
৫৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জাঁকজমক আয়োজন করছে না চবি
১৮ নভেম্বর ৫৯তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দিবস পালন করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া চবির ২ শিক্ষার্থীর কথা স্মরণে রেখেই খুব বেশি ঝাকজমকপূর্ণ আয়োজন রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজন সম্পর্কে জানান চবির তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক অধ্যাপক ড. শহীদুল হক। এসময় তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন ছাত্র শহীদ হয়েছেন। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের রক্ত এখনো শুকায়নি। তাই শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা ছিন্তা করে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে আমরা এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে খুব বেশি ঝাকঝমকপূর্ণ আয়োজন না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সবসময়ের ন্যায় এবারও আনন্দ শোভাযাত্রা, র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভা রাখা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ভোজের ব্যবস্থা আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে হলের এই উন্নত ভোজ উপভোগ করতে পারেন। আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হলেও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কেন দেওয়া হয়নি- জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সবক্ষেত্রেই কিছু ব্যয় সংকোচন করে সেই অর্থ শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য কোনো খাতে খরচ করতে। ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন করতে গেলে অনেক বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। আর তারা সবাই কিভাবে আসবে? কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তো এরকম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ভোজের আয়োজন করা হয় বলে মনে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চবির জিরো পয়েন্ট থেকে একটা আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেক কাটা হবে। বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

আদি নববর্ষ উদযাপনে মুখর টিএসসি
আজ পহেলা অগ্রহায়ণ! বাংলার আদি নববর্ষ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি পায়রা চত্বরে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আয়োজনে সাংস্কৃতিক উৎসব, র্যালি ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অগ্রহায়ণ এলেই নতুন ধানের ঘ্রাণে মেতে ওঠে কৃষক-কৃষানীর আঙিনা। আদি বাংলার কৃষি সভ্যতার রীতি ধরেই নতুন চালের পিঠাপুলীর ধুম, নবান্ন উৎসবে আনন্দের ঢেউ পড়ে যায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।বাঙালী সংস্কৃতির সবচেয়ে আদি ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে এ ইতিহাসের সাথে পরিচিত করাতে এ আয়োজন করা হয়। এই আনন্দ কৃষকের একার নয়। এই আনন্দ সবার।শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় টিএসসি পায়রা চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসবের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন দেশবরেণ্য কবি আবদুল হাই শিকদার।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা অর্থবহ করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে। হাফ ডান স্বাধীনতা থেকে আমরা পূণাঙ্গ স্বাধীনতা পেয়েছি। সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে, নাটককে মোকাবেলা করতে হবে নাটক দিয়ে। আমরা যদি জাতীয় সংহতি কে সমৃদ্ধ রাখতে পারি তাহলে আমাদের কপাল সিকিম এর মতো হবে না। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে পাঠ্য পুস্তকে বিপ্লবের স্পিরিট তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আবৃত্তিশিল্পী ও গবেষক, নাসিম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল জাহীদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর নিবাহী সদস্য এস এম বিপাশ আনোয়ার, সভাপতিত্ব করেন, বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আহবায়ক, মিন্ময় মিজান।অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি, নৃত্য, সংঙ্গীত, নাটক, যাদু প্রদশনি, পালাগান, পুথিঁপাঠ ও লালনগীতি পরিবেশন করেন দেশবরেন্য শিল্পীরা এবং বিভিন্ন সংগঠন তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেছে। নবান্ন মেলা স্টলে, পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির ধ্বনি এবং দশকদের অংশগ্রহণে পহেলা অগ্রহায়ণে মুখর হয়ে উঠেছিল টিএসসির পায়রা চত্বর।

‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগানটির উদ্দেশ্য যা ছিল
সারা দেশে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শ্লোগান ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’। এ শ্লোগানটির উদ্দেশ্য কী ছিল? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সামনে ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলে স্লোগান দেন। নাহিদ ইসলাম ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এ স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।জানা গেছে, ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগানটি মূলত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। এটি কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি রাকিব হাসান। মূলত, দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারের বদলে সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ হস্তান্তরের দাবিতে শ্লোগানটি দেওয়া হয়েছিল।বুধবার (১৩ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হাসান বলেন ‘স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়েদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি বরং তারা নিজেদের পকেট ভারিসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।’তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা ঐক্যর ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।’এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মুলত স্বৈরাচারী কিছু দালালরাই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন।’উল্লেখ্য, গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। তাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষাসচিবের কাছে পাঁচ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া। কিন্তু শিক্ষাসচিব তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে রাস্তার এক পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।পরে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয় থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ভেতরে যায়। সেখানে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব ও উপদেষ্টা নাহিদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়।বৈঠক শুরুর আগে তথ্য উপদেষ্টার সামনেই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

জাবির প্রশাসনিক ভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরালো সমন্বয়করা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসনিক ভবন থেকে।বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় ছবি সরিয়ে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অফিস ঘুরে ঘুরে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফেলেন তারা। একপর্যায়ে তারা প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলেন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ আহমেদ সিয়াম বলেন, ‘হাজার-হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ থেকে খুনি-ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি। খুনি হাসিনা যাকে পুঁজি করে, যার আদর্শ পুঁজি করে সারাদেশে ফ্যাসিস্টের জন্ম দিয়েছিল, সেই ফ্যাসিস্টের সবচেয়ে বড় ভগবান ছিল ফ্যাসিস্ট মুজিব।’তৌহিদ আরও বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলেছি যে এই বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট মুজিবের কোনো ঠিকানা হবে না। সেই জায়গা থেকে আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বলেছিলাম যে এই জাহাঙ্গীরনগরের কোথাও মুজিবের চিহ্নও রাখা যাবে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রশাসনিক ভবন থেকে মুজিববাদ মুক্ত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে মুজিবের যে চিহ্ন ছিল সেই চিহ্ন মুক্ত করেছে। বর্তমানে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং মুজিব মুক্ত।’এর আগে গত সোমবার বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

রাবিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের তারিখ ঘোষণা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে এবং চলবে ১৬ জানুয়ারি, রাত ১২টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২টা থেকে এবং শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবারের ভর্তি পরীক্ষা তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। 'বি' ইউনিট (বাণিজ্য) পরীক্ষাটি ১২ এপ্রিল শুরু হবে, 'এ' ইউনিট (মানবিক) পরীক্ষা ১৯ এপ্রিল এবং 'সি' ইউনিট (বিজ্ঞান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ এপ্রিল। সুতরাং, আগ্রহী শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট তারিখে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন।

স্লোগান নাহিদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়নি, স্বৈরাচারের দালালরা ভুল প্রচার চালাচ্ছে: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
সচিবালয়ের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে একটি স্লোগান নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। একটি মহল প্রচারণা চালাচ্ছে, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সামনে ‘সব ---রা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ শীর্ষক স্লোগানটি দেওয়া হয়।তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, মূলত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগানটি দেওয়া হয়েছিল। এটি কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে দেওয়া হয়নি।স্বৈরাচারের দালালরা এটির ভুল প্রচার চালাচ্ছে।বুধবার (১৩ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সংগঠক রাকিব হাসান বলেন, ‘স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি।প্রকল্পের মেয়েদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি, বরং তারা নিজেদের পকেট ভারি করাসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। স্লোগানটি তাদের উদ্দেশ্যেই। কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি। ’তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারের দালালরাই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে।এর আগে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের সামনে আবাসন সংকট সমাধানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করেন। সেখানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওই স্লোগানটিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।এদিকে সেই ভিডিও ছড়ানোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে প্রচারণা দেখা গেছে। হ্যাশট্যাগে শিক্ষার্থীদের ‘উই আর নাহিদ’ পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আলোচনা সভা শেষে তারা এই ঘোষণা দেন। আলোচনা চলাকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী নিজেকে পুনরায় সমন্বয়ক হিসেবে ঘোষণা করলে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদদীন এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ এগিয়ে আসেন। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান আন্দোলনে কোনো সমন্বয়কের ভূমিকা বা পদ থাকবে না, সবাই নিজেকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত করবেন। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত সিদ্ধান্ত দাবি করেছিলাম, কিন্তু কিছু ব্যক্তি আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন, যা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বিভিন্ন দিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট বার্তা-এই আন্দোলনে কোনো সমন্বয়ক নেই, সব শিক্ষার্থী এখানে সমান।

জবির নতুন গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ইমরানুল হক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন গবেষণা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরামুল হক। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির ১২ ধারা অনুযায়ী, সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী ২ (দুই) বছরের জন্য অধ্যাপক ড. ইমরামুল হক গবেষণা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।নবনিযুক্ত গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরামুল হক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে গবেষণা। শুধু বিজ্ঞান বিষয়ক নয়, সকল অনুষদেই গবেষণা বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম।”এছাড়া, দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি অনুযায়ী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

জবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে এলেন উপদেষ্টা নাহিদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ের নিজ অফিস থেকে নেমে এসেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন তিনি। এর আগে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে সেখানে বাধার মুখে পড়েন।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সচিবালয়ের গেট থেকে একজন লোক পাঠিয়ে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে চান শিক্ষা উপদেষ্টা। কিন্তু শিক্ষা সচিব বা উপদেষ্টা কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেননি। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান জানিয়ে সচিবালের সামনেই অবস্থান নেন।এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায় তারা লিখিত বক্তব্য চান।

ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাতিল হলো টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রদল কমিটি
ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠার পর বাতিল হলো সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শাখা ছাত্রদল কমিটি। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বিকেলে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাদের অংশগ্রহণ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে । এতে ছাত্রদলের মিছিলের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের খবর প্রকাশিত হয়। এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শাখা ছাত্রদল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বলে জানা গেছে।

ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের দুই নেতা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক ও একাডেমিক এলাকায় সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ১০টার পর বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। পরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হন তারা।এই কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতা অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে।অভিযোগ উঠেছে, এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়াদের একজন ইশরাত জাহান সুমনা। তিনি ঢাবির শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ফোরকান আহমদ মহিউদ্দিন নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। যাকে রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক সময়কার সভাপতি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি ঢাবিতে অধ্যয়ন করছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পদ আছে কিনা সেটি জানা যায়নি, তবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে।এদিকে, ছাত্রলীগের এই দুই নেতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন কিনা, বিষয়টি নিয়ে তাদরে কাছ থেকে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবি এই দুইজনকে বিক্ষোভের সামনের সারিতে দেখা গেছে। তাবে সে সময় তারা দুইজন আলাদা ছিলেন।এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদ ইসলাম কাজল ফেসবুকে লিখেছেন, রাজনীতি সচল থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল পোস্টার লাগিয়েছে। তার প্রতিবাদে রাতে মিছিল করছে ছাত্রলীগের সদস্যরা। কিন্তু তারা এখন ভিসির কাছে সাধারণ ছাত্র। এটা স্পষ্ট করে বলতে গেলে আবার অনেকের কাছে এটা ব্লেম গেম।কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা ফেসবুকে লিখেছেন, এভাবে নিষিদ্ধ করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে সাধারণের নামে। সাধারণ দেখুক, কারা তাদের নাম নিয়ে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পোস্টারিং, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল সহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে করা ছাত্রদলের পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিজয় একাত্তর হলের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগকে হল থেকে বের করে দিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সেদিনই হলের প্রভোস্টের কাছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ফের আমাদের হলে রাজনীতি ঢোকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা মেনে নেবো না।তারা আরও বলেন, হলের বাইরে তথা ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি না সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট। কিন্তু হলে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না সেই বিষয়ে সেই জুলাইয়ে হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এখন আমরা আবারো দেখছি, হলের গেটে পোস্টার লাগানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী এসে বুঝতেই পারবে না এটা আবাসিক হল নাকি পার্টি অফিস। এগুলো হলে রাজনীতি পুনরায় প্রবেশের প্রাথমিক ধাপ বলে আমরা মনে করি।এ সময় তারা ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা—একাত্তর হলে হবে না’, ‘টু জিরো টু ফোর—লেজুড়বৃত্তি নো মোর’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা—এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ঢাবি পরিষ্কার করলেন ইসলামী সমাবেশে আসা অতিথিরা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ঢল নেমেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে শুরু করে ক্যান্টিনসহ সর্বত্র এর প্রভাব পড়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ময়লার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা যায়।এ নিয়ে সামাজিক যােগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তবে এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামতে দেখা গেছে ইসলামী মহাসম্মেলন আসা অতিথি-প্রতিনিধিদের। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শেষে বিকেলে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তারা।পরিচ্ছন্নতা অভিযানে থাকা অতিথি-প্রতিনিধিরা জানান, সম্মেলনে বিশাল সংখ্যক জমায়েত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা সুষ্ঠু পরিচালনা করতে পারিনি। তবে সম্মেলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পরে থাকা পলিথিন, কাগজ, বোতলসহ বিভিন্ন আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ‘দ্য বিউটি অব ডিইউ ক্যাম্পাস’ নামক একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছনতার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এই ছবির ক্যাপশনে বলেছে, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, টি.এস.সি., কলাভবন, কার্জনহল ও এর আসে পাশের এলাকা পরিষ্কার করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলিগের সাথীরা।এই পোস্টের কমেন্টে মাসুদ হাসান নামের একজন লিখেছেন, এগুলো অনেকের চোখে পরবেনা। তর্ক পছন্দ নয় তাই একজন ঢাবিয়ানকে মেনশনও করলাম না।দেখি উনার টাইম লাইনে এমন পোস্ট দেখতে পারি কিনা।হাবিবুর রহমান জুয়েল নামে আরেকজন লিখেছেন, আলেমরা কখনো বিশৃঙ্খলা করে না। তারা জানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।এর আগে, এদিন সকাল থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু হয়। এতে যোগ দিতে রাত থেকে জমায়েত হয়েছেন আলেম-ওলামারা। 'দাওয়াত ও তবলিগ, কওমি মাদ্রাসা এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে' এ সম্মেলন করা হচ্ছে। সমাবেশ শুরু হলে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।

সাত কলেজ নিয়ে এবার ঢাবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা যখন ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে তখন এসব কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারি দেন।শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে 'মেয়েদের জন্য হল নির্মাণ এবং সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে’ অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এই আলটিমেটাম দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের বোঝা বহন করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। সাত কলেজের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বোঝা বহনের কোনো সক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। সাধ্যের বাইরের এই বোঝা কাঁধে নেওয়ার ফলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য জায়গা পায় না। কিন্তু সাত কলেজের জন্য ঠিকই আলাদা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আমরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করব।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আব্বাসউদ্দীন বলেন, ‘সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করলে প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিস, লাইব্রেরি এবং ফ্যাকাল্টিতে তালা ঝুলাব।’ঢাবির বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বলেন, ‘হলে উঠে দুই বছর গণরুমে থেকেছি। এরপর বৈধ সিট পেয়েছি। মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থী এখনো গণরুমে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের নতুন হল বানাতে পারছে না। তাদের বাজেট নেই। কিন্তু সাত কলেজের জন্য কীভাবে নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করবে?’এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল চাই। ঢাবিতে একটি নতুন ইটও গাঁথা হলে সেটা হবে মেয়েদের হলের জন্য। অন্যকিছুর জন্য কখনোই না।’

ছাত্রলীগ নেতাকে জামিনে মুক্ত করলেন ছাত্রদল নেতা
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মামলা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করার পরদিনই কোর্ট থেকে হলফনামা দিয়ে নিজ জিম্মায় জামিনে মুক্ত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াসাল রাকিব।গত ২২ অক্টোবর স্নাতকের পরীক্ষা দিতে এলে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক আসিফ আহম্মেদ অভি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিন তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালে ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় অভিকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রদল নেতা রাকিব।তবে আটকের পরদিন কোতোয়ালি থানা পুলিশ কোর্টে আসামিকে হাজির করলে মামলার বাদী নিজেই হলফনামা দিয়ে জামিনে মুক্ত করেন জবি শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব।জানা যায়, রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিমেলের অনুসারী।হলফনামায় দেখা যায় ছাত্রদল নেতা ও মামলার বাদী রাকিব, আসামি অভির বিষয়ে সুপারিশ করে উল্লেখ করেন, ‘অত্র ঘটনার সাথে এই আসামির কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই’। মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং অভি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন বলে উল্লেখ করেন মুচলেকায়। আসামি নির্দোষ ও নিরপরাধী। একই সাথে আসামি যদি জামিনে মুক্তি পায় তাহলে তার পালানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।’ছাত্রলীগ নেতা অভির জামিনের ঘটনায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, এই অভি আন্দোলনের সময় অস্ত্র নিয়ে ঘুরেছে। ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সে কীভাবে ছাড়া পায়? আমাদের বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়েছে তাকে ছাড়ানোর জন্য কিন্তু আমরা এ ফাঁদে পা দেইনি। কিন্তু মামলার বাদী ছাত্রদল নেতা কীভাবে তার ব্যাপারে সুপারিশ করে ছাড়িয়ে নেয়- আমরা বুঝি না।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাকিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ওদিন আমি আদালতে যাইনি।এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ২০১৮ সালের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরদিনই মামলার বাদী নিজ জিম্মায় হলফনামা দিয়ে আসামিকে জামিনের আবেদন করেন। যেহেতু বাদী নিজেই জামিনের আবেদন করে তাই তাকে জামিন দেন আদালত। ওই একই আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলা আছে। ওদিনই আমরা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে নথি প্রেরণ করতে একটু দেরি হওয়ায় আসামি ছাড়া পেয়ে যায়।প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের ওপর ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অভি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য প্রশাসনের কাছে দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের পদ ব্যবহার করে অভির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ঢাবির অধীনেই থাকছে সাত কলেজ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই থাকবে। তবে, শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা জায়গার ঠিক করা হবে।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সাত কলেজের প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা জায়গার ঠিক করা হবে। যেখানে সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজ করা হবে। তাদের আলাদা রেজিস্ট্রার থাকবে। পুরো বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যান্ড কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।শফিকুল আলম বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সেপারেট ফেসিলিটি হবে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট ভবনে আলাদা ফেসিলিটি হবে। তাদের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রি থাকবেন। তাদের জন্য আলাদা অফিসিয়াল থাকবেন। তাদের জন্য যে সার্ভিসটা দরকার সেটা যেন ডেডিকেট ওয়েতে দিতে পারে।

জাবিতে শিবিরবিরোধী মিছিলকারীদের অভিনন্দন জানাল শিবিরের নেতাকর্মীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতার প্রকাশ্যে আসার পর প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা শিবিরবিরোধী যে মিছিল করেছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিরোধিতায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।শিবিরের তিন নেতার নাম প্রকাশ্যে আসার পর গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।সমাবেশে বক্তব্য দেন- ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান- এই দুটি অধ্যায়কে যারা অস্বীকার করবে, তাদের জনগণ কখনোই ক্ষমা করবে না। শিবির যে প্রেস রিলিজ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে, সেখানে তারা মিথ্যাচার করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা কবে মিছিল করে? গত ১৫ জুলাই রাতে মেয়েরা মিছিল করেছিল যখন ছাত্রলীগ তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। একইভাবে, মেয়েরা শিবিরের বিরুদ্ধেও মিছিল করেছিল, শিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে তাড়ানোর জন্য।দীর্ঘ ৩৫ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দর্শন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি নিজেকে ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার প্রচার সম্পাদক জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন। ওই বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও উল্লেখ করেন।বিবৃতিতে শিবিরের সভাপতি হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের হারুনুর রশিদ রাফি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের মহিবুর রহমান মুহিবের নাম জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব দলের অংশগ্রহণে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সর্বদা প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে কোনো ধরনের দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারাবদ্ধ। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনয়ন, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদকেন্দ্রীক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।সেদিনই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি রাখার জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগোযোগ করা হয়। তবে তাদের ছাড়াই ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই রাতে জাবি ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে আসে।

