
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনকে রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের পর তার কারাগারে থাকা বাধা শেষ হয়েছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. রাশেদুজ্জামান রাজা ও বিচারপতি মো. রেজাউল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৯ আগস্ট একই মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও হাফিজুর রহমান কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩), মঞ্জুরুল আলম (৪৯), কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২), গোলাম মোস্তফা (৮১), মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪), মো. জাকির হোসেন (৭৪), মো. তৌছিফুল বারী খাঁন (৭২), মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭), মো. আল আমিন (৪০), মো. নাজমুল আহসান (৩৫), সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬), মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪), দেওয়ান মোহম্মদ আলী (৫০) ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।
প্রসঙ্গত, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান আগে আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষ আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন তা প্রত্যাখ্যান করেন। শুনানির পর বিচারক প্রথমে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, যিনি দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদেরও প্ররোচিত করেন। পরবর্তীতে ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে ১৬ জনকে পুলিশ আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করা ‘মঞ্চ ৭১’ সংগঠনের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণকে আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত করা। তবে পুলিশের অভিযোগ, এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল।