
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে দাখিল করা হলফনামায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন ৪ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৫ টাকা, এবং বার্ষিক আয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা।
ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী, তার নামে মোট ৫ একর কৃষি জমি রয়েছে, যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭০ শতাংশ ও ২.১৪ একর জমি, যার মূল্য ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
পৈতৃক সূত্রে দোতলা বাড়ির অংশের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীর নামে রয়েছে ১২ শতাংশ অকৃষি জমি, যার মূল্য ৩৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ঢাকার পূর্বাচলে নিজের মালিকানায় রয়েছে ৫ কাঠা জমি, যার আনুমানিক মূল্য ৮৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।
ভবন ও আবাসিক সম্পদে ঢাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পাশাপাশি ৪ শতাংশ জমির মূল্য ৫ লাখ টাকা।
ব্যাংকে তার বিভিন্ন হিসাবের তথ্য অনুযায়ী: উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ঠাকুরগাঁও শাখায় ৫ হাজার ২ টাকা, পূবালী ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখায় ১ লাখ ৯ হাজার ৮০৪ টাকা ৫০ পয়সা, অগ্রণী ব্যাংক ঢাকা শাখায় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৭ টাকা ৪৭ পয়সা। এছাড়া পূবালী ব্যাংক গুলশান করপোরেট শাখায় স্ত্রীসহ ২ লাখ ২৪ হাজার ১৩২ টাকা, এক্সিম ব্যাংক গুলশান শাখায় ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং সিটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ৩ হাজার ৪৮৫ টাকা রয়েছে। ব্যাংক এবং অন্যান্য উৎস মিলিয়ে মোট বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা।
হাতে নগদ অর্থ ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১৬ টাকা ৭৭ পয়সা, স্ত্রীর নগদ অর্থ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩০ টাকা।
বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ে তিনি ‘দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ১,৪২৮টি শেয়ার মালিক, যার মূল্য ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টাকা। স্ত্রীর নামে মেয়াদি আমানত ও অন্যান্য সঞ্চয়পত্রে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৭৫০ টাকা রয়েছে।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তার কাছে রয়েছে ২টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ১০ ভরি সোনা, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী (টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার) যার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার।
বার্ষিক আয়ের উৎস অনুযায়ী: কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, হুরমত আলী মার্কেটের ব্যবসায় থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৩২ টাকা, ইজাব গ্রুপ পরামর্শক হিসেবে ৬ লাখ টাকা, দ্য মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে সম্মানী ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, অন্যান্য উৎস ও ব্যাংক মুনাফা থেকে ৭ হাজার ৯০১ টাকা।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মোট ৫০টি মামলা দায়ের হয়েছিল, তবে অধিকাংশ স্থগিত, প্রত্যাহার বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দাখিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে কোনো মামলা তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে না।
শেষে তিনি অঙ্গীকার করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন এবং সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ যোগ্য।