প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের সময় জাবির দুই ছাত্রী আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের সময় দুই ছাত্রীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন লেকের পাশে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটককৃতদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং অপরজন একই ব্যাচের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন লেকের পাড়ে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছিলেন ওই দুই শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা গাঁজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করলে তাদের সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম তাদেরকে নিয়ে আসার পর তারা বিষয়টি স্বীকার করে এবং ক্ষমা চায়। তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সেই সুবাদে আমরা তাদেরকে একটা সুযোগ দিয়েছি। প্রক্টরিয়াল টিম তাদের নজরদারিতে রাখবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আজহারীর ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামিক আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। বুধবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে তিনি স্ট্যাটাসটি দেন। পোস্টটি দেওয়ার পর নিমিষেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত পোস্টটিতে ১ লাখ ৪২ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়েছে। মন্তব্য পড়েছে ৯ হাজারের বেশি ও শেয়ার হয়েছে ২ হাজারের বেশি।এর আগে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, এ ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম- ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।উল্লেখ্য,১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্বনাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম জানানো হয়।এতে দেখা যায়, জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব। হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী। মহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।

জাবিতে শিবিরের আত্মপ্রকাশ, প্রতিবাদে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
প্রায় ৩৫ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। গঠিত হয়েছে তাদের কমিটি। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একটি দল।মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন শিক্ষার্থীরা।সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম। এতে শিবির স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেসব ব্যক্তি কারা ছিল—তার চেয়ে আমাদের কাছে বড় হিসাব হলো, কোন সংগঠন ছিল।তিনি আরও বলেন, আজ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আপনি সেই সংগঠনের আদর্শকে ধারণ করে এখানে রাজনীতি করতে আসছেন, যে সংগঠন বাংলাদেশকে কোনো দিন চায়নি; স্বাধীনতাকে চায়নি—সেই সংগঠন স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে দাঁড়িয়ে কোনোভাবেই একটি ছাত্রসংগঠন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না।’সমাবেশে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার সহযোগী সংগঠন জামায়াত-শিবির। শেখ হাসিনার সরকারের হাতে যেমন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হত্যার খুনের দাগ রয়েছে, তেমনি ৭১ এর গণহত্যার রক্তের দাগও জামায়াত-শিবিরের হাতে লেগে রয়েছে। এই গণহত্যার দায় তারা অস্বীকার করতে পারে না। আশির দশকেও ছাত্রশিবির একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিকৃষ্টতম কার্যক্রম চালিয়েছে। এখন আবারও তারা পুনর্বাসিত হওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আমরা বারবার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে প্রতিহত করে এসেছি। যার ফলশ্রুতিতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।’

