স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরালেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা


স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরালেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের ওপর হামলা ও অপমানজনকভাবে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

অভিযোগে শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, বল্লী গ্রামের শাহিনুর রহমান, হাজীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ, রাশেদুজ্জামানসহ আরও কয়েকজন লোহার রড, হাতুড়ি, জিআই পাইপ ও বাঁশ নিয়ে স্থানীয় লোকজনসহ স্কুলের অফিসকক্ষে ঢোকেন।

তিনি বলেন, “তারা আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে এবং কিছু মানুষ দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে ধরে জনসম্মুখে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে বল্লী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নিয়ে আটকে বেধম মারধর করে। স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরে তারা স্কুলে এসে বলে, আমি আবার এই স্কুলে গেলে আমাকে হত্যা ও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেয়।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “বিএনপির কিছু নেতাকে আমার অফিস কক্ষে বসে থাকতে দেখি। তারা শনিবার বন্ধের দিন এক ছাত্রীকে ৩৭ মিনিট শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়িয়েছেন জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে কামরুজ্জামান সবুজ শিক্ষক শফিককে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়। তারপর ১০-১২ জন তাকে ধরে টেনেহিঁচড়ে কিল-ঘুষি মারতে মারতে এখান থেকে নিয়ে যায়। থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।”

এই বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ছাত্রদল নেতা সবুজ ফোন ধরেননি। বিএনপি নেতা সেলিম আক্তার মন্টু জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে আগ্রহী নন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, “অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×