
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র সান মারিনো ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি সাধারণ পরিষদের সামনে এই ঘোষণা দেন।
বেকারি বলেন, গত ১৫ মে সর্বসম্মত সমর্থনে আমাদের পার্লামেন্ট চলতি বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আজ এই পরিষদের সামনে, আমরা সেই আদেশ পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি: সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।
এই ঘোষণার সঙ্গে নাগরিকদের কাঁধে কাঁধ মেলানো সমর্থন মিশ্রিত করতালি ধারণ করল জাতিসংঘ হলরুম।
বেকারি ওই ভাষণে গাজা ও পশ্চিম তীরে সৃষ্টি হওয়া মানবিক বিপর্যয়কে অসহনীয় আখ্যা দিয়ে বলছিলেন তা আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডিগুলোর মধ্যে একটি। তিনি তার দেশের পক্ষ থেকে গাজার জন্য তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি পূর্ণ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের অবৈধ বসতির নির্মাণ বন্ধ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি রাষ্ট্র থাকা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়। তিনি নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তি গ্ৰহণযোগ্য নন বলে জোর দেন এবং সতর্ক করে বলেন, ঐক্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ না করলে দুই জনজাতির মর্যাদা ও নিরাপত্তার সহাবস্থান হারিয়ে যাবে এই অন্ধকার মুহূর্তে দায়িত্ব গ্রহণের তাগিদ আরও জরুরি।