
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. শাহজামান তফসিল ঘোষণা করেন। এর আগে দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
তফসিল ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও উল্লেখযোগ্য অংশ তীব্র সমালোচনা ও অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
দিনভর অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন - "দায়সারা এ নির্বাচনী তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি ব্রাকসু নির্বাচনকে বানচাল ও দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের নামান্তর।"
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আহমাদুল হক আলবী জানান, "এই তফসিল অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করবে না। জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচির সঙ্গেও এটি সাংঘর্ষিক।"
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক বলেন, "নির্বাচন কমিশন নামমাত্র একটি তারিখ দিয়েছে, যাতে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। শীতকালীন ছুটির আগে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা না করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।"
অপরদিকে, তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. ইয়ামিন লিখেছেন, "আলহামদুলিল্লাহ, ২৯ ডিসেম্বর আমরা ব্রাকসুর এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। পরিবর্তন ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব গড়ে তোলার পথে এটি একটি ইতিবাচক সুযোগ।"
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত লেখেন - "যদিও কিছুটা তড়িঘড়ি করে তারিখ দেওয়া হয়েছে, তারপরও পরিবর্তনের ধারাকে সামনে নিতে এটি একটি মোড় ঘোরানো সুযোগ হতে পারে।"
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মো. শাহজামান বলেন, "শীতকালীন ছুটির বিষয়টি আমরা ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। যতটুকু সময় প্রয়োজন ছিল তা নেওয়া হয়েছে। আমাদের সময়সূচি আর সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব নয়।"
এদিকে বুধবার (১৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ব্রাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।