
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সংস্থাটির তিন কর্মকর্তা। তারা আদালতে জানান, প্লট পেতে নিজেদের ভাসমান, অসহায় ও গরীব পরিচয় দিয়েছিলেন শেখ রেহানা, তার কন্যা টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন রাজউকের উপপরিচালক মো. মাহবুবার রহমান, সহকারী পরিচালক অসীম শীল ও উল্লাস চৌধুরী। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আসামিরা একাধিক বাড়ি ও প্লটের মালিক হয়েও মিথ্যা হলফনামা দিয়ে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন।
দুদকের প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) বলেন, “প্লট বরাদ্দ নেওয়ার সময় জমা দেওয়া তিনটি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আসামিদের ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা হলফনামার মাধ্যমে প্লট নেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত নথিপত্রে তাদের জীবনবৃত্তান্তসহ ৪৪টি তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “তাদের নামে কিংবা পৌষ্যদের নামে কোনো জমি বা বাড়ি নেই এমন দাবি করে তারা নিজেদের অসহায়, ভাসমান ও গরীব হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে ফ্ল্যাট বা প্লটের প্রয়োজনীয়তা দেখাতে গিয়েই এই মিথ্যা হলফনামা দেওয়া হয়।”
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ হিসেবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না, ফলে জেরা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়নি।
এর আগে ৩১ জুলাই মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। পৃথক তিন মামলায় আসামির তালিকায় আছেন শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং আরও অনেকে। তিন মামলায় যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।