মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিষয়ে জাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য


মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিষয়ে জাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আসন্ন জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের বক্তব্যে তৈরি হয়েছে পরষ্পরবিরোধিতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছি, হলে প্রাক্তন বা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করা এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। আপনি আমাকে প্রশ্ন না করে প্রশাসনকে জিজ্ঞাসা করেন। আমরা প্রশাসনকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন কখনো মৌখিকভাবে কোনো নির্দেশনা দেয় না, যা দেওয়ার সবই আমরা লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব।"

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, “এগুলো মূলত নির্বাচন কমিশনের কাজ। তোমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রচন্ডভাবে চাপ তৈরি করো। নির্বাচনের সময়ে প্রশাসনকে চুপ থাকতে হয় এটাই নিয়ম। আমি যদি সরাসরি কিছু বলি, সেটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইন্টারফেয়ারেন্স হয়ে যাবে। তবে কমিশন চাইলে আমি অবশ্যই তাদের সহযোগিতা করব। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে না। যদি তারা থেকে যায় এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তবে তার দায়ভার নির্বাচনকে জটিল করে তুলবে। আমি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছি। নির্বাচনের সময় চালাকি করে হলে থাকার কোনো সুযোগ নেই।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×