গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদলের হামলা
- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:৪৮ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৫

ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে আবারও সহিংসতা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা ব্রিজ এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালালে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে গণঅধিকার পরিষদের শৈলকুপা উপজেলা শাখার সভাপতি মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পাইলট স্কুল থেকে শুরু হয়ে ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমান মিঠু, সদস্য সচিব আল-আমিন ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলযোগে ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আকস্মিক হামলা চালায়।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি হাসান, উপজেলা সভাপতি মেহেদি হাসানসহ পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে রাব্বি হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাকিরা স্থানীয় ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসি মাসুম খান আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের শাহজাহান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানান, নুরের মাথায় আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তার নাক ও ডান চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, সিটিস্ক্যান রিপোর্টে মাথায় রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ফোলা ধরা পড়েছে। চোখ ও মুখ ফুলে গেছে এবং ডান চোখে রক্ত জমাট বেঁধেছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও গুরুতর আঘাত নেই।
নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদ রায়হান বলেন, নুর এখনও শঙ্কামুক্ত নন। মাথার ভেতরে পানি জমাট বাঁধলেও আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। নাক-কান-গলা, চক্ষু, নিউরোসার্জারি ও ক্যাজুয়েলটি বিভাগের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ করছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নুর বর্তমানে অক্সিজেন সম্বলিত বেডে ভর্তি আছেন এবং গুরুতর অবস্থায় আছেন। তার পরিবার দেশবাসীর কাছে দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।