
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এখন বগুড়া-২ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ঋণখেলাপির তালিকা থেকে তার নাম অবিলম্বে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী আদেশকে আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল-১২ এর ধারা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের আগ পর্যন্ত মান্না ঋণখেলাপি থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। রোববার এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে তার আপিলের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
শুনানিতে মান্নার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার আহসানুল করিম এবং অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক সুমন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. উজ্জ্বল হোসাইন।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংক মান্নার ঋণ পুনঃতফসিলের আবেদনে নথিপত্রে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় তার আগের দেওয়া স্যাংশন লেটার বাতিল করে। এর আগে হাইকোর্টে করা তার রিট আবেদনও খারিজ হয়েছিল।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না জন্য বিএনপি বগুড়া-২ আসন ছেড়ে দিয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক ‘কেটলি’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মান্না আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, “২০০৭–০৮ সালে ঋণ নিয়ে নিজ এলাকায় একটি হিমাগার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ২০১৪ সালে রাজনৈতিক কারণে কারাবন্দি হওয়ার পর ব্যবসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। বর্তমানে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি টাকায়।”
মান্না জানান, ঋণসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি মানুষের সহযোগিতায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান।