ব্যালট বহনের সময় পাশে ছাত্রদল নেতা, সাংবাদিকের ভিডিও মুছে ফেলার অভিযোগ
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:২২ এম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণে থাকা এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রোজেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ওসমান সরদার, যিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জানান— নির্বাচন কমিশন ব্যালট বাক্স পরিবহন করার সময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রোজেন কর্মকর্তাদের পাশে হেঁটে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করার পর রোজেন তার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলেন এবং সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তাকে এমন ভিডিও না ধারণ করার জন্য সতর্ক করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, "ওই সময় আমি ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার ভিডিও করছিলাম। পেছনে ছাত্রদলের বাবর ভাই ও রোজেন ছিল। পরে রোজেন আমার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে, আমার ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করে দেয়। এটা নিয়ে আমি খুবই শঙ্কিত। আজই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে আগামীকাল নির্বাচনের দিন কি অবস্থা হতে পারে?”
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি তো ওইখানেই ছিলাম। ভিডিও ডিলিট করে নাই। কী ভিডিও ডিলিট করছে সেটাও তো জানি না। ভিডিও কোনো ডিলিট করে নাই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।"
এদিকে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, "এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৯ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে সাবেক শিক্ষার্থী, অতিথিসহ যেকোনো ধরনের বহিরাগত ব্যক্তির প্রবেশ ও অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে।
কিন্তু অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর (রসায়ন বিভাগ, ৩৯তম আবর্তন, ২০০৯-১০ সেশন) ও মশিউর রহমান রোজেন (অর্থনীতি বিভাগ, ৪০তম আবর্তন, ২০১০-১১ সেশন) দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থানের অনুমতি রাখেন না।