তরুণীকে দোকানির ধর্ষণ, ভুক্তভোগীর চাচা বললেন, ‘ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে?’


তরুণীকে দোকানির ধর্ষণ, ভুক্তভোগীর চাচা বললেন, ‘ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে?’

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক প্রতিবন্ধী তরুণী (২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার (১৩এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ব্রামনডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত উলফাত মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতব্বরা মীমাংসার নামে অভিযুক্তকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ‘ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে? লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। তাছাড়া ওই সালিশে আমাদের ডাকা হয়নি।’

জানা গেছে , বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী রোববার বিকেলে ব্রামনডাঙ্গা বাজারে অভিযুক্ত উলফাতের দোকানে যান কেনাকাটার জন্য। এ সময় দোকানি উলফাত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের ভেতর ডেকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে ফেলেন এবং মেয়ের মাকে খবর দেন। মেয়ের মা ঘটনার সত্যতা পান। তখন বাজারের লোকজন মেয়ের মাকে উপযুক্ত বিচার পাইবে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী একটি মহল ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনী পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। রাতেই অভিযুক্ত উলফাত ও স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর কামরুল, লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ১০-১২ জন বাজারে বৈঠকে বসেন এবং সবার সম্মতিতে উলফাত মোল্লাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেন। 

উলফাত মোল্লার ভাতিজি বলেন, ‘আমার চাচা নির্দোষ। তাকে ফাঁসিয়েছেন মাতব্বররা। ২ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করার পরও আমাদের বাড়িতে পুলিশ ও সাংবাদিকরা কেন এল?’ 

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘উলফাতকে সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×