মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৩৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সহপাঠীদের ওপর মানসিক ও শারীরিক প্রভাব প্রদর্শন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদান ও আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধঘোষিত) ১৯ জন নেতাকর্মী শাস্তির মুখে পড়েছেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি ঢাকাওয়াচকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার আলোচ্যসূচির ৪র্থ নম্বর আইটেমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সূত্রের বরাতে জানা যায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ জনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ১৫ জনকে তাদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে এবং এই আদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, গত ১৭ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর জরুরি রিজেন্ট বোর্ড সভায় ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে সকল তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ১৯ শিক্ষার্থীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আজীবনের জন্য বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন:
মানিক শীল (ইএসআরএম বিভাগ),
মোঃ হুমায়ুন কবির (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৬-২০১৭),
শাওন ঘোষ (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৭-২০১৮),
মোঃ সাদিক ইকবাল (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০২০-২০২১)।
৫ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত:
রায়হান আহমেদ শান্ত (পদার্থবিজ্ঞান, ২০১৮-২০১৯)।
৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত ৭ জন: খালেকুজ্জামান নোমান, সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র, মোঃ আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, মোঃ আবিদ হাসান (মারুফ), রানা বাপ্পি, মোঃ যোবায়ের দৌলা (রিয়ন), নাহিদ হাসান।
৩ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত ৭ জন: সুজন মিয়া, জাহিদ হাসান, মোঃ নাঈম রেজা, ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, মোঃ রিফাত হোসেন, ইমরানুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন (অন্তর)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ ইমাম হোসেন জানান, নিয়মতান্ত্রিক তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এবং উর্ধ্বতন পর্যায়ের অনুমোদনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।