সারা জীবন আমেরিকায় থাকা ব্যক্তির হাতে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব: যুবদল সভাপতি


tdwfajhfdhdsf.png

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অথচ সে বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। একজন ব্যক্তি যিনি সারা জীবন আমেরিকায় অতিবাহিত করেছেন, তাঁকে এনে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’


আজ বুধবার রাতে নওগাঁ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জেলা যুবদলের এক সভায় যুবদলের সভাপতি এসব কথা বলেন।

মোনায়েম মুন্না বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কথা ও কাজের মধ্যে কোনো মিল নেই। তারা রাষ্ট্র ও জনগণকে তোয়াক্কা না করে একতরফা আচরণ করছে।

যুবদলের সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। জনগণ এখনো এই দলের ওপর আস্থা রাখে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান যে রাজপথের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেটি আজ বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, সেটি রাজপথেই ফয়সালা হবে—তিনি সেটাই বলেছিলেন এবং এখন তা-ই হচ্ছে।’


ভোটাধিকার প্রসঙ্গে মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘আমরা এখনো ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারিনি। গণতান্ত্রিক লড়াই এখনো চলমান। এই অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘মানবিক করিডরের নামে রোহিঙ্গাদের চলাচলের জন্য যে করিডর দিচ্ছে সরকার, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারা দেশকে নিজেদের ইচ্ছেমতো পরিচালনা করছে। নির্বাচনকে ডিনাই করে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে চায়। অথচ ভোটাধিকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। নির্বাচন দিতে তাদের এত সমস্যা কেন? মনে হচ্ছে, নির্বাচনের দাবিতে আবারও রাজপথে নামতে হবে।’

মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করে তারুণ্যের ওপর ভিত্তি করে যে বাংলাদেশ নির্মাণের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করব। ইনশা আল্লাহ, তারুণ্যের জাগরণেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপু, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব রুহুল আমিন মুক্তার ও যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম রউশন উল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুস সালেহীন।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×