
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ছাত্রদল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী। সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সবসময় তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তারা বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকেছে। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তাদের। ছাত্রদলের ১৪৮ জন শহীদ হয়েছেন জুলাই আন্দোলনে।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি ছাত্র রাজনৈতিক দল, তারা বিগত সময়ে হেলমেট বাহিনী হিসাবে পরিচিত ছিল। ওরা সাধারণ ছাত্রদের মতামতকে উপেক্ষা করে রাজনীতি করেছে। কিন্তু ছাত্রদল অতীতেও সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। ছাত্রদল বর্তমান 'জেন জি' ছাত্র সমাজের মতামতকে প্রাধান্য নিয়ে রাজনীতি করবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। কারন, ছাত্রদলের অভিভাবক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি ছাত্রদলকে পর্যবেক্ষন করছেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছিল ছাত্রদল। সে সময় সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যতগুলো ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছে, সবগুলোতেই ছাত্রদলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সে ধারা ধরে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী চায়, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কারণ, নতুন প্রজন্ম অনেক প্রত্যাশা করে। সে অনুপাতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কাজ করতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আর ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ন-আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান হাসিব, বিএনপি নেতা এডভোকেট হাফিজুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিড, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাছান মাহমুদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম ইউছুপ ভূঁইয়া।