
মিসর ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত করানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আব্দেল এতি মঙ্গলবার বলেন, “বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হতে ইসরায়েলকে অবশ্যই চাপ দিতে হবে। যার মাধ্যমে গাজার মানবিক বিপর্যয় কমানো সম্ভব হবে।”
এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাস ও ইসরায়েলের জন্য নতুন একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পাশাপাশি ১০ জন জীবিত জিম্মির মুক্তির কথা বলা হয়েছে। হামাস ইতিমধ্যেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েল আগামী শুক্রবারের মধ্যে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র ১০ জন নয়, বরং জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ৫০ জন জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে চায়। এ অবস্থায় নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি মূলত প্রত্যাখ্যাত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা হবে।
সংকট মোকাবেলায় গাজার সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে মিসর। ইসরায়েল গাজার প্রধান শহর গাজা সিটিতে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার মানুষ মিসরের উত্তর সিনাই উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, “উত্তর সিনাইয়ে এখন ৪০ হাজার সেনা রয়েছে, যা ১৯৭৯ সালের ইসরায়েল-মিসর শান্তিচুক্তিতে নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি।” তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা মিসরের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ এল-সিসি সশস্ত্র বাহিনী ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর সরাসরি নির্দেশনায় সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্র: আলজাজিরা, মিডল ইস্ট আই