গভীর রাতে যুবদল নেতা পলের মঞ্চে হামলা, অভিযোগ নিপুণ রায়ের দিকে


গভীর রাতে যুবদল নেতা পলের মঞ্চে হামলা, অভিযোগ নিপুণ রায়ের দিকে

ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজি রেজাউল কবীর পলের নির্বাচনী মঞ্চে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহাম্মদ দারা মেম্বার, তুহিন মিয়া, টিটু আহমেদ ও আওলাদ হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। রাত পৌনে ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মেইন সড়কের ফ্যামিলি শপিংমলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করেন রেজাউল কবীর পল। একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যায়। পরে রেজাউল কবীর পল প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ঈদগাহ মাঠ বাদ দিয়ে ফ্যামিলি শপিংমলের সামনে মিলাদ মাহফিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। ওই স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চ তৈরির কাজ চলাকালে ৫০ থেকে ৭০ জন অস্ত্রধারী হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক তারিফুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ আয়োজন করা হয়েছে। রেজাউল কবীর পল ঈদগাহ মাঠের সভাপতি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে নিপুণ রায় চৌধুরী একই স্থানে কর্মসূচি দিতে চাইলে পল তা এড়িয়ে অন্য জায়গায় আয়োজন করেন। তারপরও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে আহত করেছে।’

এ বিষয়ে রেজাউল কবীর পল বলেন, ‘একটি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতেই পারেন। আমি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়ার আয়োজন করেছি। নিপুণ রায় ঈদগাহ মাঠে কর্মসূচি দেওয়ায় আমি অন্যত্র আয়োজন করি। তারপরও সেখানে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে নিপুণ রায় চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ‘জিনজিরা সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, জিনজিরা ঈদগাহ ও বাসরোড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×