বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা ড. ফয়জুল হকের


বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা ড. ফয়জুল হকের

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মালয়েশিয়া শাখার সাবেক সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ড. ফয়জুল হক। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ড. ফয়জুল হক বলেন, তিনি আর কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় থাকতে চান না। তার ভাষায়, দলীয় রাজনীতিতে থাকলে অন্যায়ের সমালোচনা করা যায় না। আমি সত্য বলার স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে চাই। এখন থেকে আমি কেবল সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে, একজন স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে রাজনীতির মাঠে থাক

নিজেকে মজলুম প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি জানান, রাজনীতির মূল ভিত্তি হওয়া উচিত জনগণের অধিকার, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান। রাজনৈতিক সহিংসতা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির বিপক্ষে তিনি বরাবরই অবস্থান নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও সেগুলোর প্রশ্রয় দেবেন না বলেও জানান।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিঃস্বার্থভাবে সমাজসেবা করে আসছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।

বিএনপি থেকে পদত্যাগের প্রসঙ্গে ড. ফয়জুল জানান, ২০১৫ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ২০১৮ সালে ঝালকাঠির দুটি আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দলের অবস্থান ও বিশেষ করে ৫ আগস্টের ঘটনার পর ইসলামপন্থিদের প্রতি বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি তাকে হতাশ করেছে। তিনি দাবি করেন, এই অবস্থান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মিলে গেছে এবং একজন ডানপন্থি রাজনীতিক হিসেবে এতে তিনি নিজেকে একঘরে অনুভব করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি কারো বিপক্ষে নয়, মানুষের পক্ষে রাজনীতি করতে চাই। পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ড. ফয়জুল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচনে তিনি ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে জয় লাভ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে ছিলেন স্থানীয় জামায়াতপন্থি সংগঠনের নেতাকর্মীরা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন পৌর জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন এবং শিবির নেতা মো. সাকলাইন মোশতাক।

তিনি শেষ কথায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান, যদিও তাদের দল ছেড়েছেন, তবুও তাদের অবদান ও ব্যক্তিত্বের প্রতি তার ব্যক্তিগত ভালোবাসা অটুট থাকবে বলে মন্তব্য করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×