
ভারতের বিহারে রাহুল গান্ধী এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন। রোববার (১৮ আগস্ট) সাসারাম থেকে যাত্রা শুরু হয়। কংগ্রেস নেতার এই পদযাত্রা বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্লকের দাবি অনুযায়ী ‘ভোট চুরি’ প্রতিরোধ ও প্রচারের জন্য আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনী সংবাদসংস্থা এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ১৬ দিনের এই যাত্রা শেষ হবে ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় এক বিশাল জনসভা দিয়ে। রাহুলের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেসের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা লালু প্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদব।
সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেন, “রাজ্যের ২০টিরও বেশি জেলায় ভোটার অধিকার যাত্রা পৌঁছে যাবে। এ কর্মসূচি আমাদের সংবিধান রক্ষা করার লড়াই।”
নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “বিহারে ভোটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘ভোট চুরি’ করার নতুন ষড়যন্ত্র চলছে। সারাদেশে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাদের শেষ ষড়যন্ত্র হলো বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে ভোটারদের মুছে ফেলা ও নতুন ভোটার যুক্ত করা। গোটা দেশ জানে নির্বাচন কমিশন কী করছে এবং কীভাবে ‘ভোট চুরি’ করছে।”
রাহুল গান্ধী দাবি করেন, “আমরা বিহারে তাদের নির্বাচনের চুরি করতে দেব না। দরিদ্রদের কেবল ভোটের ক্ষমতা আছে, আমরা তা কেড়ে নিতে দেব না। মহারাষ্ট্রে মতামত জরিপে দেখা গেছে ইন্ডিয়া ব্লক জয়ী হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে আমাদের জোট জয়লাভ করেছিল, কিন্তু চার মাসের মধ্যে বিজেপি এক কোটি ভোটার যুক্ত করে জয়ী হয়েছে। যেখানেই নতুন ভোটার যোগ হয়েছে, সেখানেই বিজেপি জিতেছে।”
বেশ কিছুদিন ধরেই রাহুল গান্ধী ও ইন্ডিয়া ব্লকের অংশীদাররা বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। তারা এটিকে ‘ভোট চুরি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের লক্ষ্য বিহারের ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা। চলতি বছরের শেষ দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।