবন এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আনন্দ গুরুতর আহত হলেও তার পরিবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করায়। ঢাকায় মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানায়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।