দিনাজপুরের ১৫টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন
- দিনাজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৩০ পিএম, ০৬ জুন ২০২৫

সৌদি আরবের ঈদ উদযাপনের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামে শুক্রবার (৬ জুন) সকালে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন। নামাজ শেষে তারা গরু ও ছাগল কোরবানি দেন।
ঈদের জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদরাসা মাঠ ও খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর এলাকার সুমন মিয়ার বাড়ির আঙিনায়। সকাল সাড়ে ৮টায় একযোগে জামাত দুটি শুরু হয়। আয়ড়া মাদরাসা মাঠে ইমামতি করেন হাফেজ পারভেজ এবং খয়েরবাড়িতে ইমামতি করেন মো. দেলোয়ার হোসেন কাজি।
ঈদের দিন সকালে আয়ড়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রামের মানুষ কেউ ভ্যান, কেউ সাইকেল, আবার কেউ মোটরসাইকেলযোগে নামাজে অংশ নিতে আসেন। জামাত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
খয়েরবাড়ি জামাতের ইমাম মো. দেলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, 'সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এত কম ব্যবধানে দিন বদলায় না। তাই আমরা সৌদির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করি।' তিনি আরও জানান, '১৯৯৭ সাল থেকেই এমন পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেছি।'
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, 'জোতবানি ও বিনাইল ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামে সৌদির অনুসরণে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে জামাত সম্পন্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।' তিনি আরও জানান, 'দুটি জামাতে প্রায় দুই শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।'
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের অনুসরণে বাংলাদেশে আগাম ঈদ উদযাপনের এই ধারা স্থানীয়ভাবে কয়েক বছর ধরেই চলমান রয়েছে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এভাবে তারা ইসলামের মৌলিক চেতনার আরও কাছাকাছি থাকতে পারেন।