
আজ বৃহস্পতিবার ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি আলোচিত দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে, যেখানে আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৪৭ জন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন সকাল ১১টায় এই রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, ‘প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছি।’
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক তিন মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। মামলাগুলোর শুরু থেকেই শেখ হাসিনা, জয় এবং পুতুল পলাতক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। এদিকে রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশীদ আলম বর্তমানে কারাগারে আছেন। তিনটি মামলার সবকটিতেই আসামি শেখ হাসিনা, আর জয় ও পুতুল রয়েছেন পৃথক দুটি মামলায়।
দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের সরকারি জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন প্রথম মামলাটি দায়ের করেন। আট আসামির মধ্যে ছিলেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী অবসরপ্রাপ্ত, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
একই দিনে পূর্বাচল প্রকল্পের আরেকটি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করেন।
এর আগে ১২ জানুয়ারি পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে তৃতীয় মামলাটি দায়ের করেন।