বন্ধুকে বাড়িতে দাওয়াত করে খাওয়ানোর পর কুপিয়ে হত্যা


বন্ধুকে বাড়িতে দাওয়াত করে খাওয়ানোর পর কুপিয়ে হত্যা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে খাওয়ানো-দাওয়ানোর পরই এক বন্ধুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গেরাপচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তুলা মিয়া (৩৮) নালিতাবাড়ীর ছালুয়াতলা গ্রামের নুরুল আমীনের ছেলে। অভিযুক্ত নাজমুল হক (৩৫) একই ইউনিয়নের গেরাপচা গ্রামের মৃত বক্তারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, নিহত তুলা মিয়া ও নাজমুল দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে চলাফেরা করতেন এবং তারা চুরির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে নাজমুল নিজ বাড়িতে খাওয়ানোর জন্য তুলা মিয়াকে ডেকে নেন। খাওয়াদাওয়া শেষে হঠাৎ নাজমুল দা হাতে নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। জীবন বাঁচাতে তুলা মিয়া পালানোর চেষ্টা করলে ধানক্ষেতের আইলে পড়ে যান। তখন নাজমুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন এবং পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তুলা মিয়াকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভীর ইবনে কাদের জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ঘটনার পর পুলিশ নাজমুলকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। সোমবার ভোরে তার সঙ্গে থাকা এক নারীকে সেহড়াতলী গ্রাম থেকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও মূল অভিযুক্ত নাজমুল এখনও পলাতক রয়েছেন।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×