হিলিতে দুস্থদের চাল আত্মসাতের অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- দিনাজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:১৫ পিএম, ০৫ জুন ২০২৫

দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতের অভিযোগে খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপনকে অব্যাহতি প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হলেও সদস্য পদ বা তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দিনাজপুর এর উপসচিব রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে তার স্থলে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গতকাল হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দিনাজপুর এর উপসচিব রিয়াজ উদ্দিন জানান, উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপনের বিরুদ্ধে গত ঈদুল ফিতরের সময় গরীব অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর ১৮টন চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করেন উপকারভোগীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে সেই অভিযোগের তদন্তে সেই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে সেই রিপোর্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তবে তার বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোন নির্দেশনা আসে সেই মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হিলির খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গত ১৬ই মার্চ ঈদ উপহার হিসেবে ইউনিয়নের ৪ হাজার ১৬৯ জন গরীব অসহায় দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে এই চাল বিতরণ করা হয়। সেই বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা তালিকায় নাম থাকার পরেও অনেকেই চাল পায়নি, আবার ভুয়া ও মৃত ব্যক্তি নাম ব্যবহার এক ব্যক্তির নাম একাধিকবার ব্যবহার করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৮টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাইমুমুর রহমান ডলার নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে নামে প্রশাসন সত্যতা মেলায় রিপোর্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠালে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।