হামলাকারীদের ভিডিও দেখাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে তা বড় পর্দায় দেখাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রেজওয়ান আহমেদ রিফাত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তিনি বলেন - আপনারা জানেন বিগত ১৫ বছর ধরে সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। সবশেষ তারা ১৫ জুলাই আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। ইতোমধ্যে কিছু মামলা নেওয়া হয়েছে। অনেক জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তারা এখনো ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে এখনো অনেকে দম্ভ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে।এই সমন্বয়ক আরও বলেন, আবার দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাঘববোয়ালদের ছেড়ে ছোট ছোট পদধারীদের ধরা হচ্ছে। শুধুমাত্র পদ থাকলেই তাকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এটি আমরা চাই না। আমরা চাই সুস্পষ্ট আইনের মাধ্যমে এর বিচার হোক। আওয়ামী লীগের সময়ে যে অনাচার হয়েছে মিথ্যা মামলার রাজনীতি হয়েছে সেটি আমরা চাই না।তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের ভেতরে এমন অনেকেই ছিল যারা সবার আগে পদ পদবী ছেড়ে সাধারণ ছাত্রদের কাতারে নেমে এসেছিল। সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে লড়াই করেছে কিছু ক্ষেত্রে তাদেরকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সুতরাং যাদের কাছে ছবি ভিডিও তারা নিজেদের মোবাইলে ধারন করেছেন বা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন সেসব ছবি ভিডিওগুলো আমরা এখানে প্রদর্শন করতে চাই এতে করে মামলার প্রসিডিউরের প্রয়োজনে যে সাক্ষীর দরকার হয় সেটাও আমরা এখান থেকে পেয়ে যাব। সাক্ষী না থাকলে আসলে আইনী প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।কতদিন নাগাদ এই কার্যক্রম চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে রেজওয়ান আহমেদ বলেন ‘১৫-১৭ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ভিডিও দেখে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বড় পর্দায় দেখানোর জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকুই। নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।’

ঢাবি হল ছাত্রলীগের খাদিজা ও রাকিব গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ।রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঊর্মির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২২০ জন সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।মামলার অন্যতম আসামী হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির সায়ন ও সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত।

জবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ১৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে মো. ইকবাল হোসেন শিকদার এবং সেক্রেটারি হিসেবে মো. আসাদুল ইসলাম দায়িত্ব পেয়েছেন।শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।অফিস সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো রিয়াজুল ইসলাম, বিজ্ঞান, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাজমুল হক, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ইব্রাহীম আলী, বায়তুলমাল সম্পাদক পদে মো. শাওন সরদার ও দাওয়াহ সম্পাদক পদে মো. আরিফুল ইসলাম দায়িত্ব পেয়েছেন।এছাড়াও সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মাঈন উদ্দিন, স্কুল, বিতর্ক ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান রাসেল, সমাজসেবা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. জুবায়ের আহমেদ, আবাসন ও পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. মাসুম বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষা সম্পাদক পদে শাহিন আহমেদ, এইচআরডি ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জাহেদ ও আইন সম্পাদক পদে মো. সোহাগ আহমেদ দায়িত্ব পেয়েছেন।উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে প্রকাশ্যে আসেন ইকবাল হোসেন শিকদার ও আসাদুল ইসলাম এবং ওই দিনই প্রচার সম্পাদক হিসেবে প্রকাশিত হয় মো. ইব্রাহিম আলীর নাম। বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ -১৬ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের (১১ ব্যাচের) শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন শিকদার, আগে তিনি বিভাগে সাফওয়ান ডাকনামে পরিচিত ছিলেন।সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (১২ ব্যাচের) শিক্ষার্থী। আর প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী।

ইউএপির সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে চীনের সিয়াস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।১৫ অক্টোবর চীনের বেইজিং কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টসের (আইএইউপি) সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্কের সূচনা হয়েছে।চীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা স্বীকৃত সিয়াস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এখানে ৩০ হাজার ছাত্র রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনা এবং আমেরিকান উভয় স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের জন্য চীনের স্টেট কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত।ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এবং সিয়াস ইউনিভার্সিটির প্রভোস্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. লুসি লু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা স্বাক্ষর করেন।ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি উচ্চশিক্ষার একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়। ড. ডেভিড সোহন ২০০৮ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এসিসিএস দ্বারা স্বীকৃত এবং স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশন ফর ভার্জিনিয়া দ্বারা প্রত্যয়িত। এছাড়াও স্কুল ফেডারেল আইনের অধীনে অভিবাসী ছাত্রদের তালিকাভুক্ত করার জন্য অনুমোদিত। একইদিনে ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ইউএপির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি যৌথভাবে একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক সামগ্রী এবং প্রকাশনা বিনিময় করবে। একইসঙ্গে ছাত্রদের জন্য যৌথ সম্মেলন ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন, কর্মশালা, অনুষদ, কর্মী এবং ছাত্র বিনিময় প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করবে।