কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র-সমাজের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৩১ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলের বাসাইলে একই স্থানে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজের কর্মসূচি ডাকার জেরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকলিমা বেগমের স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, রবিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ ধারা বলবৎ থাকবে। ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট স্থানে কোনো সভা বা সমাবেশ করা যাবে না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং একই সময়ে ছাত্র সমাজের ব্যানারে আরেকটি সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল ইউএনওর কাছে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের অনুমতি চান। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং থানা ওসিকেও তিনি অনুলিপি পাঠান। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর।
অন্যদিকে, ৫ সেপ্টেম্বর ছাত্র সমাজের পক্ষে রনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে আবেদনে তার মোবাইল নম্বর বা পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি এবং কারা অতিথি থাকবেন তাও জানানো হয়নি। এ দুই আয়োজকই ইতোমধ্যে এলাকায় মাইকিং করেছেন।
কাজী আশরাফ হুমায়ুন বলেন, সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আমরা আগে আবেদন করেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বানচালের জন্য তারা একই স্থানে সমাবেশ ডেকেছে। তারা অন্য সময় করতে পারতেন। আমাদের সঙ্গে কোনো প্রতিহিংসা নেই, ইতিমধ্যে অতিথিদের দাওয়াত দিয়েছি।
অন্যদিকে রনি মিয়া দাবি করেন, সারা দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। যাতে তারা পুনর্বাসিত না হতে পারে, সেই লক্ষ্যেই আমাদের সমাবেশ। এটি শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। যত বাধা আসুক আমরা নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ করব।
বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, একই স্থানে দুটি সমাবেশ ডাকা হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল টিমও থাকবে।
ইউএনও জানান, একই সময়ে একই স্থানে দুটি সমাবেশ হলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির পাশাপাশি রক্তপাতের আশঙ্কা রয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।