সংসদীয় আসন কমানোর প্রতিবাদে হরতালসহ ৫ দিনের কর্মসূচি


সংসদীয় আসন কমানোর প্রতিবাদে হরতালসহ ৫ দিনের কর্মসূচি

বাগেরহাটে একটি সংসদীয় আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিন দিনের হরতালসহ পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। রবিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

প্রকাশিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর জেলাসদরে বিক্ষোভ, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং ৮ সেপ্টেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ৯ সেপ্টেম্বর জেলাজুড়ে বিক্ষোভ এবং ১০ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। তবে অ্যাম্বুলেন্স, শিক্ষার্থীদের বহনকারী যান ও জরুরি সেবার যানবাহন হরতালের আওতার বাইরে থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কনভেনর এমএ সালাম ও সদস্যসচিব শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপি নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা রেজাউল করিমসহ অন্যান্য নেতা।

বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন জনমানুষের দাবি উপেক্ষা করে এই আসন বিন্যাস করেছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছি। যদি কমিশন চারটি আসন ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

বাগেরহাটে দীর্ঘদিন ধরে চারটি সংসদীয় আসন ছিল। ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর বাগেরহাটবাসী চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে কমিশনের শুনানিতে অংশ নেন। তবে ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন শুধুমাত্র সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই চূড়ান্ত গেজেটে প্রকাশ করে।

বক্তারা আরও জানান, চারটি আসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। এই কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে যাবে।

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সীমানার গেজেট অনুযায়ী আসনগুলো হলো:

বাগেরহাট-১: সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট

বাগেরহাট-২: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

বাগেরহাট-৩: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা

১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল:

বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট

বাগেরহাট-২: সদর, কচুয়া

বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা

বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×