
সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার এক হোটেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর মধ্যে সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে হওয়া এ সাক্ষাতের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে আশিক চৌধুরী বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য ভুটানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান এবং ভুটানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কোন কোন সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন, তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ইতোমধ্যে ২২ নভেম্বর সই হয়েছে। বাকি একটি স্মারক রবিবার স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
আগের দিন শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তাকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত আলাপের পর শেরিং তোবগের জন্য গার্ড অব অনার উপস্থাপন করা হয়। এরপর তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, যেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, বৃক্ষরোপণ এবং দর্শনার্থী খাতায় স্বাক্ষর করেন।
শনিবার বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
রবিবার তার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এছাড়া কয়েকজন সরকারি উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে।
তিন দিনব্যাপী সফর শেষে শেরিং তোবগে ২৪ নভেম্বর সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।